আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন ইটালী দেশটি সম্পর্কে জানি



ইটালীয়ান মানুষজন উন্নত জীৱন-যাপনে অভ্যস্ত। ঋতুময় ইতালীয় জলবায়ু নাতিশীতোঞ্চ। ১৯ শতকের শেষের দিকে, ১ম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইতালি ঔপনিবাশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমান ইতালি একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটাকে বিশ্বের ২৩তম উন্নত দেশ হিসেবে গণনা করা হয়।

আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে প্রাচীন রোমে একটি ক্ষুদ্র কৃষি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিলো।

ইতালির এক তৃতীয়াংশ লোক ১৩৪৮ সালের মহামারীতে প্রাণ হারায়। পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যাংক হিসেবে মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা চিহ্নিত হয়ে আছে। এর সদর দফতর ইতালীর সিয়েনায়। ইটালীর উত্তরাঞ্চলের ধনী শহর বিশেষ করে ফ্লোরেন্স, ভেনিস এবং জেনোয়ায় ব্যাংকিং প্রথা শুরু হয়।



২৫ বছরের কমবয়সি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রায় ২৮ শতাংশই বেকার। এর ফলে তাদের মনে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে। উইলিয়াম সেক্সপিয়ার কিন্তু ভেনিসে কখনও আসেন নি। তার “মার্চেন্ট অফ ভেনিস “ ও “ওথেলো” ভেনিসে ভ্রমনকারীদের অভিজ্ঞতা শুনে লেখা। জার্মান সাহিত্যিক গ্যেটে ভেনিসে গিয়েই প্রথম সমুদ্র দেখেন, লিখে ফেলেন ইটালি ভ্রমনের ওপর বই।

ইংল্যান্ডের আরেক সাহিত্য দিকপাল চার্লস ডিকেন্স ভেনিস ও ইটালি ভ্রমন শেষে লেখেন পিকচার ফ্রম ইটালি। রোমান্টিক চরিত্র জিওভানি কাসানোভা (১৭২৫ -১৭৯৮)ভেনিসেরই সন্তান। কূটনীতিক, বিজ্ঞানী, অভিযাত্রী, বেহালাবাদক, প্লেবয়, জুয়ারী, লেখক, গুপ্তচর এ চরিত্রটি নিয়ে সিনেমাও হয়ছে ।

সাত পাহাড়ের শহর রোম ও স্বপ্নের শহর ভেনিস। গোটা ভেনিস শহরটা জলের ওপর ভাসছে।

শহরের টুকরো টুকরো অংশগুলো আদতে এক-একটা দ্বীপ। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী ৫০ বছরের মধ্যে নাকি গোটা ভেনিসই ভ্যানিশ হয়ে যাবে। বর্তমানে ইটালিতে এক লাখেরও বেশী প্রবাসীর মধ্যে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী কৃষির সাথে সরাসরি জড়িত।

আল হিকমাহ নামে ইটালীতে একটি নতুন ইসলামী সেন্টার উদ্বোধন হয়েছে। এ সেন্টারে একটি মসজিদ এবং একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এ সেন্টারের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে, অত্র অঞ্চলের যুবক ও যুবতিদের মাঝে ইসলামী শিক্ষা চর্চা এবং মুসলমানদের নামায এবং অন্যান্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানাদি আনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সেন্টারটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

২৬৯ সালের কথা। ইটালির রোম নগরীতে শাসন করত দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস। রোমে তখন খ্রীষ্টান ধর্ম পালন ও প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস নামের এক খ্রীষ্টান ধর্ম যাজক ও চিকিৎসক খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচার করছিল।

সম্রাট ক্লাডিয়াস তখন তাকে বন্দী করে। তাকে যে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছ সেই কারারক্ষীর একটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়ে ছিল। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস তার চিকিৎসা বিদ্যা দিয়ে সেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে চিকিৎসা করে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন। এতে করে তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পরে। অনেকেই কারা অভ্যান্তরেই তার কাছে দীক্ষা লাভ করে খ্রীষ্টান ধর্মে।

কথিত আছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস তরুন-তরুনীদেরকে প্রণয় বিদ্যাও শিখাতেন। এমতাবস্থায়, সম্রাট ক্লাডিয়াস ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনসকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন। এই ঘটনারও ২০০ বছর পর অর্থাৎ ৪৯৬ সালে আরেক খ্রীষ্টান ধর্ম যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে শ্রদ্ধা জানাতে এই দিবসকে ভ্যালেন্টাইনস দিবস হিসেবে ঘোষনা করে। সেই থেকে এই দিবসটি প্রথমে শুধু খ্রীষ্টান পাদ্রী ও যাজকেরা পালন করে আসছিল। পরবর্তিতে সাধারন খ্রীষ্টানরা এটি পালন করা শুরু করে।

পর্যায়ক্রমে একটি সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রসারের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এটিকে ভিন্নমাত্রা দান করে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে এই দিবস পালন করা শুরু হয়।

ইতালির জিওর্দানো দা পিসা প্রথম চশমা তৈরি করেছিলেন ১২৮৬ সালে। তবে আধুনিক চশমার উদ্ভাবক গিরোলামো সাভোনারোলা। দু’জনেই ইতালির নাগরিক।

প্রতি বছর আফ্রিকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইটালি পৌঁছান বেআইনি অভিবাসী হয়ে। মানুষ কতটুকু সৎ তা পরীক্ষা করার জন্য ইতালির এক গির্জার সামনে দানবক্স রেখে দাঁড়িয়ে থাকতেন গির্জার পপ। তিনি বিভিন্ন বিদেশীদের টাকা ভর্তি বক্সটি দেখে রাখার কথা বলে গির্জার ভিতর চলে যেতেন এবং লোক পাঠিয়ে টাকা দান করাতেন। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে সকল বিদেশীরাই ‘খোলা দানবক্স’ থেকে টাকা চুরি করে পকেটে পুরেছে, কেবল একজন ব্যক্তি টাকাতে হাত লাগায়নি অর্থাৎ চুরি করেনি। গোপন ক্যামেরায় পপ যখন দেখলেন এই লোকটি টাকা চুরি করছে না তখন তিনি আরও কয়েকজন লোক পাঠিয়ে বেশি বেশি করে টাকা দিতে লাগলেন ঐ দানবাক্সে।

কিন্তু তারপরও লোকটি টাকাতে হাত লাগালো না। আর সে লোকটি হচ্ছে বাংলাদেশের বেলাল।

ইউরোপের অন্যতম প্রধান দেশ ইতালিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য এখন বিস্তর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছাত্রছাত্রী ইতালিতে আসছেন উচ্চশিক্ষার জন্য। “সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইতালিতে একটা স্কলারশিপ ফেল করলে তার জন্য অন্য একটি অপেক্ষা করে।

আর যদি টাকা খরচ করেও পড়তে হয়। তবু বলব, লন্ডনে পড়ার চেয়ে এখন ইতালিতে পড়তে আসা অনেক ভালো। ”


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।