আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা টু সিলেট...( হরষপুর, স্টেশন নং-২৭)

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।

ঢাকা টু চিটাগাং রেল লাইন ধরে হাটা শেষ করেছি।

পরবর্তি পরিকল্পনা ছিল ঢাকা টু সিলেট রেল লাইন ধরে হাটার । আখাউড়া স্টেশনের আগে তিতাস নদীর কড্ডা ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা টু চিটাগাং আর ঢাকা টু সিলেটের একই রুট হওয়ায় আমি সিলেটের পথে হাটা ধরেছি আসলে তিতাস নদীর কড্ডা ব্রিজ থেকে। আর কড্ডা ব্রিজের আগে যতগুলো স্টেশন আছে সেগুলোও আমি গননায় আনবো। সুতরাং আমার ঢাকা টু সিলেট প্রথম পোষ্টই হবে ঢাকা টু সিলেট ২৪তম স্টেশন। তারপর ২৫..২৬......এভাবেই ক্রমান্বয়ে সিলেট পর্যন্ত যতগুলো স্টেশন গনণা হয়ে যাবে।



আমার হাটার ধরণ তো আপনাদের জানাই আছে। আমি এক ষ্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেশনের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে স্টেশনের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে ।

আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব ।

এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি সিলেট এর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি সিলেট পৌছতে পারি । প্রতি সপ্তাহে হাটা আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই সিলেট পর্যন্ত কবে গিয়ে পৌছব এখনো জানি না, বলতে পারেন অজানা গন্তব্য

স্টেশনের অবস্থানঃ এটা হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার অন্তর্গত একটি স্টেশন।

(২) মুকুন্দপুর স্টেশনে দুপুরের খাবারে আমরা যা খাই


(৩) রেল লাইনের পাশে ফুটে থাকা চমৎকার বনত্তকরা বা জংলী ঘাঘরা ফুল।


(৪) সামনে দীর্ঘ পথ।


(৫) মুকুন্দপুর পার হওয়ার পর আমাদের সামনে প্রথম ট্রেন।




(৬) রোদ থেকে বাঁচতে খাতার কাগজ দিয়ে রোদ টুপি বানিয়ে মাথায় দিয়ে স্কুল ফেরৎ বালক।


(৭) রোদ থেকে বাঁচতে আমি মাথায় গামছা দিয়েই হেটে চলি।


(৮) ঝুমকো জবা বনের দূল......


(৯) আমাদেরকে অতিক্রম করে যাওয়া আরো একটি ট্রেন।


(১০) ধান ক্ষেতে সারষ পাখি।


(১১) খালে পানি ডাঙায় নৌকা।




(১২) এমন সুন্দর পথ পারি দিতে ক্লান্তি আসার কথা না।


(১৩/১৪) চমৎকার লান্টানা ফুল।



(১৫) লাল ফড়িং।


(১৬) দুপুরের রোদে একজন কৃষক।


(১৭) এইগুলো তিতবেগুন ফুল, রাস্তার পাশে এই বেগুন প্রচুর হয়, খেতেও বেশ মজাদার।




(১৮) দুপুরের ঝাঁঝাঁলো রোদ, রেল লাইনের এক পাশটায় কিছু ছিপ বাঁশ বাগান।


(১৯) রোঁদে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, তাই বাঁশ বাগানের ছায়ায় গামছা বিছিয়ে একটু স্বস্তি পাচ্ছি।


(২০) একটি ঘুঘু পাখি আপন মনে খেলছে ঘাস বনে।


(২১) খরায় মাছ ধরছে একজন জেলে।


(২২) সিগন্যাল লাইট দেখে বুঝা যাচ্ছে পরবর্তি স্টেশন আর বেশী দূরে না।




(২৩) এক সময় আমরা পৌছে গেলাম হরষপুর স্টেশনে।

আগের পর্বঃ ঢাকা টু সিলেট...... ( মুকুন্দপুর, স্টেশন নং-২৬)
পরবর্তি পর্ব হবেঃ ঢাকা টু সিলেট...... ( কাসিম নগর, স্টেশন নং-২৮)

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.