মুন্সীগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে বেলা সোয়া ১১ টায় সিরাজদিখান উপজেলার বালুর চর ইউনিয়নের রাজনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় ২ পুলিশসহ ৫ জন আহত হন।
এতে কেন্দ্রটিতে সাময়িক ভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তারা একটি রিভলবার ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে এরা কোন দলের তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর হামলায় উপজেলার পাচঁগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে মাই টিভির ক্যামেরাম্যান কামাল ও মুন্সীগঞ্জ টাইমসের তুষার নামে দুই ফটো সাংবাদিক আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ জড়িত ইয়ার হোসেন ও সুমন নামে ২ জনকে আটক করে। মাই টিভির ক্যামেরাম্যান কামাল জানান এই কেন্দ্রে ছবি তুলতে গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এবং তার ক্যামেরাটি কেড়ে নেয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
একই উপজেলার উত্তর পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাইরে বেলা পৌনে ১২ টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ভয় পেয়ে ভোটাররা বিভিন্ন দিকে ছুটতে থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হালিম জানান পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে।
বেলা পৌনে ১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বলই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনায় কেন্দ্রটি সাময়িক ভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
এসব তথ্য দিয়ে জেলা রির্টানিং অফিসার ও এডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেছেন, কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান করছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।