এই হারে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের শেষ চারে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। তিন খেলায় দুই পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে তারা। চার খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪ পয়েন্ট করে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ঠিক পেছনেই আছে শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ড। সোমবার এক নম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে এই দুটি দলই মুখোমুখি হবে।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
কুইন্টন ডি ককের (২৯) সঙ্গে হাশিম আমলার ৬৫ বল স্থায়ী ৯০ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে চমৎকার সূচনা এনে দেয়। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম অর্ধশতকে পৌঁছানো আমলার (৫৬) ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্বা।
৮ রানের ব্যবধানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর জেপি ডুমিনির রান-আউটে অস্বস্তিতে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ধীর ওভার রেটের কারণে এই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। তার বদলে দলকে নেতৃত্ব দেয়া এবি ডি ভিলিয়ার্সের (অপরাজিত ৬৯) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুইশ’ রানের কাছাকাছি যায় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ। ম্যাচ সেরা এই ব্যাটসম্যানের ২৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ৯টি চার ও ৩টি ছক্বায়।
জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
মাইকেল লাম্বের (১৮) সঙ্গে আলেক্স হেলসের ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিল।
২৮ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন ওয়েইন পার্নেল।
অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে হেলস (৩৮) ও মঈন আলীকে (১০) বিদায় করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মুম্বাইয়ে মাদক সংক্রান্ত মামলায় আদলতে হাজিরা দিয়ে ফেরা পার্নেল।
৭৩/১ থেকে ১০৫/৪-এ পরিণত হওয়া দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন পার্নেলের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া জস বাটলার (৩৪) ও রবি বোপরা (৩১)।
ডেল স্টেইনের করা শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। দারুণ একটা চেষ্টা করেছিলেন টিম ব্রেসন্যান (৪ বলে অপরাজিত ১৭)।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি।
৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পার্নেলই দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার। তবে ২৭ রানে ২ উইকেট নেয়া স্পিনার ইমরান তাহিরের অবদানও কম নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের দ্বিতীয় ও অষ্ঠম ওভারে দুবার ফ্লাডলাইট বন্ধ যাওয়ার কারণে দশ মিনিট করে খেলা বন্ধ থাকে। এর আগে সুপার টেনে শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস এবং আফগানিস্তান-নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচটিও ফ্লাড লাইট বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।