আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল তুরস্ক, নিহত ২

গোটা তুরস্ক বিক্ষোভে আবারও উত্তাল। আহত কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার সরকার বিরোধী এই বিক্ষভ শুরু হয়। রাজধানী ইস্তাম্বুলের কুর্তুলুসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। এছাড়া দেশের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় আরো একজন।

দীর্ঘ নয় মাস পর মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বেরকিন এলভানস (১৫)।

সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সে আহত হয়। গত জুন মাসে একটি রুটি কেনার জন্য সে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় বেরিয়েছিল। এসময় শহরটিতে প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপে এরদোগানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলছিল ব্যাপক বিক্ষোভ। তখন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ছোঁড়া পুলিশের টিয়ার গ্যাসে সে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ ২৬৯ দিন ধরে সে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিল এবং আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়ে ওঠেছিল।

মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তুরস্কে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলসহ দেশের ৩২টি শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। আঙ্কারার বিক্ষোভকারীরা শহরের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। তারা কয়েকটি সরকারি ভবনেও হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে তারা ব্যর্থ হয়।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও বোমা ছুড়ে মারে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জল কামান নিক্ষেপ করে। রাতভর সংঘর্ষ চলে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

বুধবার ইস্তাম্বুলের এক কবরস্থানে বেরকিনসে বেরকিন এলভানসের সমাহিত করা হয়।

তার নামাজে জানাজায় প্রচুর লোক সমাগম হয। লাল চাদরে ঢাকা কফিন ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। তার কফিনের সঙ্গে অংশগ্রহনকারী জনতা সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তারা এই হত্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোগানের রাজনৈতিক দল জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টিকে দায়ী করছে।     



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.