ঘরের কোনে একটা ল্যাম্পপোস্ট। এটা ঘরের কোণে কিভাবে আসলো আমি জানিনা। লাল রঙের ল্যাম্পপোস্ট। পাশেই বইয়ের আলমিরা, সেই আলমিরা দেয়াল বেয়ে ওপরে উঠে গেছে, তারপর ডালপালা ছড়িয়েছে দুই পাশে। মাঝে একটা কি যেন, তারমধ্যে অনেকগুলো শো-পিস রাখা, পাশেই দেয়ালে একটা ঘড়ি, বরাবরের মতো ভুল সময় দিচ্ছে।
ঘরের মাঝ বরাবর একটা বড় ঝাড়বাতি, তার আলোয় আলোকিত সবকিছু।
এগুলোর ঠিক উলটো পাশে সোফাটা। আর তার মাঝ আসনে আমি বসে আছি। বসে আছি না বলে শুয়ে আছি বলাই ভাল। কোলের ওপর ল্যাপটপ।
মাথার ওপর ফ্যান ঘুরছে জোরসে। মশারা এদিন ওদিক থেকে নানাভাবে ত্যক্ত-বিরক্ত করছে, কিছু করার নেই।
এত কিছুর মাঝেও আমার ঘুম পাচ্ছে খুব। শুক্রবারের রাত, রাস্তাঘাটে গাড়ির শব্দও নেই বললেই চলে। আমি বসা থেকে আধ বসা, আধ বসা থেকে আধ শোয়া হই।
আমার আরামে চোখের পাতা বুজে আসে।
ঘরের মাঝের যে ঝাড়বাতিটা সব কিছু আলোকিত করে রেখেছিল, হঠাৎ করেই বুঝি তার সে ক্ষমতা নেই। আলোগুলো আস্তে আস্তে নিভে আসে, অন্ধকার গ্রাস করে সবকিছু, সর্বনাশে।
শামীম আহমেদ
নিকেতন, ঢাকা
১৪ মার্চ, ২০১৪।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।