রহস্য
ফ্রি র্যাডিকেলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে অমরত্বের পথে আরেকধাপ নিয়ে গেলেন বিজ্ঞানিরা। ইউনিভার্সিটি অব অলঙ্গং (University Of Wollongong) এর একদল গবেষকেরা ফ্রি র্যাডিকেল বা মুক্ত মূলকেরা কিভাবে তাদের কাজ শুরু আর বন্ধ করা যায় তার রহস্য উন্মোচন করেছেন কিছুদিন আগে। এ গবেষণা “নেচার কেমিস্ট্রি” তে এক নিবন্ধে উপস্থাপন করেছেন।
UOW এর অধ্যাপক স্টিফেন ব্লাঙ্কসবি এবং পিএইচডি এর শিক্ষার্থী ডেভিড মার্শাল,অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর অধ্যাপক মাইকেল কুট এবং তার দলের সাথে একসাথে কাজ করে এ গবেষণা কাজ সম্পাদন করেন। তারা আবিষ্কার করেন যে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মুক্তমূলকের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা চালু বা বন্ধ করার জন্য একটি সাধারণ পরিবর্তন (যেমন অম্ল বা ক্ষার যোগ করার মাধ্যমে PH পরিবর্তন করে) যথেষ্ট।
সমযোজী সিগমা বন্ধনের সুষম ভাঙ্গনের ফলে উৎপন্ন বিজোড় ইলেকট্রনযুক্ত পরমাণু বা মূলককে মুক্তমূলক বলে। এরা বিদ্যুৎ চার্জযুক্ত হয়না কারণ সমযোজী বোধন ভাঙ্গনের ফলে যে বিজোড় ইলেকট্রন মূলকটির থাকে তা বন্ধন তৈরির আগে তার নিজের কাছেই ছিল। মুক্তমূলক সাধারণত অত্যধিক সক্রিয় এবং ক্ষণস্থায়ী হয়। তাই এরা অন্য কোন আয়ন, অণু বা মূলকের ক্ষতি অর্থাৎ তার থেকে ইলেকট্রন নিয়ে নিজে পূর্ণতা লাভ করে ওই আয়ন, অণু বা মূলকের ক্ষয় সাধন করে।
অধ্যাপক ব্লাঙ্কসবি বলেন,মুক্তমূলকের কারণে আমরা বৃদ্ধ হই,আমরা জরাক্রান্ত হই আর সময়ের সাথে আমাদের আয়ত্তের জিনিসপত্র গ্রাস করে নেয়।
এর ফলে আমাদের গাড়ির রং থেকে শুরু করে দড়িতে কাপড় টাঙ্গানোর সুতায় রাখা ক্লিপ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এই গবেষণার প্রাপ্তি আমাদের নিয়ন্ত্রিতভাবে ও আধুনিক এবং আরও সুবিধাজনকভাবে মুক্তমূলক ব্যবহারের জন্য দিশারী হবে।
“মুক্তমূলকের একটু কুখ্যাতি রয়েছে কারণ এদের সক্রিয়তা অসাধারণ আবার কিছু ক্ষেত্রে বাছ-বিচারহীন। উদাহারনস্বরূপ বলা যায় মুক্তমূলকের অনিয়ন্ত্রিত বর্ধন দেহের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জৈবীয় অণু( আমিষ,ডি.এন.এ.) এর ক্ষতি সাধন করতে পারে। এর ফলস্বরূপ ক্যান্সার হতে পারে”।
এ গবেষণার একটি অংশ হিসেবে সম্পন্ন করা হয় কোয়ান্টাম রাসায়নিক হিসাব। এ হিসাব এ বিষয়ের ইঙ্গিত দেয় যে একটি জিনিসের ব্যাপক সম্ভাব্যতা রয়েছে আর তা হল প্রকৃতি হয়তবা জৈবীয়অণুসমূহকে মুক্তমূলকের ক্ষতি হতে রক্ষার জন্য ব্যবহৃত এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকতে পারে।
অধ্যাপক ব্লাকন্সকি UOW node of the ARC Center of excellence in Free-radical chemistry and Biotechnology এর পরিচালক। তিনি ব্যক্ত করেন, আমরা যদি এই অসাধারণ শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবে আমরা এ সব মূলকগুলো আমাদের প্রয়োজনvoid(0);মত প্রতিদিনের ব্যবহারের পলিমার এবং প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহার করতে পারব। এ ক্ষেত্রে গবেষকেরা দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায় এমন প্লাস্টিক তৈরির কাজ করছেন।
সুত্রঃ সায়েন্স এলার্ট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।