আমি ভালবাসি আমার আল্লাহকে, প্রিয় রাসুল এবং আমার দেশকে। খোলামেলা কথা পছন্দ করি। অল্পতে কষ্ট পেয়ে বসি, আবার অল্পতেই ভুলে যাই সব দুখঃ। তবে কারো উপকার-অবদান ভুলতে পারিনা জীবনভর। পছন্দ করি উদার, স্বচ্ছ ও খোলামনের মানুষকে, ঘৃণা করি গোঁড়া ও অহংকারীকে।
কর্ম:-
টিভিভর্তি যৌনতা?
উহা তো সিনেমা!
কাগজভর্তি যৌনতা?
উহা তো কবিতা!
ক্যাসেটভর্তি যৌনতা?
উহা তো সঙ্গীত!
বিলবোর্ডভর্তি যৌনতা?
উহা তো বিজ্ঞাপন!
ক্যানভাসভর্তি যৌনতা?
উহা তো পেইন্টিং!
পাথরভর্তি যৌনতা?
উহা তো ভাস্কর্য!
স্টেজভর্তি যৌনতা?
উহা তো বিনোদন!
সমগ্র পৃথিবীর
খাঁজে-ভাঁজে মাংসে-অংশে পাহাড়ে-
নহরে উদ্যানে-বিদ্বানে যৌনতাই
যৌনতা?
ফল:-
বাসে ধর্ষণ-বাসায় ধর্ষণ,
রেলে ধর্ষণ-রেল স্টেশনে ধর্ষণ,
খেলায় ধর্ষণ-মেলায় ধর্ষণ,
মাঠে ধর্ষণ-পাঠশালায় ধর্ষণ,
ধর্ষণ-ক্ষেতে ধর্ষণ-খামারে,
ধর্ষণ গাঁয়ে -ধর্ষণ শহরে,
কিশোরী ধর্ষণ-তরুনী ধর্ষণ,
মধ্যা ধর্ষণ-বৃদ্ধা ধর্ষণ,
কোচিংয়ের নামে ধর্ষণ-পড়ানোর
নামে ধর্ষণ,
রাজনীতির নামে ধর্ষণ-নেত্রী বানানোর
নামে ধর্ষণ,
মডেলিংয়ের মানে ধর্ষণ-অভিনয়ের
নামে ধর্ষণ….
পরিত্রাণ:
দিকে দিকে নগ্নতা, অশালীন বিলবোর্ড, আলো আঁধারীতে স্বল্প বসনা নারীর যৌন সুড়সুড়ি জাগানো উন্মত্ত নৃত্য, উত্তেজক গানের লিরিক- এত খাদ্যের পরিবেশনের পরেও যদি আশা করা হয় যে, নারী পুরুষ আদিম উন্মত্ততায় মেতে উঠবে না, সংযত রাখবে নিজেকে, তাহলে সেটা চরম মূর্খতা।
ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার উপকরণ না কমিয়ে কেবল ধর্ষককে শাস্তি দেয়াটা এক ধরণের জুলুম। শাস্তি হওয়া উচিত ঐসব মিডিয়াম্যনদেরও, যারা প্রজন্মকে উৎসাহিত করে দেয়ালবিহীন সম্পর্কে... অথবা প্রদর্শন করিয়ে বেড়ায় গোপন সৌন্দর্য। যার ফলে একের পর এক ধর্ষক জন্ম নিচ্ছে সমাজে। এসমাজে হাতেগোনা কিছুলোক ছাড়া সবাই ধর্ষণ করে, বা ধর্ষণেরে চেষ্টা করে।
কেউ ধরা খায়, আর কেউ খায় না। শাস্তি হওয়া উচিত সেসব মিডিয়া ও সুশীলদের যারা তাদের উম্মাদনা সৃষ্টি করেছেন, পশুত্বকে জাগ্রত করেছে। আর সেজন্যই আমার দাবি, টাঙ্গাইলের বোনটির ধর্ষকদের সাথে তাদের উদ্বুদ্ধকারী চেতনাকেও গ্রেফতার করা হোক, বেকসুর খালাস দেওয়া হোক বোরকা ও হিজাবকে।
কারো সামনে কাঁচা তেঁতুল প্রদর্শণের ব্যবস্থা করে যদি বলা হয়, জিবে জল আসতে মানা, কিংবা কাউকে সুড়সুড়ি দিয়ে যদি বলা হয় যে, হাসা যাবে না-তবে বিষয়টা যেমন অযৌক্তিক হবে, তেমনই অযৌক্তি হলো নারীদেহ প্রদর্শণ করে ধর্ষণ ও ইভটিজিং না করতে বলা। তেঁতুল ও সুড়সুড়ি মানুষের একটি ইন্দ্রীয়ের উপর প্রভাব বিস্তার করে, আর নারীর মোহনীয়তা মানুষের... সবগুলো ইন্দ্রীয়কে আকর্ষণ করে, দুর্বল করে দেয়।
সহীহ মুসলিমের এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসুল সা: বলেছেন-একজন বিজ্ঞ পুরুষের বিবেকের উপর প্রভাব বিস্তার করে তার মস্তিষ্ক নষ্ট করে দেওয়ার মতো সবচে বড় কার্যকর অস্ত্র হলো- নারী। সুতরাং নারীর সম্মান রক্ষার স্বার্থেই নারীকে সংযত হতে হবে। এতে অসম্মানের কিছু নেই। সকল আকর্ষণীয় ও মুল্যবান বস্তু সংরক্ষণে এক্সট্রা উদ্যোগ থাকে।
আল্লাহ বলেন-মানুষের হাতের কর্মফলে, জলে ও স্থলে ফাসাদ দেখা দিয়েছে।
আরএটা এজন্য, যেন তারা নিজ কৃতকর্মের সামন্য ফল ভোগ করে।
আশা করা যায় যে তারা ফিরে আসবে। (সঠিক পথে) সুরা রোম-৪১
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, -যারা আমার স্মরণ বিমুখ হয়ে গেছে, নিশ্চই তাদের জন্য রয়েছে সংকীর্ণ ও কোণঠাসা জীবন। -সুরা ত্বহা-১২৪-১২৭
উভয় আয়াতের আলোকে পরিত্রাণের উপায় হলো আল্লাহর নির্দেশের পথে চলা। পর্দা মনে চলা, পর্দাহীনতা বর্জন করা।
অনেকে মনে করেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের আসল কারণ মানসিকতা, পোষাক নয়। কথাটা কিছুটা যুক্তিসঙ্গত হলেও আমি তাদের কয়েকটি কথা বলতে চাই।
(১)প্রকৃত পর্দা মেনে চলা কোন মেয়ে বা পরিবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা আমার জানা নেই। আর যদি ঘটেও থাকে কোথাও, তবে তার কারণও সেই পর্দাহীনতা এবং ব্যভিচারের কুরআনিক শাস্তি কার্যকর না থাকা। কেননা, বেহায়াপনার সমাজে একজন যুবক যখন চতুর্দিকে নারীদেহের উত্তেজক প্রদর্শনী ও দেহের প্রতি আহবানের খেলা দেখতে থাকে, আর বিকৃত রুচির পুরুষ প্রদর্শিত নারীকে হাতের নাগালে না পায়, তখন কি হয় জানেন? তখন সে যাকে হাতের কাছে পায়, দূর্বলতা বুঝে তার উপর চড়াও হয়।
সে হতে পারে কাজের বুয়া বা গ্রামের কোন গরীব মানুষ বা নিকটজন কেউ। (২)সুন্দর ও পর্দাশীল সমাজে এমন ঘটনা লাখে একটা ঘটতে পারে বড়জোর। যা কোন অবস্থাতেই হিসেবে আনা যাবে না। সৌদি আরবে আমি থাকি। এখানে পর্দাশীল সমাজ রয়েছে।
সৌদির অনেক সমালোচনার জায়গা থাকলেও নারীর নিরাপত্তায় বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে এগিয়ে। (৩) মানসিকতার দায় ও দোহায় তোলা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। যেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সেটা হলো অশ্লীলতা। ষোলকোটি মানুষের মাসিকতা ঠিক করা যাবে না।
ধুলা থেকে পা বাচাতে দুনিয়া ঝাড়ু না দিয়ে জুতা পরে নিতে হয়। আমাদের যারা মুরুব্বী, সেসব পশ্চিমা বিশ্বের মানসিকতা তো অনেক উঁচু, সেখানে এগুলো অনেক অনেক হয়।
শেষ কথা হলো- এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো-(১) যথাযথ পর্দার চর্চা করা এবং অশ্লীলতা - নগ্ন ও অর্ধ নগ্ন দেহের প্রদর্শন বন্ধ করা। (২) যৌন সুড়সুড়ি যোগায় এমন লেখা ও প্রচারণা বন্ধ করা। (৩) ব্যভিচারের কুরআনিক শাস্তি জনসম্মখে (পস্তর নিক্ষেপ কোন জরুরী নয়) মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা।
ধর্ষনের হার অনুযায়ী ২০৬ দেশের মধ্যে প্রথম ৫ দেশঃ
১) South Africa: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১১৯৫ জন ধর্ষিত হয়।
২) Australia: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৭৭ জন ধর্ষিত হয়।
3) Canada : প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৩৩ জন
নারী ধর্ষিত হয়।
৪) Zimbabwe: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪৫৭ জন নারী ধর্ষিত হয়।
৫) U.S.A: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩০১ জন নারী ধর্ষিত হয়।
এবার দেখুন তালিকার শেষের ৫ টি দেশ:
১) Saudi Arabia: শেষের দিক থেকে ১ নম্বর। এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ২ জন ধর্ষিত হয়। শরিয়া আইন এ চলে। মেয়েদের পর্দা না করে বের হওয়া মানা।
২) Azerbaijan: শেষের দিক থেকে ২ নম্বর।
প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
৩) Yemen: শেষের দিক থেকে ৩ নম্বর। প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক।
৪) Indonesia : এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৫ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
৫) Oman: এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৮ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
Source: Official cold case investigations for raperecords
????? !!!!!!! !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।