কিছু কিছু প্রাণী আছে বিষধর সাপের কামড়ে যাদের মৃত্যু হয় না। যেমন: ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল আর খরগোশ ইত্যাদি। তবে ৩/৪ দিন বা বেশ কিছুদিনের জন্য অসুস্থ থাকে। তারপর সুস্থ হয়ে যায়। আর এই প্রাণীগুলো থেকে আসে দুনিয়ার সব সাপের বিষের প্রতিষেধক অ্যান্টি ভেনম (anti venom)।
বিষধর যেকোনো সাপ ধরা যাক কিং কোবরার anti venom তৈরি করতে হলে যা করা লাগে তা হল, ওই সাপের বিষ ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। পরিমাণে বেশি ঢুকালেও সমস্যা নেই। এতে ঘোড়াটি প্রায় তিনদিন অসুস্থ থাকবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের anti venom তৈরি হয়ে যায়। এরপর ঘোড়ার শরীর থেকে কিছু পরিমাণ রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়।
সাদা অংশ অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনম আলাদা করা হয়। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে পাঠানো হয়।
মানুষকে সাপে কামড়ালে সরাসরি ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হয়। ভারতেই অসংখ্য অ্যান্টি ভেনম প্রস্তুতকারক কোম্পানি রয়েছে। পালের পর পাল ঘোড়া তাদের মূল সম্বল।
ঘোড়া আছে বলেই সাপের বিষ থেকে রক্ষা পাচ্ছে মানুষ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।