আবদুল মান্নান খান (ফাইল ছবি)
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সত্য আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবেই হবে। সত্যের মতো শক্তিশালী পৃথিবীতে আর কিছু নেই। ”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে মান্নান বলেন, “আপনারা সাংবাদিক, আপনারা জানবেন- আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন কি না। ”
নির্বাচনের আগে হলফ নামায় দেয়া সম্পদের তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানসহ বিগত মহাজোট সরকারের সাত মন্ত্রী-সাংসদের বিষয়ে এই অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের তলবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হন ঢাকা-১ আসনের সাবেক সাংসদ মান্নান।
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বেরিয়ে যান।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা পিছিয়ে দেন।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী- ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় যে সম্পদের যে তথ্য মান্নান দিয়েছিলেন, তার তুলনায় তার সম্পদ বিগত ৫ বছরে বেড়েছে ১০৭ গুন।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এটা তদন্তাধীন বিষয়। তাই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।
দুদক আমাকে কিছু প্র্রশ্ন করেছে এবং আমি তার উত্তর দিয়েছি। দুদক আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। ”
আব্দুল মান্নান খান ছাড়াও সাতক্ষীরা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে আসেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।