আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্বত্য শান্তিচুক্তি রিভিউ করতে হবে

my country creat me a ginipig পার্বত্য শান্তিচুক্তি রিভিউ করতে হবে ---ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জাতিসত্ত্বার সাংবিধানিক সমঅধিকার নিশ্চিত করা সহ ৮ দফা দাবীতে ২রা জুন শনিবার জাতীয় প্রেসকাবের মিলনায়তনে এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন-২০১২ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিাসবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব হামিদুর রহমান আজাদ এমপি। সম্মেলনের প্রধান আলোচক ছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চোয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো: রহমতুল্লাহ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জি. আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।

শান্তি চুক্তির মাধ্যমে বাঙ্গালীদের সাংবিধানিক অধিকার ুন্ন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের একদশমাংশ এলাকাকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। বাঙ্গালীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, সকল জনগোষ্ঠীর যথাযথ অংশগ্রহনের ভিত্তিতে পার্বত্য চুক্তির সংশোধন করা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের অসমি সম্বাবনাকে কাজে লাগাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিগত সংঘাত নিয়সন করা জরুরী। অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো: ইব্রাহিম বলেন বাঙ্গালীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত জনগণ। এই অবহেলিত জনগণের হারানো অধিকার পূন:রূদ্ধারে বাঙ্গালীদের কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির ফলে সৃষ্ট সকল বৈসম্য নিরাসনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্টীর সমান অংশগ্রহনের মাধ্যমে সমঅধিকারের ভিত্তিতে শাস্তিচুক্তি পূন: বিবেচনা করতে হবে।

যদি তা না করা হয় তাহলে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে যে অশান্তির বীজ বপন করা হয়েছে সেই অশান্তির বৃ মহীরুহ আকার ধারণ করবে। তিনি আরও বলেন, শিা, চাকুরী, ব্যবসা বাণিজ্য রাজনীতি সহ সকল েেত্র বাঙ্গালীদের বঞ্চিত করে বাঙ্গালিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সীমারেখায় সকল জনগনের সমান অধিকার থাকা উচিত। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের পরবর্তী নেতৃত্ব নিধারণ করা হয়। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে জনাব মো: ইসমাইল নবী শাওন কে সভাপতি, জনাব মো: আক্তার হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক এবং মো: তৌহিদুল ইসলাম কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সংযুক্তি: পার্বত্য চুক্তিকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বিএনপি পাঁচ বছর কি করেছে? তখন কি তাদের এসব কথা মনে ছিল না? আবার তারা ক্ষমতায় এসেই বা কি করতে পারবে তা-ও জানি না। তবে আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, পার্বত্য বাঙালিদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে হলে তা পেতে হবে আন্দোলন সঙ্গ্রামের মাধ্যমেই। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির উপর ভরসা করে বসে থাকলে তাদের অধিকার কোনদিনই প্রতিষ্ঠিত হবে না। পার্বত্য বাঙালিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সমতলবাসী সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ সকলের একান্ত সহযোগিতাও প্রয়োজন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.