সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নেতানিয়াহু বলেন,“আমরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছলে তা নিয়ে গণভোট করতে চাই। এ ব্যাপারে আপনাদের অভিজ্ঞতা নিয়েও আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। ”
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড যে কোনো ইস্যুতে প্রায়ই গণভোট অনুষ্ঠান করে থাকে। কিন্তু ইসরায়েল ৬৫ বছরের ইতিহাসে কখনো কোনো গণভোট করেনি।
প্রতিবেশী আরব দেশ মিশর এবং জর্ডানের সঙ্গে আগের শান্তিচুক্তিগুলো অনুমোদন পেয়েছে পার্লামেন্টে।
নেতানিয়াহু এর আগে ২০১০ সালে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যে কোনো শান্তিচুক্তি নিয়ে গণভোট করার কথা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। এবার তিনি গণভোট অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিলেন।
এ প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্য দিয়ে শান্তিচুক্তির ব্যাপারে সর্বশেষ রায় জানানোর এখতিয়ার ইসরায়েলি জনগণের হাতেই রাখলেন নেতানিয়াহু।
ফলে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ভূমির বিনিময়ে শান্তি আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে কট্টর-ডানপন্থিদের কাছ থেকে আশু কোনো বাধা তিনি এড়াতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলে মধ্য-ডান জোটের নেতৃত্বে আছেন নেতানিয়াহু। এ জোটে রয়েছে অধিকৃত অঞ্চলে ইহুদি বসতি স্থাপনের সমর্থকরা। এদের অনেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধী।
তবে নেতানিয়াহুর আশাব্যঞ্জক ওই প্রতিশ্রুতির পর ইসরায়েলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, “শান্তি আলোচনা শুরুর আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। মানুষ এর পেছনে অনেক সময় দিচ্ছে।
এটি হওয়া সম্ভব এবং তা আয়ত্বের মধ্যেই আছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।