আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্ল্যাক মাম্বা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিষধর সাপ

[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/11793/small/?token_id=80dbbd30dd7730e0c817dabc61e1725a ব্ল্যাক মাম্বা (ইংরেজি: Black Mamba) (Dendroaspis polylepis), এলাপিড পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ভয়ংকর সাপ। আফ্রিকার একটি বড় অঞ্চলজুড়ে এই সাপের বিস্তৃতি লক্ষ করা যায়। ব্ল্যাক মাম্বা দেখা যায় ইথিওপিয়া, কেনিয়া, বতসোয়ানা, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, সোয়াজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং কঙ্গোতে। সাভানা অঞ্চল, কাষ্ঠল বণাঞ্চল, এবং শিলাময় অঞ্চলে এদের দেখা যায়।

এরা নিজেরা হুমকির সম্মুখীন হলে আক্রমণাত্মক হয়ে যায়, এবং মরণঘাতী দংশন করতে দ্বিধা করে না। আকৃতি দিক থেকে ব্ল্যাক মাম্বা আফ্রিকার সর্ব বৃহৎ, এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিষধর সাপ হিসেবে চিহ্নিত। একটি পূর্ণ বয়স্ক ব্ল্যাক মাম্বার দৈর্ঘ গড়ে প্রায় ২.৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ ধৈর্ঘ ৪.৩ মিটার। ব্ল্যাক মাম্বা থেকে বড় পৃথিবীর একমাত্র প্রজাতির বিষধর সাপটির নাম শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা, যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সাপ। আর বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া এই সাপটির অন্যতম একটি এন্ডেমিক বাসস্থান হচ্ছে সুন্দরবন।

অন্যান্য সরীসৃপের মতোই ব্ল্যাক মাম্বা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাহ্যিক তাপের ওপর নির্ভরশীল। ব্ল্যাক মাম্বা নামটি একটি ভুল পথ নির্দেশনামূলক কারণ, সাপটির ত্বকের সত্যিকারের রং কালো নয়, বরং গাঢ় ধূসর জলপাই রংয়ের। যদিও জীবনের প্রথমভাগে এটিও থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সাপের ত্বকের রং গাঢ় হতে থাকে। এদের নামের সাথে ব্ল্যাক বা কালো যুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে ধারণা করা হয় এদের কুচকুচে কালো মুখকে।

এদের মুখের ভেতরটা পুরোটা গাঢ় কালো রংয়ের। ব্ল্যাক মাম্বা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী সাপ হিসেবে চিহ্নিত। দাবী করা হয় এদের কিছু প্রজাতি ঘন্টায় ১৯.৫ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.