তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____
অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট করার জন্য ক্ষমা করবেন। কিন্তু না করে পারছি না। যেকোনো বাংলাদেশী পাকি সাপোর্টারকে যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি পাকিস্তানকে সাপোর্ট কেন করেন? তবে প্রথম উত্তর আসবে, একজন মুসলিম হিসাবে আমি ইসলামিক দেশ পাকিস্তানকে সাপোর্ট করি! এরপরে যদি আপনি ওই পাকি জারজকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেন তবে উত্তর দিবে, খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না!
অথচ আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে ভারতকে সাপোর্ট করেন তবে সেই ব্যক্তিই আপনাকে মালাউনের বাচ্চা, ভারতের দালাল, ভাদা ইত্যাদি বলে গালি দিবে!! বাংলাদেশে এই ছাগুদের সংখ্যা যে শতকরা আশি শতাংশ তার প্রমাণ ফতুল্লায় পাকি পতাকা গায়ে জড়ানো গ্যালারি ভর্তি দর্শক ।
একটা অনুষ্ঠানে সাবেক বাংলাদেশের ক্রিকেটার রকিবুল হাসান বলেছিলেন, ১৯৭০-৭১ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন একমাত্র বাঙালী খেলোয়াড় হিসেবে। তার ব্যাটে লাগানো ছিল জয় বাংলা লেখা স্টিকার।
টিম ম্যানেজমেন্ট জানতে চায় এটা কি। তিনি তাদের বিষয়টা খুলে বলেন। যেকারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে।
তাহলে বলেন, তখন কেন খেলা আর রাজনীতিকে এক করা হয়েছিল? আসলে খেলা আর রাজনীতি এক হতে বাধ্য । কারন এটা শুধুমাত্র খেলা না , এর সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের দেশপ্রেম ।
বাংলাদেশের এই হাইব্রিড ছাগুরা ইসলামের দোহাই দিয়ে ফাকিস্তানের সাপোর্ট করে অথচ অধিকাংশ ফাকিস্তানি বাংলাদেশীদের দাম দেয় না। পাকিস্তানীরা বাংলাদেশকে এখনো শত্রু বলেই জানে। ছাগুগুলার জন্ম যদি ঠিক ঠাক প্রক্রিয়ায় হত তবে এই ভাষার মাসে এবং সামনে স্বাধীনতার মাসে এরা কখনোই ফাকিস্তানের পতাকা গায়ে জড়িয়ে, ফাকিস্তান জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ বলে চিৎকার দিত না। এদের প্রত্যেকটা চিৎকারের মধ্যে লুকিয়ে আছে পাকিপ্রেম, বিপরীতে দেশদ্রোহীতা ।
Ahmed Farhad Salim এর ফেবু পেজ থেকে নেয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।