বাংলাদেশে অনেক রকম পেশাজীবী সঙগঠন আছে তারা যত না পেশার উন্নয়নের জন্য করেন তারচেয়ে বেশি করেন নিজেদের উন্নয়নে। তেমনি একটা সংগঠনের নাম-স্বাচিপ ! স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ। তারা গত কয়েকদিন রাজশাহীতে কি পরিমাণ স্বাধীনতা বিলিয়েছেন তা একমাত্র ভুক্তভোগীরা জানেন। একজন ডাক্তার রাষ্ট্রের টাকায় র্ভতুকি দিয়ে লেখাপড়া করবেন কিন্তু সেবা দিচ্ছে টাকার বিনিময়ে যখন উনি বিদ্যাটা শেষ করে পেশায় যাবেন,তাতে আমাদের কি কিছু বলার আছে? উনারা বলেন, আমরা হাজার হাজার রোগী ভাল করি কিন্তু একজন মারা গেলে আমাদের জেলে ঢুকানো হবে এটা মানা যায় না। আমাদের কথা হল-ডাক্তারদের সম্পর্কে জনগণ কি ভাবেন ? জনগণ ডাক্তারদের আর আগের মত শ্রদ্ধা করেন না।
তাদেরকে কসাই বলতে এতটুকু দ্বিধা করেন না। তাদের সেবা আর টাকা নেয়ার মান এতটা শ্রদ্ধা র্পূণ যে মানুষ একেবারে তিতিবিরক্ত। তারা কোম্পানীর লোকদের কে সময় বেশি দেন একজন রোগীর চেয়ে । সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ভিজিট নেন অথচ রোগীকে এক মিনিট সময় দেননা। রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে যত পরীক্ষা সবই উনি সাজেশন দেবেন!! সর্বদাতা তিনি যেন!! একটা উদাহরণ দিই --গত দিনদুয়েক আগে আমি আমার পেশাগত জাযগা থেকে এক মেডিকেল কলেজের ডাক্তারকে ফোন করেছিলাম-তিনি বললেন আমি এখন অপারেশন থিয়েটারে আছি একটু পরে আপনাকে আবার ফোন করব।
একবার ভাবুন তো তিনি কি একজন পেশাদার মানুষ হিসেবে অপারেশন থিয়েটারে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারেন? তিনি ফোন রিসিভ করেতে পারেন? তিনি কি ম্যানার জানেন না । এটাতো আর ক্লাস রুম বা গবেষণা সেন্টার নয় !!! যা হোক আসল কথায় আসি প্রত্যেক পেশার ও পেশাদারি মানুষের জবাবদিহিতা আছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীরা পর্যন্ত এর থেকে বাদ যায় না । একজন প্রধানম্ত্রী কে পর্যনত জেল যেতে হয়,জরিমানা হয় তাদের কর্মকৈফিয়ত দিতে হয় । আর ডাক্তাররা কি এর বাইরে । তারা রোগীকে জিম্মি করে রাজশাহীতে কয়েকদিন যাবৎ ডাক্তাররা যে আন্দোলন করছে তা অনৈতিক এবং আইনবিরুদ্ধ।
হাইর্কোট ডাক্তার শিমুলেকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেনে আর এর প্রতিবাদে অন্য ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন । তারা একদিকে দুইটা অপরাধ করেছেন-প্রথমত আইনভঙ্গ আর দ্বিতীয়ত কর্ম বিরতী পালন। স্বাচিপ কি বলতে পারবে যেসব ডাক্তার কর্মফাঁকি দিয়ে যেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল সেখানে না গিয়ে শহরে রোগী ভিজিট করে রাষ্ট্রের অসামান্য ক্ষতি করেছে। সেক্ষেত্রে স্বাচিপ কি দায়িদ্ব পালন করেছে? আসলে তারা -সেটা স্বাচিপ হোক,ট্রেড ইউনিয়ন হোক,সাদা দল,নীল দল,সমথির্ত আইনজীবী সমিতি,দোকান সমিতি,ব্যবসায়ী সমিতি,কাঁচা বাজার সমিতি,আমলা সমিতি,শিক্ষক সমিতি হোক সবাই একই দোষে দুষ্ট। তারা দলবাজ,তাদের আচরণ সংঘবব্দ চোর-ডাকাতের মত ।
তাদের হাত থেকে এদেশের মানুষ মুক্তি চাই। গত কয়েক মাস আগে চট্টগ্রামে ও একই কান্ড তারা করেছিল। ফার্মেসী ওয়ালার দুই নম্বরী ওষুধ বিক্রি করে করে ধরা খেয়েছিলেন র্যাবের হাতে আর তারা প্রতিবাদ স্বরুপ তারাও দোকান বন্ধ রেখে আন্দোলন করে জামিন থেকে চোরকে মুক্ত করেছিল এখন একই পন্থায় ডাক্তাররা মিলে তা করছে পার্থক্য এই তা, শুধু শিক্ষাগত! এই দেশ আসলে পচা নষ্ট ভ্রষ্টদের হাতে গেছে এখানে উৎপন্ন হয়- পচা নষ্ট ভ্রষ্ট। এদেশ ৭১ সালে স্বাধীন হয়েছে আসলে তা না তখন থেকে মৃত্যুর শুরু হয়েছে বটে!!! তা না হলে এমন তো হওয়ার কথা নয়। শুধু প্রাকৃতিক দূযোর্গ নয় মানুষসৃষ্ট র্দূযোগে ও বাংলাদেশ ও এর সমাজ একেবারে ধ্বংস হয়েগেছে যা আছে তা কঙ্কাল।
এই রক্তমাংসহীন কঙ্কাল নিয়ে বেশি দূর এগোনো যাবে না এটা নিশ্চিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।