ফেইসবুকে এক হেফাজত কর্মীর দেয়া বিতর্কিত স্ট্যাটাস নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন মহল এ সময় রহস্যজনক কারণে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করছে,যা জনরোষ আরো তীব্র করেছে। খবর নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কওমী মাদ্রাসা জামিয়া ইউনূছিয়া’র সাবেক ছাত্র এবং হেফাজতের সক্রিয় সন্ত্রাসী সদস্য সিরাজী দীর্ঘদিন ধরে ফেইসবুকের মাধ্যমে হেফাজতের দাওয়াত প্রচার করে আসছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬ই এপ্রিলের লংমার্চ এবং ৫ই মে ঢাকা অবরোধের অনলাইন প্রচারের অন্যতম দায়িত্ব ছিল এই সিরাজীর কাছে। এছাড়া শাপলা চত্বরের ঘটনার পর নিজ জেলাতে সরকার বিরোধী জনমত তৈরী করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আওয়ামীলীগ বিরোধী বিকৃত ছবি এবং ট্যাস্টাস ছড়ানো এবং ৫ই মে গণহত্যা হয়েছে এমন ভুয়া ভিডিও ছড়ানোই ছিল সিরাজীর কাজ।
[সিরাজীর ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক:https://www.facebook.com/mufti.siraji
সিরাজী যদি অ্যাকাউন্ট লুকিয়েও ফেলে তবু এ লিঙ্কে তার পুরো টাইমলাইন ডাউনলোড করা যাবে নিচের লিঙ্ক থেকে, Click This Link
সর্বশেষ গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি সিরাজী তার অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্মীয় উস্কানিসৃষ্টির লক্ষ্যে একটি স্ট্যাটাস দেয়, যা জেলার ধর্মপ্রাণ সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে সিরাজীর গ্রামের বাড়ির (বিজয়নগর থানার চরইসলামপুর গ্রাম) ক্ষুব্ধ মুসলমানরা ইউপি চেয়্যারম্যান আব্দুল হাফিজ ভুইয়ার সরনাপন্ন হয়। আব্দুল হাফিজ ভুইয়া এলাকার অন্যান্য মেম্বার ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন এবং বিচারে হেফাজত কর্মী সিরাজী উস্কানি সৃষ্টির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়। কিন্তু এ সালিস না মেনে উগ্রবাদী কর্মকা- শুরু করে দেয় সিরাজীর সঙ্গী হেফাজতের সদস্যরা। তারা বি-বাড়িয়া শহরে এ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চালায় এবং ভাংচুর করে।
কিন্তু অতি রহস্যজনক কারণে হেফাজতের অপকর্মের বিচার করছে না পুলিশ। উল্টো যারা প্রতিবাদ করেছিল তাদেরকে সদর থানার মধ্যে ডেকে ওসি আবদুর রউফ গালাগালি করে এবং হেফাজতের পক্ষ নিয়ে বলে“এখন থেকে জেলায় হেফাজত নির্বিঘেœ কাজ করতে পারবে এবং কেউ তাদের বাধা দিতে পারবে না। ’ শুধু তাই নয়, তারা হুমকি দিয়ে এও বলে, ‘যারা হেফাজত কর্মীদের বিচার করেছে তাদের জুতার মালা পরিয়ে সারা শহর ঘুরানো হবে। ”
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার নাজিরাবাড়ি গ্রামে হেফাজতের পক্ষ হয়ে সুন্নী মুসলমানদের উপর হামলা করে পুলিশ। এসময় বেশ তারা কয়েক রাউন্ডগুলি চালায় এবং ১৫ জন সাধারণ মুসল্লীকে ধরে নিয়ে যায়।
এ সময় সুন্নী মুসলমানদের একজন পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হন।
হেফাজতের সঙ্গে আতাত করে পুলিশ প্রশাসন সাধারণ জনগণের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করা নিয়ে বিবাড়ীয়াবাসীর মনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হেফাজতের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের রহস্যজনক সম্পর্কের কারণে বর্তমানে জেলার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসবাদী হেফাজতের সঙ্গে আতাতকারী পুলিশ কর্মকর্তা এবং দোষী হেফাজত কর্মীদের শাস্তি দাবি করেছে। - See more at: Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।