আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিগারেট, ছাড়তে চাইলেও কেন ছাড়তে পারি না।

Electronic Medical Index of Bangladesh

“আমি আর সিগারেট, একসাথে আছি বহুদিন। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কথা জেনেও ধূমপান করি, তবে কখনো ছাড়তে চাইনি বা ছাড়ার চেষ্টা করিনি তা নয়, ছাড়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। কখনো এমন হয়েছে, সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি তবে শুরু করতে হয়েছে আবারও”। এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিলেন একজন ধূমপায়ী যিনি ধূমপান করছেন দীর্ঘ ১১ বৎসর। এমন অভিজ্ঞতা শুধু একজনের নয়, ধূমপান ছাড়তে চেয়েও ছাড়তে না পারার অভিজ্ঞতা রয়েছে শতকরা ৮০ ভাগ ধূমপায়ীরই, হয়তো আপনারও।

কিন্তু কেন?

বিজ্ঞানীরা এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেয়েছেন তাদের গবেষণায়, আসুন জেনে নিই তার ফলাফল-

এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা ১৯ থেকে ৬১ বৎসর বয়সী ৩৭ জন ধূমপায়ীর মস্তিস্ক পর্যবেক্ষণ করেন। ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কে কি ধরনের ক্রিয়া হয় এবং দীর্ঘ সময় ধূমপান থেকে বিরত থাকলেই বা কি হয় তা জানতে বিজ্ঞানীরা ধূমপান পরবর্তী সময়ে এবং ২৪ ঘণ্টা ধূমপান থেকে বিরত থাকার পর ধূমপায়ী ব্যক্তিদের মস্তিস্ক স্ক্যান করেন। এতে তারা মস্তিষ্কে এক ধরনের নিকোটিন উইদ্রোয়াল ইফেক্ট অর্থাৎ দীর্ঘসময় নিকোটিন গ্রহন না করার ফলে মস্তিস্কের ক্রিয়ায় একধরনের পরিবর্তন লক্ষ করেন। নিকোটিন হচ্ছে সিগারেট বা তামাকের মূল উপাদান যা মানুষকে বারবার ধূমপান বা তামাক সেবনে আকৃষ্ট করে।



পর্যবেক্ষণ থেকে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে দীর্ঘসময় ধূমপান না করার ফলে মস্তিষ্কের ক্রিয়ায় যে পরিবর্তন হয় তা মূলত ধূমপায়ী ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তিকে প্রভাবিত করে যা ঐ ব্যক্তির ধূমপান না করার অর্থাৎ ধূমপান ত্যাগ করার ইচ্ছাকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে ঐ ব্যক্তি পুনরায় ধূমপান করার প্রবল তাগাদা অনুভব করেন এবং ধূমপান ত্যাগ করার ইচ্ছাকে আঁকড়ে থাকতে ব্যর্থ হন।

গবেষকরা মনে করেন এই ফলাফল ধূমপায়ী ব্যক্তির ধূমপান ত্যাগ না করতে পারার একটি যৌক্তিকতার প্রমান, তবে এই ফলাফল ধূমপান ত্যাগ করার ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক সমাধানের পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে বলেও বিজ্ঞানীরা আশা করেন।

তথ্যসূত্রঃ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।