মানুষ আমার সাধন গুরু. সেই মোকামে যাত্রা শুরু আমার বন্ধু মেধাবী সাংবাদিক বিপুল হাসানকে নিয়ে নানারকম মিথ্যাচার ও বানোয়াট কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু না লিখে পারছি না। কিছু নন ক্রিয়েটিভ লোকের চক্রান্ত আর নিজের দূর্ভগ্যের কারণে বেচারা এ মুহূর্তে একদম নিজের মধ্যে গুটিয়ে গেছে। তাকে সাহস দেওয়ার জন্যই আমার এই লেখা।
কোন বিষয় নিশ্চিত না হয়ে তা নিয়ে কিছু লেখা বা মন্তব্য করা অনুচিত। অথচ ঢালাওভাবে বিপুল হাসানকে হোন্ডা চুরি আর সাইবার ক্রাইমের অপবাদ দেওয়া হয়েছে।
এমন কি মামলা মোকাদ্দমার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
আমি বিপুল হাসানকে চিনি। ১২ বছর ধরে সে সাংবাদিকতা করছে। কোথাও বোন শাহনাজ মুন্নীর পরিচয় সে ব্যবহার করে না। নিজের যোগ্যতাতেই সে বিনোদন সেক্টরের একজন প্রথম সারির সাংবাদিক হয়ে উঠেছে।
অথচ ব্লগে শিরোনাম করা হয়েছে ‘হোন্ডা চুরি ও সাইবার ক্রাইমের অপরাধে সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নীর ভাই আটক'। যদি ভাই অপরাধও করে থাকে সেজন্য বোনকে হাইলাইটস করা কতটা যুক্তি সংগত।
বিপুল হাসানের পারিবারিক অবস্থা ভালো। ঢাকার গুলশানে তাদের পাঁচ তালা নিজস্ব বাড়ি। চল্লিশ হাজার টাকা সে বাংলা নিউজে বেতন পেত।
সে কোনো এক লাখ টাকা দামের একটা হোন্ডা চুরি করতে যাবে? আর চুরি করা হোন্ডা নিয়ে আবার নিয়মিত একই ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করবে। এটা অ্যাবসার্ড।
অফিস থেকেই তাকে হোন্ডা দেওয়া হয়েছিল। সেই হোন্ডা ডিস্টার্ব হওয়ায় নিজের জমানো পয়সা দিয়ে একটু কম দামে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড হোন্ডা যাচাই বাছাই না করেই কিনে ফেলেছিল। এই ছিল তার বোকামী।
সে জানতো না যে, এটি এই অফিস থেকেই চুরি যাওয়া হোন্ডা। ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বারিধারা রঞ্জিত মটরস থেকে সে এটি কিনে এবং কাগজপত্র করে দেওয়ার পর আরো ২০ হাজার টাকা তার দেওয়ার কথা ছিল। এ সম্পর্কিত স্ট্যাম্প ও ডকুমেন্টস্ও আছে।
পুলিশি তদন্তেও এটি প্রমানিত হয়েছে যে, চোরাই হোন্ডাটি বিপুল ক্রয় করেছিল। এরই মধ্যে বিক্রেতা রঞ্জিতকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
তবে রঞ্জিতকে এখনও আটক করতে পারে নি পুলিশ। সে এখনও পলাতক। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাটারা থানায় ফোন করে দেখতে পারেন।
এবার আসি অনন্যা আশরাফ প্রসঙ্গে। আমি অনন্যা আশরাফকেও ভালোভাবে চিনি।
তার সঙ্গেও আমি অনেক সময় কাটিয়েছি। খিলগাঁওয়ের এক নিডি ফ্যামিলির মেয়ে সে। তার বাবা জামিল আশরাফ একটি সরকারী অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। বিপুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল বছর তিনেক আগে ফেসবুকে। রাতের পর রাত চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে তাদের ঘনিষ্ঠতা।
রাতভর প্রাপ্ত বয়স্ক দুই নর-নারীর মধ্যে কথোপকথন হলে সেটি অন্য দিকে গড়ানোটা অস্বাভাবিক নয়। আামার জানা মতে, অনন্যাকে বিপুল নানাসময় আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করেছে।
বিপুলই অনন্যাকে অনুপ্রাণিত করে সাংবাদিকতায় নিয়ে আসে। সে লিখতে জানতো না, একদম আনাড়ি ছিল। বিপুল তার প্রতিটি লেখা নিজে রি-রাইট করে দিয়ে তাকে প্রথমে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বাংলানিউজে নিয়ে আসে।
এমন কি বিপুল নিজের অনেক লেখাও অনন্যার নামে বাংলানিউজে পোষ্ট দেয়। নিউজরুম এডিটর হিসেবে সেখানে তার চাকরিটাও নিশ্চিত করে বিপুল।
অনন্যাকে হাতে কলমে সাংবাদিকতায় তালিম দেয় বিপুল হাসানই। অনন্যাকে মিডিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় সে নিয়ে যায় এবং পরিচয় করিয়ে দেয়। উচ্চকাঙ্খী আর উছৃঙ্খল প্রকৃতির অনন্যা আশরাফ অফিসের কাজের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে মিডিয়ায় নিজের যোগাযোগ বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দেয়।
অনেক সেলিব্রেটিকেই সে নানাভাবে ত্যাক্ত বিরক্ত করা শুরু করে। এ কারণে তাকে একাধিকবার চাকরি চ্যুত করা হয়।
বিপুলই এডিটরকে বুঝিয়ে নিজে দায়িত্ব নিয়ে অনন্যা আশরাফকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে। কিন্তু অনন্যার উছৃঙ্খলতা বাড়তেই থাকে। পরবর্তীতে অনন্যা আশরাফের আরো কিছু অনৈতিক কর্মকান্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাকে বাংলানিউজ থেকে পুনরায় বহিস্কার করা হয়।
এটা বাংলানিউজের সবারই জানা। কাজটা বিপুল করেছে ভেবে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তার স্ত্রীকে নানারকম উড়োচিঠি আর এসএমএস পাঠায় অনন্যা।
বিপুলের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক আছে এটি তার স্ত্রীকে জানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে এবং বিপুলের সংসারে ভাঙন ধরায়। তবে বিপুল ও তার স্ত্রী ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়ায় অনন্যা এতে সফল হতে পারে নি।
চোরাই হোন্ডা কেনার অভিযোগে বিপুল গ্রেফতার হওয়ার অনন্যা আশরাফ তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সুযোগটি পেয়ে যায় এবং সচতুরভাবে তা কাজে লাগায়।
আটক হওয়ার ২৪ ঘন্টা পূর্ণ হওয়ার আগেই অনন্যা অজামিনযোগ্য ধারায় সাইবার ক্রাইমের অভিযোগে বিপুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মজার ব্যাপার হলো, অজামিনযোগ্য ধারায় মামলা হলেও আদালত মামলাটি সাজানো ও পরিকল্পিত এই আলামত পাওয়ায় বিপুল হাসানকে একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই জামিন প্রদান করে। মামলাটির ফলাফল কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
এখন প্রশ্ন হলো, কে তাহলে অনন্যার নগ্ন ছবি আপলোড করলো? যারা অনন্যা আশরাফকে চিনেন তারা জানেন যে, তার বয়ফ্রেন্ডের অভাব নেই। প্রতিদিনই তাকে নিত্যনতুন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
বাপ্পী, আরাফ, মনির, হৃদয়, শোয়েবের মতো তার অসংখ্য বয়ফ্রেন্ড আছে। ফেসবুকে একাধিক তরুণের সঙ্গে অনন্যার ঘনিষ্ঠ অসংখ্য ছবি তারই প্রমান বহন করে। তাদেরই কেউ হয়তো এই কাজ করেছে , কিংবা অনন্যা নিজেও এই কাজ করতে পারে বিপুলকে ফাঁসানোর জন্য ।
এই হলো আমার বন্ধু মেধাবী সাংবাদিক বিপুল হাসানের দূর্ভাগ্যের সত্য ঘটনা। এইসব বিশ্রি ঘটনার মুখোমুখি হয়ে বেচারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে এবং একদম গুটিয়ে ফেলেছে নিজেকে।
আমার এই মন্তব্যটি অনেকেরই হয়তো পছন্দ হবে না, আজকাল ইচ্ছে করলেই নারীরা একজন পুরুষকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। অনন্যা আশরাফের মতো সুযোগ-সন্ধানী মেয়েরা তা কাজে লাগাচ্ছে।
বিপুল হাসানের লেখার ভক্ত, শুভাকাঙ্খী আর বন্ধুদের প্রতি আমার আহ্বান, আসুন এই দুর্দিনে আমরা তার পাশে দাঁড়ায়। তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দেই। তার কাছ থেকে আরো ভালো ভালো লেখা আশা করি।
১ সময় তারা কতটা ঘণিষ্ঠ ছিল তার প্রমাণ হিসেবে ছবিটি দিলাম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।