আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তিচুক্তি প্রেক্ষিত!

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। পাহাড় ঘেরা সবুজ বনানী শোভিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের চিরকালীন অখন্ড ভৌগোলিক অঞ্চল। সুদূর অতীতকাল হতে বঙ্গ তথা বাংলা নামে পরিচিত এই বাংলাদেশ। তারই অবিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক এলাকার অন্তর্ভূক্ত এ পার্বত্য চট্টগ্রাম। অতীতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে এটা বিভিন্ন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন হয়েছে।

কিন্তু কখনো ভিন্ন দেশের অংশে পরিণত হয়নি। চিরকালই এটা নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ভৌগোলিক পরিচয়ে বাংলার আদি অখন্ড অঞ্চল ছিল এবং এখনও আছে। পাহাড়ে এক সময় ছিল শান্তিপূর্ণ নয়নাভিরাম পরিবেশ। পাখির কলকাকলি আর ঝর্ণার কল কল শব্দে মূখরিত ছিল সেখানকার জনপদ। কিন্তু কতিপয় বিদ্ধেষ পরায়ন ব্যক্তি তাদের অশুভ স্বার্থ চরিতার্থ করার নিমিত্তে সে জনপদকে অশান্ত করে তুলে।

এদের মধ্যে উপজাতীয় বিদ্রোহীরা বাংলাদেশ সৃষ্টিলগ্ন থেকে অর্থাৎ ১৯৭২ সাল থেকে সমঅধিকারের অজুহাতে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা করে। পরবর্তী সালে তারা তাদের বিদ্রোহী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এবং এর সশস্ত্র অঙ্গ সংগঠন শান্তিবাহিনী গঠন করে এবং উহাকে জনসংহতি সমিতিতে অঙ্গিভূত করেন। মূলতঃ এই ছিল পার্বত্য উপজাতীয় বিদ্রোহের গোড়া পত্তন। এর পর থেকে উপজাতীয় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্বশাসনের দাবিসহ বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবী তুলে শান্তিবাহিনীর মাধ্যমে সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছিল। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের হৃদ কম্পন।

নিধন করা হয়েছে অগনিত নিরপরাধ হত দরিদ্র বাঙ্গালি নর-নারীকে। তাদের হাত হতে রক্ষা পায়নি কোন নিষ্পাপ ও নিরপরাধ শিশু কিশোরও। চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম, হত্যা, ছিল তাদের নিত্য দিনের কাজ। বৃক্ষ নিধন করে সবুজ বনানী সমৃদ্ধ পাহাড়কে করেছে বৃক্ষহীন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েছে সেখানকার জনপদ।

অবশেষে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে পেরে উঠতে না পেরে অবশেষে মুখ রক্ষার্থে শান্তি স্থাপনে আত্ম-সমর্পনে রাজী হয় শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লারমা তথা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত রাখা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ০২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে মূলতঃ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আগামী ০২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির ১৫তম বর্ষপুর্তি।

গত ১৫ বছর এই চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে নানারূপ অভিমত প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন মহল এই চুক্তির বিপক্ষে যেমন নেতিবাচক সমালোচনা করেছে অন্যদিকে বিভিন্ন দেশীয় আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রসংশিতও হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির অভিযোগ শান্তিচুক্তির বেশির ভাগ বাস—বায়িত হয়নি অপরদিকে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি তথা সরকার চুক্তির অধিকাংশ শর্তই বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবী করে আসছে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে পরস্পর অবস্থানগত বিরোধী মতামত প্রকাশিত হলেও একথা সত্য যে ইতোমধ্যে শান্তিচুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। যেমন- চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ভূমি কমিশন গঠন, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের নিকট বিভিন্ন বিষয় হস্ত—ান্তরকরণ, উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য টাস্কফোর্স গঠন, পার্বত্যাঞ্চল থেকে দুই শতাধিক সেনা ছাউনি প্রত্যাহার।

এতদ্ব্যতীত চুক্তি বাস্তবায়নে নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী কর্তৃক চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রমসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া ২০০৯ সালে ২৫ মে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহবায়ক করে চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। কমিটি ইতোমধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত আগষ্ট মাসে ১৮টি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের লিখিত চুক্তি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮/১১/২০১২ তারিখে রাঙ্গামাটি /বান্দরবান/ খাগড়াছড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)এর দপ্তরসমূহ,রাঙ্গামাটি/বান্দরবান/খাগড়াছড়িস্থ স্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তর এর দপ্তরসমূহ, তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর খাগড়াছড়ি জোনাল অফিস, রামগড় মৎস্য খামার (হ্যাচারী), সরকারী শিশু সদন খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়েছে।

একই সাথে আগষ্ট মাসের শেষের দিকে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রণীত ভূমি কমিশন আইনের ১৩টি সংশোধনী আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে গৃহীত এই পদক্ষেপগুলো নিঃসন্দেহে সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। পার্বত্যাঞ্চলের পূর্বাপর বিরাজমান পরিস্থিতি, শান্তিচুক্তি এবং তা বাস—বায়ন ও বাস্তবায়নের গৃহীত পদক্ষেপ এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করলে নিদ্বির্ধায় বলা যায় শান্তিচুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্বের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে কোন কোন বিশেষজ্ঞ এর মতে, চুক্তির অন্তর্ভূক্ত সিদ্ধান্তমূলক নীতি ও অঙ্গিকারের সাথে এর দফাওয়ারী বর্ণনায় বৈপরিত্ব লক্ষনীয়। চুক্তির সিদ্ধান্তমূলক মূলনীতিতে ছিল চুক্তিটি বাংলাদেশ সংবিধানের আওতায় রচিত হবে তথা সংবিধান লঙ্ঘিত হবে না।

রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রতি পূর্ণ অবিচল আনুগত্য বহাল রাখা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল নাগরিক তথা বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী নির্বিশেষে বসবাসরত সবাই কোনরূপ ভেদাভেদ ছাড়াই রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করবে। চুক্তির এই অনুকূল ধারা পরবর্তী দফাওয়ারী বর্ণনায় বিপরীত ব্যবস্থাদির দ্বারা চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম একক উপজাতীয় আবাসভূমি হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় তাদের অগ্রাধিকার, বিশেষাধিকার, স্বায়ত্বশাসন এমনকি আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সুযোগ লাভের পথ খোলাসা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল জেলায় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীদের জমিক্রয়, বসবাস ও চাকুরী পাওয়ার অধিকার থাকলেও পার্বত্য জেলাত্রয়ে বাঙ্গালিদের জমিক্রয়, বসবাস ও চাকুরী পাওয়ার অধিকার, নির্বাচিত হওয়ার অধিকার ব্যহত হয়েছে।

এতে একক এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসত্ত্বার সংবিধান প্রদত্ত ধারণা ক্ষূন্ন হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করে। শান্তিচুক্তির সুফল বা কুফল যেভাবেই তুলে ধরা হউক না কেন শান্তিচুক্তি মূলতঃ পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যেই সম্পাদিত হয়েছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে সরকার কর্তৃক ক্রমান্বয়ে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্ত্বেও জনসংহতি সমিতি সরকারকে সহযোগিতা না করে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা নেই মর্মে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা অনাকাঙ্খিত। তাছাড়া পাহাড়ী রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ শান্তিচুক্তি বাস—বায়নের প্রকাশ্য বিরোধিতা করছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত অপহরণ, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ইত্যাদি নানাবিধ অপরাধমূলক সন্ত্রাসী কার্মকান্ড চালিয়ে পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

তাদের এ অপকর্মের শিকার হচ্ছে সেখানকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে বাঙ্গালি জনগোষ্ঠী। জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর এসব অপতৎপরতামূলক কার্যকলাপ শান্তিচুক্তি বাস—বায়নকে যেমন ব্যহত করছে তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্তিও বিনষ্ট করছে। এ প্রেক্ষাপটে পাহাড়ে শান্তি রক্ষায় এবং শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের স্বার্থে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরস্পর ভ্রাতৃত্ববোধ, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের মনোভাব। সাম্প্রদায়িক বৈরিতা বৈষম্য ভুলে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

ধর্মান্ধতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের যুগ এখন নেই। একক ধর্ম বর্ণ সমাজ সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীভূক্ত লোক অধ্যুষিত দেশ ও জাতি গঠন অসম্ভব। এখানে উল্লেখ্য, পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীগুলো কোন একক জাতিসত্ত্বা বিশিষ্ট জনগোষ্ঠী নহে তারা ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্ত্বাভূক্ত জনগোষ্ঠী। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি একে অন্য থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একক জাতিসত্ত্বার বিচারে বাঙ্গালিরাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী।

কাজেই হিংসা বিদ্বেষ ও হানাহানির পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মনোভাব গড়ে তুলার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব। এ লক্ষ্যে বাঙ্গালিদের সাথে উপজাতীয় নেতৃবৃন্দের আশু পদক্ষেপ কাম্য। একই সাথে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চুক্তির যেসব ধারা রাষ্ট্র স্বার্থের পরিপন্থি বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি যেমন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এসব ষ্পর্শকাতর বিষয়ে সতর্কতা ও নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর অবর্তমানে পাহাড়ে সন্ত্রাসী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির আশংকা থেকে যাবে। আর ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে পাহাড়ে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ভূমিহীন বাঙ্গালিদের ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কখনো সম্ভব নয়।

কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ী-বাঙ্গালি সকল জনগোষ্ঠীর সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই কেবল প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কাজেই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালিদের সমান স্বার্থ রক্ষা, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা সর্বোপরি দেশের সংবিধানকে সমুন্নত রেখে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে দেশ ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে হবে। সর্বোপরি সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালিদের স্বার্থ উপেক্ষিত হলে এবং ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে বাঙ্গালি অপসারণ তথা বাঙ্গালি খেদাও আন্দোলন হতে বিরত না হলে এবং বাঙ্গালিদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে এবং ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী 'ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী' খেদাও আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সুদূর পরাহত।

তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার সকল অধিবাসীদের সমঅধিকারের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী ও ভূমিহীন বাঙ্গালিদের মধ্যে খাস জমি সমতার ভিত্তিতে বন্দোবস্তী প্রদান এবং সেখানে সকল জাতিসত্ত্বার নিরাপদ বসবাসের বিধান করতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজন বোধে শান্তিচুক্তি কিংবা সংশ্লিষ্ট আইনসমূহে প্রয়োজনীয় ধারার সংযোজন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের আশু পদক্ষেপ কামনা করা হল।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।