আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বখ্যাত ছয়জন চিত্রশিল্পী ও লেখক- যারা অত্যন্ত হতদরিদ্র ও নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

মানুষের জীবন কখনও তার পরিকল্পনামতো চলেনা। আজ যে ছয়জন গুণী মানুষের কথা বলব তারা ভাগ্যেল নির্মম পরিহাসে জীবনের করুণ পরিণতিকে বরণ করে নিয়ে এই কঠিন সত্যটাকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। কর্মহীনতা, একাকিত্ব ও ভগ্নহৃদয়- এই তিনটি শব্দ নিয়ে আমরা নানারকম কথামালা সাজাতে পারি। কিন্তু আমরা কেউ চাইবনা আমাদের জীবনের সমাপ্তিটা এদের কঠিন ছোবলে হোক।



আমি আগেই বলেছি যে মানুষের জীবন কখনও তার পরিকল্পনামতো চলেনা। সেজন্যই নিজেদের মেধা, মনন ও সৃষ্টিশীলতা দ্বারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বিশ্বখ্যাত ছয়জন চিতত্রশিল্পী ও লেখকের মৃত্যু হয়েছে অত্যন্ত করুণভাবে নিঃসঙ্গ অবস্থায়। তাদের দেহাবশেষ আবিস্কৃত হয়েছে মৃত্যুর পরে। জানা যায় যে, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা একজন বিশ্ববিখ্যাত আর্টিষ্টের চেয়ে দারিদ্রতা এবং নিঃসঙ্গতার কারাগারে বেশী করে বন্দী ছিলেন।

১) ইগন সেলী (Egon Schiele) ঃ


১৯১৮ সালে স্পেনে ইনফ্লোয়েঞ্জায় প্রায় ২ কোটি লোক মারা গিয়েছিল।

ইগন তাদেরই একজন। ২৮ বছর বয়সী ইগন এবং তার ছয় মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ইডিথ সে সময় ভিয়েনায় একটি ছোট্ট এপার্টমেন্টে বাস করতেন। ইনফ্লোয়েঞ্জায় প্রথমে ইগন এর স্ত্রী ইডিথ মারা যায়। এর তিন দিন পর স্ত্রীর মৃতদেহের ছবি আাঁকা অবস্থায় শূণ্য ফ্ল্যাটে ইগন মারা যায়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইগনের কোন আহার বা পানীয় জোটেনি বলে আন্দাজ করা হয়।



২) পল গাউজিয়ান (Paul Gaugian) ঃ

ইউরোপে কলোনিয়াল সাম্রাজ্যবাদের বিস্তারের সময় তিনি প্রচুর অর্থের মালিক ছিলেন। চিত্রশিল্পী হিসেবে তার যেমন সুখ্যাতি ছিল তেমনি ছবি এঁকে বহু মহিলাকে প্রতারিত করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে ১৯০৩ সালে তার বিরুদ্ধে যখন কারাবাসের আদেশ হয় তখনই তিনি নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সিফিলিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর তার শরীরে অতিরিক্ত মরফিন গ্রহণের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল।



৩) এল গ্রেসু (El Greco)ঃ

া তাকে বলা হতো ষ্পেনিস রেঁনেসার মাস্টার। তার অনুগতদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া ইউরোপের অনেক চিত্রশিল্পীর কাছে তিনি ছিলেন অনুকরণীয় রোল মডেল। বিপুল পরিমাণ অনুগত ফ্যান থাকা সত্তেও তিনি ১৬১৪ সালে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

৪) জনাথন সুইফট (Jonathan Swift) ঃ


অত্যন্ত সুদর্শন এই লেখকের মৃত্যু সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে।

অনেকের ধারণা তিনি নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। যতটুকু জানা যায় তিনি জেন নামের এক মহিলাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন যে সে যদি তাকে প্রত্যাখান করে তবে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। শেষ পর্যন্ত ঐ মহিলা তাকে প্রত্যাখান করলে তিনি তাই করেন।

৫)অসকার ওয়াইল্ড (Oscar Wild) ঃ
তার জীবনের সর্বশেষ কথার মধ্যেই তার জীবনের পরিণতির ইংগিত পাওয়া যায়।

তিনি বলেছিলেন আমি এবং আমার ওয়ালপেপার মৃত্যুর জন্য একটি দ্বৈত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। আমাদের মধ্যে যে কোন একজন এটা পাবে। তার বিরুদ্ধে হমো সেক্সুয়ালিটির অভিযোগ ছিল। আইনী লড়াইয়ে জড়িয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত কপর্দকহীন হয়ে পড়েন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সম্পূর্ণ কপর্দকহীন অবস্থায় একটি হোটেল কক্ষে একাকী বেঁচে ছিলেন তিনি।

অথচ কর্মগুলো ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।

৬) এমিলি ডিকেনশন (Emily Dickension)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.