আসিফ ইকবাল কাজল
সড়ক দূর্ঘটনায় সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর পর সাত এতিমসহ বার সদস্যের সংসার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সত্তর বছরের বৃদ্ধ সদর উদ্দীন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামে খেয়ে না খেয়ে সদার উদ্দীনের অসহায় পরিবারে এখন টিকে থাকার অব্যক্ত যন্ত্রনা আর হতাশা বিরাজ করছে। যে পরিবারে রয়েছে দেড় বছরের শামীমা, দুই বছরের সাগরিকাদের মত আরো পাঁচজন শিশু ও কিশোর। রয়েছে দুই বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তাসহ সদর উদ্দিনের বয়স্ক স্ত্রী শাহনাজ পারভীন। এই বিশাল পরিবারটি এখন বৃদ্ধ সদর উদ্দিনের কাঁধে চেপে অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন।
গ্রামের মানুষ, প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, রাজনিতিবীদ থেকে শুরু করে সবাই সদর উদ্দিনের দু:খের কথা আলোচনা করলেও মিলছে না কোন আর্থিক সহায়তা। শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, জানান, গত পহেলা মার্চ বার সদস্যের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শামীম হোসেন সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। নিহত শামিমের সংসারে স্ত্রী জলি খাতুন ছাড়াও রায়েছে তার আট বছর বয়সী ছেলে ইব্রাহিম, চার বছরের ছেলে লাহাদ ও দেড় বছর বয়সী কন্যা শামীমা। এ ছাড়া অনেক আগ থেকেই শামিমের কাঁধে ভর করেন বড় বোন বিধবা মঞ্জুরা খাতুনসহ তার তিন সন্তান এবং সঙ্গে স্বামী পরিত্যাক্তা আরেক ছোট বোন আঞ্জুরা ও তার দুই বছরের মেয়ে। সব মিলিয়ে বৃদ্ধ সদর উদ্দীনের পরিবারটিতে এখন সাত নাতী পুতি, নিজের স্ত্রী, ছেলের বউ ও দুই কন্যাসহ বার জনের বড় সংসার।
বৃদ্ধ সদর উদ্দীন জানান, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুই কন্যা ও তাদের সন্তান নিয়ে ছেলে শামিমের সংসার ভালই চলছিল। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে শামিমের অকাল মৃত্যু তাদেরকে অনিশ্চিত ভবিষ্যাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখন সহায় সম্বল বলতে তার আছে একটি দোচালা ছাপড়া আর ভিটে বাড়ি। সদর উদ্দিন জানান, ছেলে শামীম হোসেন ছিল একজন নছিমন চালক। আর বিধবা বড় মেয়ে মঞ্জুরা খাতুন শহরে ঝি’য়ের কাজ করে।
ছোট মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা অসুস্থ আঞ্জুরার কোলে এক সন্তান। সদর উদ্দিনের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন জানান, সমাজে কত বিত্তবান মানুষ রয়েছে। তাদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে এতিমের এই সংসারটি খেয়ে পরে বাঁচতো। স্থানীয় সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান মামুন জানান, অসহায় সদর উদ্দিনের পরিবারকে সহযোগিতার জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছি। তিনি এই অসহায় পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য বৃত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।