জনপ্রতিনিধির অভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনে জনদুর্ভোগ বেড়েছে সীমাহীন। এ দুর্ভোগ এড়াতে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক পদে এবার রাজনীতিক নিয়োগের চিন্তাভাবনা চলছে। প্রশাসক পদে বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের (অতিরিক্ত সচিব) নিয়োগ দেওয়া হয় যারা ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও জনসমস্যা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার আগেই প্রশাসকরা বিদায় নেন।
এ সংকট সমাধানের বিষয় সামনে রেখে ঢাকা সিটি করপোরেশনে প্রশাসক পদে রাজনীতিক নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে।
জানা গেছে, প্রশাসক পদে এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে যারা ভবিষ্যতে মেয়র পদেও নির্বাচন করতে পারবেন। পাশাপাশি দলকে গতিশীল করতে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের প্রশাসক পদে সাবেক মেয়রপুত্র সাঈদ খোকন ও উত্তরে সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহর নাম। তবে বর্তমানে যারা নগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন তাদেরও যথার্থ মূল্যায়ন করা হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সিটি করপোরেশনে প্রশাসক পদে রাজনীতিক নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন নীতিনির্ধারক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমান সরকার জনদুর্ভোগ লাঘবে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে রাজনীতিকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ কারণে প্রশাসক পদে রাজনীতিক নিয়োগের চিন্তাভাবনা চলছে।
তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অতীতে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সরকারের আমলে ঢাকা সিটি করপোরেশনে প্রশাসক পদে রাজনীতিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সরকারের উচ্চপর্যায়ে সে বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।