আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমতার লোভ গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, কোনো মহৎ ও মানবিক কাজে চালাকি বা চতুরতা চলে না। ব্যক্তি কাজ থেকে শুরু করে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনের কোনো ক্ষেত্রে এরূপ মহৎ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত কাজে কেউ আত্দনিয়োগ করলে একে অপরের প্রতি দোষারোপ না করে; কুৎসিত সমালোচনার তির্যক বাণ নিক্ষেপ না করে সেই কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করাই মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এবং সেক্ষেত্রেই শুধু বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও চারিত্রিক গুণাবলির উৎকর্ষের দৃঢ়তা ও ঋজু তা প্রকাশ পেয়ে থাকে। আর এতে করে সমাজ-রাষ্ট্রে বসবাসরত মানুষ নির্বিঘ্নে উপকৃত হয় এবং সর্বোপরি দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু আমরা সবাই কেন জানি সেই হীনম্মন্যতা, ব্যক্তিগত ও দলীয় কূপমণ্ডূকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। আমিত্ব বা বিশেষ করে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থ থেকে বেরিয়ে মহৎ মনুষ্যত্বকে কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে পারছি না।

জনগণের অভিপ্রায়ে অভিব্যক্তিস্বরূপ গণতন্ত্র ও সুশাসন থেকে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পেরে ক্রমশ ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পূর্ণাঙ্গ অংশের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান না দেখিয়ে এর নামে আপন স্বার্থে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করছি। একবার অন্তত বিবেকবোধ জাগ্রত করে ভেবে দেখেছেন কি এর জন্য দায়ী কে বা কারা? আপামর জনগণের সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা করা আদৌ সমীচীন কিনা!

একটু পেছন ফিরে তাকালেই দেখা যায় ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের পর তিন-চতুর্থাংশ মেজরিটি পাওয়ায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রচলিত ব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত এনে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এর ফলে রাজনীতির ভারসাম্য, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাগুলো বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

আর এর পরবর্তী রূপ দেখা গেল অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন, একতরফা ও ভাগাভাগির নির্বাচন। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হলো এবং নানা সহিংসতার মধ্য দিয়ে ১৪৭টি আসনে যে নির্বাচন হলো তাও দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। জনগণের নীরব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে এই নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও এর পরপরই যৌথবাহিনীর নামে বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন-নিধন শুরু হলো। সেই সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ডের খড়গহস্ত নেমে এসেছে বিরোধী জোটের ওপর।

এমনি এক মুহূর্তে দল গোছানো থেকে শুরু করে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তৃণমূল পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজবাড়ীতে অনুষ্ঠিত জনসভার মধ্য দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।

সেখানে তার বক্তব্যে যা উঠে এসেছে এর সারকথা হলো_ আওয়ামী লীগ নির্বাচিত সরকার নয়। জবরদস্তিমূলকভাবে তারা ক্ষমতায় আছে। এই সরকার কোনোভাবেই বৈধ সরকার নয়। তারা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় আছে এবং বন্দুক দিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। ১৯৭৫ সালে তারা একইভাবে একদলীয় সরকারব্যবস্থা কায়েম করেছিল এবং ওই সময় রক্ষীবাহিনী দিয়ে ৪০ হাজার বিরোধী মতের মানুষকে হত্যা করেছিল।

তেমনি ২০১৩ এর ২৫ অক্টোবর থেকে ২০১৪ এর ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ এই তিন মাসে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে ৩০৪ জন এবং গুম হয়েছে ৬৫ জনের অধিক বিরোধী নেতা-কর্মী। হত্যা, গুম নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনজঙ্গলে, পানিতে, নদীতে আজ লাশ পড়ে থাকে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান তথা কোনো ধর্মের মানুষ এই সরকারের অধীনে নিরাপদ নয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের দেশ নয়।

এখানে জঙ্গিদের কোনো স্থান নেই, আল-কায়েদার কোনো ঠাঁই নেই। নিজেদের দুর্বলতা ও অপকর্ম আড়াল করতে একটা ঘটনার পর আর একটা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে এই সরকার। আর দোষ চাপায় বিরোধী জোটের ওপর। তিনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন দাবি করেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খেয়ালখুশিমতো গ্রেফতার, গুম, বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ড ও কর্মক্ষেত্রে দুর্বল ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করা হয়।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের 'ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি রাইটস অ্যান্ড লেবার' শিরোনামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তার দফতরে বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো_ খেয়ালখুশি মতো গ্রেফতার, মতামত প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে অহরহ। সরকারের তরফ থেকে এই প্রতিবেদনকে অসত্য বলা হলেও কার্যত বাংলাদেশের 'আইন-সালিশ কেন্দ্র' ও 'অধিকার' নামের দুটো মানবাধিকার সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, যখন এ লেখা লিখছি সেদিনও র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের নামে ঢাকার কদমতলীতে দুজন এবং সাভারে একজন মোট তিনজন বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

৫ জানুয়ারির একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।

এই স্থানীয় নির্বাচনে সব দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষ নির্বাচনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ফলে মফস্বল অঞ্চলে এক ধরনের নির্বাচনী আমেজ ও পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় মিলে প্রায় ২১৩টি (৪টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত আছে) উপজেলার নির্বাচন শেষ হলেও ভোটের দিন বেশ কিছু উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক সংঘর্ষ, গুলি, সরকারি দল কর্তৃক কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা ও বাঙ্ ছিনতাই এবং পুলিশের গুলিতে ও সহিংস ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর মিডিয়ার বদৌলতে জানা যায়। নির্বাচনী গোলযোগের কারণে অনেক ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া ও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ব্যাপক ভোট কারচুপি ও ভোট কেড়ে নেওয়ার ফলে বিরোধী প্রার্থীরা বেশ কয়েকটি উপজেলায় ভোট বর্জন ও হরতাল আহ্বান করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও ক্ষমতার জোরে অনেক কেন্দ্রে ব্যাপকভাবে ভোট কাটার ফলে নির্বাচনী প্রার্থী-ভোটাররা পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়ে। এত অনিয়ম, কারচুপি, বাধা-বিঘ্ন সত্ত্বেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাদের মূল্যবান ভোটের মর্যাদা রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং দশম সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধ করতে গিয়ে বিপর্যস্ত বিএনপিকে ভোটের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে যে পরিমাণ জয় উপহার দিয়েছে তাতে দলটির মধ্যে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে আরও ঘুরে দাঁড়ানো ও সুসংহত করার উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের সব ধরনের দমন-পীড়ন, অত্যাচার, নির্যাতন, হাজার হাজার মামলা, হত্যা, গুম হওয়া সত্ত্বেও লক্ষণীয় দিক হলো_ বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতোদ্যম হয়ে যায়নি, ভেঙে পড়েনি। বরং বিপর্যস্ততার মধ্যেও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার সংগ্রামে সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার দীপ্ত শপথ ঘোষণা করেছে। বিগত কয়েক মাসের রাজনৈতিক আন্দোলন, সংগ্রাম ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিরোধী দলের নেতাদের উপস্থিতি ছাড়া কর্মীরা যেভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এমনকি বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী তো নয়ই, বরং সংস্কারবাদী হিসেবে পরিচিত যারা তাদের মধ্যেও কেউ এই ৫ জানুয়ারির প্রহসনমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এতে একটা প্রতিষ্ঠিত আদর্শতন্ত্রের সত্যিকারের বিজয় অর্জিত হয়েছে।

অধিকন্তু উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে বিশিষ্টজনরা বলছেন, সহিংসতার কারণে এ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও শক্ত ভূমিকা না থাকায় উপজেলার মতো স্থানীয় নির্বাচনে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে এবং এতে এ নির্বাচনেও জনগণের আস্থা হারাতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, মানুষ নির্বাচন কমিশনের কাছে সহিংস ঘটনার ব্যাখ্যা আশা করে না, বরং মেরুদণ্ড সোজা করে সব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও ত্রুটিগুলো মুক্ত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করবে_ এটাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আরও তিন পর্যায়ে বাকি উপজেলাগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চিকিৎসার্থে বিদেশ যাত্রা জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। বাকি উপজেলার নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

তদুপরি গণতন্ত্রের স্বার্থরক্ষায় গণমাধ্যমের সর্বাত্দক নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সঠিক আলোকবর্তিকা বা দিকনির্দেশক হিসেবে গণমাধ্যম কাজ করে থাকে। সরকার ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অস্তিত্বশীল সাংবিধানিক সংস্থাগুলো গণতান্ত্রিক আচরণ বা জনস্বার্থে সঠিক ভূমিকা পালন করছে কিনা সে বিষয়েও প্রত্যাশিত ও গঠনমূলক ভূমিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন গণমাধ্যমের। তা না করলে যত বড় ক্ষমতাধর হোক না কেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হয় এবং এটাই স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম।

একবার ভেবে দেখুন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলপথে পরিচালিত হলে কী শোচনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয় তা আরও প্রত্যক্ষ করছি এরশাদের জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে। এরশাদের নিজস্ব ঘাঁটি খোদ রংপুরে জাতীয় পার্টির আজ শোচনীয় অবস্থা। বস্তুত চালাকি করে কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতার আস্বাদ হয়তো পাওয়া যায়; কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এক সময় না এক সময় জনগণ কঠিনভাবে এদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তখন রাজনৈতিক আদর্শের মৃত্যু ঘটে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর উজ্জ্বল নজির এখনো দৃশ্যমান।

পরিশেষে বলা যায়, সরকারের মেয়াদ শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে সার্বিক জনমতের যাচাই গণতন্ত্রের স্বীকৃত পন্থা। এখানে লোভের বশবর্তী হয়ে কোনো চালাকি বা চতুরতার কোনো স্থান নেই। গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল। যে নির্বাচনে জনগণ নিশ্চিন্ত মনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এবং যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে; কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন আমাদের কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে না।

অত্যন্ত সুচতুরভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন গোষ্ঠীতন্ত্রে রূপান্তরিত হতে চলেছে। যা কারও জন্য শুভ নয়। এ থেকে জাতিকে আশু পরিত্রাণ দেওয়া দরকার। সরকারসহ সব রাজনৈতিক দল এবং জ্ঞান অরণ্যের বনস্পতি হিসেবে সমৃদ্ধ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ যৌক্তিকভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবির প্রতি উদার মনোভাব পোষণ করে বিপন্ন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। না হলে পুনরায় আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হলে আবার কোন অস্থিরতা তৈরি হয় তা কেউ বলতে পারে না।

সেক্ষেত্রে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন যেমন ব্যাহত হবে তেমনিভাবে দেশ হয়তো আরও পিছিয়ে পড়বে, যা কারও কাম্য নয়। মনে রাখতে হবে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতার লোভ গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে।

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

ইমেইল : : kirondebate@gmail.com

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.