বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে শিক্ষার্থী জেরিন মাহমুদের পাশাপাশি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক জান্নাতুন্নেসা ও ওয়াহিদা পারভিনের সাক্ষ্যগ্রহণও হয়।
ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আরিফুর রহমানের আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর ওই তিনজনকে জেরা করেন আসামি পরিমলের আইনজীবীরা।
ভিকারুননিসার বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের বাংলার শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
পরিমলকে রক্ষার অভিযোগ তুলে তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরাকে অপসারণের দাবিও তোলে তারা।
২০১১ সালের ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং স্কুলের বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।
এই মামলায় ধর্ষিত শিক্ষার্থী ও তার মা ইতোমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১১ সালে মামলা দায়েরের দুদিন পর কেরানীগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে পরিমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ১১ জুলাই তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরিমলের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামে। তিনি ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।