হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই ইসলামের দৃষ্টিতে কেয়ামতের আলামত প্রথম পর্ব (ইমাম মাহদী আঃ)
হঠাৎ করে এক সময় দুনিয়ায় দাজ্জালের কথা ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হবে। সে হবে বিধর্মী কাফের। সে অনেক আশ্চর্য শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী হবে।
ইহুদী সম্প্রদায় ও আল্লাহ বিরোধী সম্প্রদায় তার সাথে যোগ দেবে। দাজ্জালের এক চোখ কানা থাকবে। তার কপালে কাফির কথাটি খোদিত থাকবে। তার সাথে একটি কৃত্রিম বেহেশত ও কৃত্রিম দোযখ থাকবে। সে নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করবে আর ক্ষমতা বলে মানূষ্ কে মেরে ফেলে জীবিত করতে পারবে।
আর এসব কাজ প্রত্যক্ষ করে বহুলোক তার অনুগত হবে।
কিন্তু ঈমানদার বান্দারা তার বিরোধিতা করবে আর তাতে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ইমাম মেহেদী তাকে শায়েস্তা করার জন্য যাত্রা করলে সেও বহু সৈন্য সামন্ত নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করে। দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ কিয়ামতের আন্যতম আলামত। আরবী ভাষায় দাজ্জাল মানে হল প্রতারনা করা।
দাজ্জাল সত্য মিথ্যা হক এবং বাতিলের মধ্যে চরম প্রতারনা করবে বলেই তাকে দাজ্জাল নামে অভিহিত করা হয়েছে।
দাজ্জাল প্রথমে নিজেকে নবী পরে আল্লাহ বলে দাবী করবে। পরে পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা ঘুরে ঘুরে মানূষ কে তার দাবীর প্রতি স্মর্থন জানতে বাধ্য করবে। হাদীসে উল্লেখ্য আছে দাজ্জাল যখন পথে বের হবে তখন তার সাথে আগুন আর পানি থাকবে। লোকেরা বাহ্যত যে বস্তুকে আগুন দেখবে সেটি আসলে হবে শীতল পানি আর যাকে সে পানি হিসাবে দেখবে সেটি আসলে আগুন (বুখারী)।
কোন মুসলিম তাকে রব বলে অস্বীকার করলে দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে আসলে সে চলে যাবে মহা শান্তির স্থলে মানে জান্নাতে আর কেউ তাকে রব হিসাবে অস্বীকার করলে তাকে সে বেহেশতে নিক্ষেপ করবে যা আসলে তাকে অনন্ত দোযখের স্বাদ পাইয়ে দেবে। দাজ্জাল কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর একবার ই জীবন দান করতে পারবে
সে মক্কা মদীনা ব্যাতিত পৃথিবীর সমস্ত দেশ ভ্রমন করবে। সে মদীনায় প্রবেশের জন্য চেষ্টা করবে কিন্তু ওই সময় আল্লাহর আদেশে মদীনার সাতটি দরজাই ফেরেশতাদের পাহারায় থাকবে। তাই মদীনায়না ঢুকতে পেরে বিফল মনোরথে ফেরত যাবে। তার দৌরাত্বকাল হবে চল্লিশ দিন।
এরপর হযরত ঈসা (অঃ) কর্তৃক নিহত হবে (মুসলিম)
দাব্বাতুল আরদ
“যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের নিকট আসবে তখন আমি মাটি গর্ভ থেকে এক জন্তু নির্গত করব। এ জন্তু মানূষের সাথে কথা বলবে এই জন্য যে তারা আমার নিদর্শনে ছিল অবিশ্বাসী” (২৭ঃ২৮ নং আয়াত)
কিয়ামত সংগঠিত হবার আগে বায়তুল্লাহ শরীফের পূর্বদিকে অবস্থিত সাফা পর্বত ভূমিকম্পে ভেঙ্গে যাবে এবং সেখান থেকে এক অদ্ভূত জন্তু বের হয়ে আসবে। এই অদ্ভূত প্রানীটির মুখমন্ডল ছিল মানূষের মত, পা উটের মত, ঘাড় ঘোড়ার মত, লেজ চিলের মত, নিতম্ব হরিনের নিতম্বের মত, শিং বহু শাখা বিশিষ্ট হরিনের শিংয়ের মত আর হাত বানরের হাতের মত। উক্ত জটি ভীষন বাক পটু হবে আর খুব উচ্চমানের কথা বলবে।
সে এত দ্রুত গতিতে শহরে বিচরন করবে যে কেউ তার নাগাল পাবেনা আবার কেউ তার নাগালের বাইরেও থাকবে না।
তার নিকট হযরত মুসা (আঃ) এর লাঠী থাকবে সেই লাঠী দ্ধারা মুমিন্দের স্পর্শ করবে এতে তাদের মূখমন্ডল উজ্জ্বল হয়ে ঊঠবে আর সকলে তাদের মুমিন হিসাবে চিনতে পারবে। আর সুলায়মান (আঃ) এর আংটি দ্বারা কাফিরদের নাকের ওপর ‘কাফির’ শব্দ সীল মেরে দেবে, ফলে সকলেই তাদের কাফির হিসাবে চিনতে পারবে ( আলামতে কিয়ামত)
চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।