২০ ডিসেম্বর, ২০১২:
# ১। পাকিস্তান অন্য দেশের সাথে হোম সিরিজ খেলতে শারজা, আবুধাবি যেতে পারে আর বাংলাদেশের বেলাতেই শুধু তাদের দেশে যেতে হবে? অন্যান্য দেশ দূরের কথা, যুদ্ধবিদ্ধস্ত আরেক সন্ত্রাস রাষ্ট্র আফগানিস্তানও পাকিস্তান সফরে যায় না!
২। বার্সেলোনা ম্যানেজার টিটো ভিলানোভা রিল্যাপসে টিউমার ধরা পড়ায় সাময়িক ভাবে সরে দাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। মাত্র ৫ মাসে কোচিং এ তার রেকর্ড ২৭ ম্যাচে ২৩ জয়, ২ ড্র, ২ হার! কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ বাইরে থাকতে হতে পারে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ জর্ডি রউরা আপাতত পরের ম্যাচ পর্যন্ত দায়িত্ত্ব নিচ্ছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন ম্যানেজার হিসেবে ফিরতে পারেন সাবেক যুবদল এবং রোমা কোচ লুইস এনরিকে। ফিরতে পারেন সবার প্রিয় পেপ গার্দিওলাও।
২১ ডিসেম্বর, ২০১২:
# পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে খুব একটা খারাপ হতো না। অন্তত এই শীতে তো এখন আর এতগুলো কাপড় ধুতে যেতে হতো না!
# বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদককে নোবেল প্রাইজ দেয়ার কথা বলেছেন? বলতেই পারেন। বয়স বাড়লে এসব একটু-আকটু হয়ই।
কিন্তু সমস্যা তো অন্যখানে। প্রথম-আলো বিনোদন পাতার এই খবরটা প্রথম পেজে কেন ছেপেছে? নাহ্ִ, মতি ভাইয়েরও বয়স বাড়ছে!
২২ ডিসেম্বর, ২০১২:
# অঞ্জন দত্তের গাওয়া আমার খুব প্রিয় একটা লাইন আছে, 'আমার রাস্তা হাঁটে, আমি হাঁটি না'। এই অসাধারণ লাইনটার সাথে মিলিয়ে যে কুৎসিত লাইনটা আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো, 'আমার পেট বাড়ে, আমি বাড়ি না'!
# দু'-একটা দেশে রাজাকারদের বাঁচাতে ছোটখাট সমাবেশ হয়েছে। তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল রাজাকারদের বাঁচাতে প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানকে পর্যন্ত চিঠি পাঠানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে! এসবকে একটা বৃহৎ পরিকল্পনার নীল নকশা মনে করি। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে হামলা করা হবে।
আর সেটাই স্পর্শকাতর বাঙালিকে ক্ষুব্ধ করে দেবে। সরকারের অবস্থান হয়ে যাবে নড়বড়ে। যুদ্ধাপরাধের বিচার করা দুরে থাক, নিজেদের সামলানোর পথ পাবে না সরকার। কাজের কাজটা হয়ে যাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে যে 'ইস্যু' টা এখন খুব দরকার সেটা পেয়ে যাবে জামাত-শিবির।
ব্যাস। তুরষ্ক-আরব দেশগুলোকে দিয়ে এসব ন্যাক্কারজনক কাজ করাতে পারলে জঙ্গিদেশ পাকিস্তানের তালেবান-জঙ্গি দিয়ে একটা হামলা করাবে না, তা কিভাবে বিশ্বাস করি? আর যে প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে, সেটা থাকার পরেও বেনজির ভুট্টোর উপর হামলা হয়নি? পাকিস্তান আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা? ম্যান, ইউ আর কিডিং!
এতসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠাতে পারি না।
২৩ ডিসেম্বর, ২০১২:
# সেই ছোটকালে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আইসিসি ট্রফি জিতে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ারও বেশ আগে সাদাকালো টিভিতে যাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে ক্রিকেটের প্রতি যাবতীয় আকর্ষণ তৈরি হয়েছিলো, তিনি শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ২১ বছর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রায় সব রেকর্ড বগলদাবা করা পর আজ ওয়ানডে থেকে অবসরে গেলেন। নামের পাশে রেখে গেলেন ৪৬৩ ম্যাচ, ১৮৪২৬ রান, ৪৯ সেঞ্চুরী, ৯৬ ফিফটি।
প্রতিটা সংখ্যাই এক একটা বিশ্বরেকর্ড এবং প্রায় অলঙ্ঘনীয়। এবং কোনো যুক্তিতর্ক ছাড়াই বলে দিতে পারি, ক্রিকেট খেলাটারই 'সর্বকালের সেরা' শচীন।
আরাধ্য বিশ্বকাপ জেতার পর ওয়ানডে আর খেলেননি। সাম্প্রতিক টেষ্টেও ফর্ম নামের সাথে যাচ্ছে না। তাই অবসরের গুঞ্জন চলছিলোই।
ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়ে নিলেন। টেষ্ট বা সবধরণের ক্রিকেট থেকে কেন অবসর নিলেন না তার একটা ব্যক্তিগত যুক্তি বের করেছি। সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার ফর্মহীনতায় ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন, তা হতে পারে না। তাই দারুণ কিছু দিয়েই এই জীবন্ত কিংবদন্তির বর্ণাট্য ক্যারিয়ার শেষ হবে বলেই মনে হচ্ছে।
Click This Link
# মানুষটার স্বপ্নের পরিধি দেখলে,
লেখা পড়লে মন আপনাতেই ভালো হয়ে যায়।
আমার ছোটবেলা-বড়বেলাতে খুব
বেশি মানুষকে দেখে এতটা চমৎকৃত
হয়নি যতটা জাফর ইকবাল
স্যারকে দেখে হয়েছি। বাংলাদেশে আরও কিছু 'জাফর ইকবাল স্যার' এর খুব প্রয়োজন বোধ
করি। আজ স্যারের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন
স্যার। ভালো থাকবেন।
আমাদের মত তরুণদের
জন্য স্বপ্ন বুনে যাবেন।
২৪ ডিসেম্বর, ২০১২:
# ছোটবেলায় বিকালে খেলার জন্য ১ ঘন্টা সময় দিতো। প্রথম প্রথম এক ঘন্টার মাঝেই ফিরতাম। কিছুদিন পর দেড় ঘন্টা। তখনও মা-বাপি কিছুই বলতো না।
শুধু মনে করিয়ে দিত, আমি আমার সময় জ্ঞান হারাচ্ছি। এরপর দুই ঘন্টা বা তারও পরে শিশুপার্ক থেকে ফিরতাম। একটু রাগ করা শুরু করলো। আমি থোড়াই কেয়ার! এরপর সন্ধ্যা করতে শুরু করলাম। সে কী ক্রিকেটের প্রতি নেশা! হঠাৎ একদিন বিকেল বেলায় দেখি দরজায় একটা তালা ঝুলানো।
মা কে জিজ্ঞাসা করার সাহস হয়নি। বাপিকে জিজ্ঞাসা করলাম। উত্তর পেলাম, না চাইতেই অনেক কিছু দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমি আমার লিমিট ভুলে গেছিলাম। এবং দরজার তালাটা তারই ফল।
এরপরও হয়তো ভুল একাধিকবার করেছি কিন্তু শিক্ষাটা আর দেওয়া লাগেনি।
২৫ ডিসেম্বর, ২০১২:
# ধর্ম আমার কাছে মুখ্য ব্যাপার না। বিশেষ কিছুও না। তবে উৎসব অবশ্যই বিশেষ কিছু। সেন্ট জোসেপস্ִ এ স্কুল জীবন কাটানোর পরেও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বন্ধু ছিলো হাতে গোনা কয়েকজন।
ফেসবুকে এসে দু'জনকে পেলাম। এবং অবাক হয়ে খেয়াল করলাম দু'জনই বিবাহিত! একজনের তো 'ইথান' নামে বেশ বড়সড় একটা ছেলেও আছে! খুব ভালো বন্ধু @[1404630249: Joash Nitol Baroi] এবং @[1681779465: Rocky D. Baroi] কে, ইথানকে, তোদের পরিবারের সবাইকে সহ আমার ফেসবুক বন্ধু তালিকার সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। উৎসবে ভাসুক দেশ।
# মাঝে মাঝে মনে হয় 'ভালোবাসি' শব্দটাই, শুধু এই একটা শব্দই ভালোবাসাতে খানিকটা অপূর্ণতা জিয়িয়ে রাখে। আরও একটা জিনিস মনে হয়, বেশিরভাগ মানুষ যাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তাদের কখনো 'ভালোবাসি' শব্দটাই বলেনি।
সজ্ঞানে মা-বাপিকে কোনোদিন ভালোবাসি বলেছি; মনে পড়ে না। শব্দটার বিরোধী দল হতে ইচ্ছে করে কালে ভদ্রে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।