আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা হতে হবে নিঃশর্ত। দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে। মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করতে হবে। বাবা-মা, স্ত্রী-পুত্র, আত্দীয়স্বজন কারও প্রতি ভালোবাসা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহর প্রতি বান্দার নিখাদ ভালোবাসার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
ইরশাদ করা হয়েছে, 'এবং যারা ঈমান এনেছে তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা অত্যন্ত প্রবল। ' (সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৫)
মুমিনদের কাছে ভালোবাসার কেন্দ্রস্থল হলো রাব্বুল আলামিন আল্লাহ। বাবা-মা-সন্তান, স্বামী-স্ত্রী, আত্দীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের প্রতি মুমিনদের যে ভালোবাসা তা হতে হবে মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও নির্দেশের অধীন। আল্লাহর প্রতি মুমিনদের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাচরণের দিকে তাকালে অনুভব করা যাবে। আল্লাহর ধ্যানে থাকা সময় তিনি দুনিয়ার সব কিছুকেই ভুলে যেতেন।
আল্লাহ ছাড়া তার অনুভূতিতে অন্য কারও উপস্থিতি থাকত না। হজরত আবু বকর (রা.) ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে প্রিয়ভাজন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছিলেন সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী। কিন্তু আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় মগ্ন থাকার সময় তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী ও প্রিয় সাহাবির কথাও ভুলে যেতেন। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের দুনিয়াদারির সব কিছুর ঊধের্্ব আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি আনুগত্যের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের সূরা তাওবার ২৪ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, "বল তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তাহার রাসূল এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভ্রাতা, তোমাদের পত্নী, তোমাদের স্বগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যাহার মন্দা পড়ার আশঙ্কা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালোবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত। ' আল্লাহ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। "
লেখক : ইসলামী গবেষক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।