আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতৃপ্ত জীবন

বাবুলের হাত এবং মাথা দুটোই সমগতিতে চলছে। বুঝতে পারছিনা এটা কি অভ্যাস বসত নিজের অজান্তেই হচ্ছে, নাকি এটাই স্বাভাবিক। হাত চলছে ডানে-বামে কিন্তু মাথা উপরে- নিচে। ব্যাডমিন্টন খেলায় যারা দর্শক সারিতে থাকেন তাঁরা নিজেরাও অনেক সময় বুঝতে পারেননা কর্কের মুভমেন্টের সাথে সাথে তাঁদের চোখ নয়, পুরো মাথাটাই ডানে বামে মুভ করে! এটাও সেরকম নাকি? আমি এভাবে তাকিয়ে আছি খেয়াল করে বাবুল হেসে দেয়। ‘জুতাডা বেশী পুরানা হয়ে গেছে স্যার, সাইনিংডা আসতাছেনা’।

বাবুল প্রতি বৃহস্পতিবার আমাদের অফিসে আসে। বৃহস্পতিবার বন্ধ হলে আগেরদিন আসে। বয়স পঞ্চাশের কম হবেনা। অপুষ্টিতে ভোগা রুগ্ন-শীর্ণ শরীর তার, জামার এদিক সেদিক কালির দাগ। কপালের ভাজ দেখে মনে হয় রাজ্যের দুশ্চিন্তা ওকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

অফিসের সবার জুতা কালি করে দেয় বাবুল। বিনিময়ে পারিশ্রমিকতো পায়ই, সাথে দুপুরের লাঞ্চ পায় অফিসের মেস থেকে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসবে সবাই কিছু কিছু করে দেয় তাতে তার হাজার দুই টাকা বোনাস হয়। একসময় আদমজীর শ্রমিক ছিলো, বন্ধ হয়ে যাবার পর মুচি হয়েছে। বাবুল প্রায় সব কথা স্থানীয় উচ্চারণে বলে।

বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে থাকতে থাকতে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের সাথে মেলেনা তার ভাষা। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দ সে সঠিক ভাবে উচ্চারণ করে। যেমন স্যার, ফ্যাক্টরি, ম্যানেজার ইত্যাদি। অফিসে অন্যদেরচে’ কেমন জানি একটু বেশি খাতির আমার সাথে। বাসার কোন কাজে ডাকলেও ছুটে আসে।

বাবুলের বুদ্ধি আছে বলতে হবে। সে রাস্তায় বসে জুতা সেলাই বা কালি করেনা। সপ্তাহে ছয় দিন সে বিভিন্ন অফিসে কন্ট্রাক্ট করে নিয়েছে। নির্ধারিত দিনে ঐ অফিসে গিয়ে হাজির হয়। একে একে সবার জুতা সংগ্রহ করে কালি/সেলাই যার যেটা দরকার করে দেয়।

সব অফিস অবশ্য দুপুরের লাঞ্চ তাকে দেয়না, সম্ভবও নয় হয়তো সিস্টেমের কারণে। তাতে বাবুলের সমস্যা নেই। বাঁধা কাস্টমার পেয়েই সে খুশি। বিকাল পর্যন্ত সে মুচির কাজ করে। সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা/এগারোটা পর্যন্ত রিক্সা চালায়।

আমদের অফিসের তিন তলা এবং চারতলার মাঝামাঝি সিঁড়ির পাশে যে খোলা জায়গাটা আছে, সেটাকে আমরা বলি স্মোকিং জোন। বাবুল এই স্মোকিং জোনের কোণায় বসে তার মুচিগিরি করে।

'বাবুল তুমি সারাদিন রিক্সা চালালেতো জুতা সেলাই থেকে বেশি আয় করতে পারো'। সিগারেট টানতে টানতে একদিন পরামর্শ দিয়েছিলাম।

'শরীলে কুলায়না স্যার।

টানবার পারিনা। পেটের দায় গো স্যার, পেটের দায়, নাইলে রাইতেও চালাইতামনা। কলোনির ভাড়া বাড়ছে এইমাসে। মিলে কাম করবার সময় তাও বছর গেলে যা হউক বেতন একটা কিছু বাড়ত। কিন্তু এহন খালি খরচ বাড়ে।

আয়তো বাড়েনা স্যার'।

বাবুলের রুগ্ন শরীরটার দিকে তাকিয়ে আমি একধরণের মায়া অনুভব করি। ময়লা একটা জামা। মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। হয়তো ব্লেডের পয়সা বাঁচাতে সেভ করেনা নিয়মিত।

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আদমজীতে থাকার সময় কেমন ছিলো তার জীবন, কেমন ছিলো তার অর্থনৈতিক অবস্থা। খুব একটা ভালো নিশ্চয়ই ছিলোনা, কিন্তু এতোটা অনিশ্চিত ছিল কি? এতোটা বিচ্ছিন্ন?

'আদমজীতে বেশ ভালো ছিলে বলতে হবে তাহলে, কি বল?' আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে বাবুলকে জিজ্ঞেস করি।

'আমগো আর ভালা থাহা স্যার। ' বাবুলের দীর্ঘশ্বাস চোখ এড়ায়না আমার। 'সেই ভোর বেলা আওয়াজ দিলে মিলে ঢুকতাম।

সারাদিন গাধার খাটুনি খাইটা সন্ধ্যায় যহন বাইর হইতাম সারা শইল্যে পাটের সাদা আঁশ লাইগা থাকত। চুলকাইত সারা শরীল। লোকে আমাগোরে দেইখা সাইড দিয়া দিত। পা থেইকা মাথা পইরযন্ত পাটের আঁশ লইয়া মনে হয় আমাগোরে ঠিক মানুষ মনে হইত না। হারা জীবনে মানুষের লাহান বাঁচবার পারলাম না স্যার।

এত খাটুনির পর যখন মাসের শ্যাষে বেতনের টাইম আইত তহন শুরু হইত বাহানা। আইজ নয়, কাইল, পরের হপ্তা। কোন কোন সময় পরের মাস। এই উছিলা হেই উছিলা নিয়া বেতন কাডাতো আছিলই! তাও ধরেন গিয়া আমরা যারা নিয়মিত আছিলাম, খারাপ আছিলাম না। '

'আদমজী বন্ধের পরই কি জুতা সেলাইয়ের কাজে চলে এসেছ?' আমি বাবুলের গল্পটা শুনতে আগ্রহ দেখাই।

'না স্যার। প্রথম প্রথম খুব আশা আছিল মিল আবার খুলব। এতোগুলা পরিবারের প্রতি অনেজ্য বিবেচনা সরকার করব বিশ্বাস হইত না। এই ধরেন আমরা শ্রমিকেরা বাদেওতো অনেক পরিবার আছিল যারা এই মিলরে ঘিরা বাইচা আছিল। যেমন দোকানী, টেরাক শ্রমিক, স্কুলের হেরা।

এর বাইরেও যারা পাট বেইচত মিলের নিকট হেরাওতো জড়িত, কি কন স্যার? প্রতিদিন সকালে অনেকের লগে আমিও মিলের গেইটে যাইয়া খাড়াইয়া থাকতাম। মিল খুলব এই আশার লগে পুরানা অভ্যাসও কইতে পারেন। আপনেরা ভদরলোকরা আমাগো অবস্থাডা কখনোই বুঝবার পারবেন না স্যার। মিলের প্রতি আমাদের যে মায়াডা আছিল, যে ভালবাসাডা আছিল সেইটা আপনেরা বুঝবেন না। কিছুদিন পরে যহন ঘরে খাবার জুটেনা, এক বেলা ভাত খাইয়া বাকী বেলা চিড়া ভিজাই খাওয়া লাগত তহনও বিশ্বাস হয় নাই মিল খুইলবনা।

দোকানী যহন হেই চিড়াডাও দিবার চায়না বাকীতে, পুরানা বাকীর জন্যে যহন মাসের শেষে দিবার আবদার মানবার চায়না, কয় দোকান বাইন্ধা চইল্লা যাইব, তখন হুস হয়। মিল আর খুলব না। '

'তারপর কি করলে?' আমি উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করি বাবুলকে।

'বেশ কিছুদিন সাহেবগো পিছে পিছে ঘুরছি। গোল্ডেন হেনশিক না কি জানি কয় স্যার? হেই টাকার লাইগা।

কিন্তু কিয়ের কী?'

'টাকা পাও নাই?' আমি অবাক হই। আদমজীর তিনশ একর জায়গা বেফজার মাধ্যমে শিল্পাঞ্চল করার জন্য বিদেশীদের বিক্রি করেছে বলে শুনেছিলাম। এতো বিশাল জমির দামতো নেহাত কম হবার কথা নয়। আদমজী ইপিজেডও হয়েছে, বেশ রপ্তানী আয় টায়ও হয় শুনি। শ্রমিকের গোল্ডেন হেন্ডসেকের টাকা পরিশোধ করেছে বলেও শুনেছিলাম।

বাবুলের কথায় ধন্ধে পড়ে যাই।

'আরে না স্যার। কইতে পারেন কিচ্ছু পাই নাই। তয় আশা আছিল পামু। হের লগে ইনস্যুরেন্সের কাছ থাইকাও কিছু দেওনের কথা আছিল।

কিচ্ছু যখন পাইতাছিলাম না তহন ঠিক করলাম এলাকা ছাইড়া যাওন যাইব না। এহানেই কিছু কইরা অপেক্ষা করতে হইব। প্রথম দিকে ঝাল মুড়ি বেচতাম। এর কাছে ওর কাছে ধরনা দিতাম। কিন্তু ২৫-২৬ হাজার শ্রমিকের কারে ছাইড়া কারে দেখব অবস্থা।

শ্রমিক নেতারা যার যার ভাগ লইয়া ভাগছে। আমাদের কইল সিরিয়ালি দিব। কিস্তিতে দিব। আমরাও পথ চাইয়া থাহি, আশা লইয়া থাহি। নিশ্চয়ই পামু।

নেজ্য পাওনা না দিয়া যাইব না। পয়লা কিস্তি পাইলাম মিল বন্ধের চাইরমাস পর। হের পর আবার দেনদরবার। '

'তাওতো ঠিক! একসঙ্গে সব দেয়া নিশ্চয়ই বেশ জটিল হতো। ২৫-২৬ হাজার শ্রমিকতো কম কথা নয়।

পরে কিস্তিতেতো পেয়েছো............'

আমার কথা শুনে বাবুল হাসে। 'স্যার, মিলের বেশির ভাগ শ্রমিকই আছিল বদলা (মৌসুমী) শ্রমিক। পাটের সিজনে কাম করত পাঁচ সাত মাস, পরে চইল্লা যাইত। হেগোরেতো চাকরি দিবার বেলাতেই ঠকাইছে। আমরা যারা পারমেনেন বইল্লা গর্ব কইরতাম তাগোরে সারা জীবনের ঠকানোডা একলগে মিল বন্ধের পরে ঠকাইছে।

'

'তাহলে চলতো কীভাবে? ঝাল মুড়ি বিক্রি করে দিন চলতো?' আমি একধরণের বিষাদ অনুভব করি বাবুলের জন্য।

'দিন চলতাছে কিনা হেইডা দেহার কেউ আছিল না স্যার, কেউ আছিল না। প্রথম প্রথম আরো কিছু কাম করতাম। সাহেবরা যহন চইলা যাইত তহন তাগো জিনিসপত্র টাইনা দিতাম। টেরাকে তুইলা দিতাম।

মায়া কইরা হউক, অন্য কারণে হউক ভালা বকসিস দিত। হেইডা ভাইঙ্গা খাইতাম। হাচা কথা যদি কই তাইলে কইতে হয় জিনিষ পত্তর উঠানোর সময় ছোড খাডো চুরি চামারিও করছি স্যার। হগলতেই করছে। ঝাল মুড়ি থেইকা কিছু আইত।

কিন্তু কয় দিন? সব স্যারেরা চইল্লা যাওনের পর ইনকাম কমে গেল। '

'গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের বাকী কিস্তি পাওনি?'

'আর পাওয়া স্যার! হেড ক্লার্ক স্যারের পাও পর্যন্ত ধরছি। কয় মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। হের কিছু করনের নাই। সবাই মিল্ল্যা মন্ত্রীরে ধরবার গেছিলাম।

দেহা করে নাই। পুলিশ দিয়া খেদাই দিছে। পরে সাংবাদিক সম্মেলন কইরা কইছে বেফজা থেইকা টাকা পাইলে দিব। আপনিই কন স্যার আমাগো মিল, সেই দেশভাগের অল্প কয় বছর পর মিল বসাইছে। এশিয়ার মধ্যে সব থেকে বড় মিল আছিল।

সেই মিলের শ্রমিকেরে ঠকাইয়া মন্ত্রী মিনিস্টারগো খাইতে ঈমানে লাগলনা?'

'মন্ত্রী মিনিস্টার খেল কীভাবে? বেফজা যদি না দেয় ............। '

'স্যার, বেফজা কমপক্ষে পাঁচশ কুটি টাকা দেয় নাই। সব খবর আমরা পাইছি স্যার। এহন কথা হইল ক্যান দেয় নাই? সরকার কী করছে? হেরা ভাগ না পাইলে বেফজারে মাফ দিছে? স্যার হয়ত কইবেন এত কথা আমি ক্যামনে জানি। স্যার নেতারা সব খারাপ আছিল হেইডা সত্যনা।

মিলের বাইরে থেইকা কিছু নেতা যাইত, হেগোরে সবাই সম্মান দিত। এই যেমন বাশার সাব, শহিদুল্লাহ সাব, হেরা সব আমাগোরে বুঝাই কইত। কিন্তু ঐ যে, মিলের মধ্যে মীরজাফর আছিল। হেরাইত মিলডারে খাইল স্যার। '

আমি বাবুলের কথা শুনে একটু অবাকই হই! বেশ সচেতন শ্রমিক ছিলো বলেই মনে হয় তাকে।

বেশ খোঁজ খবর রাখতো দেখছি! বলি- 'আমি যতোটুকু শুনেছি বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে এটা বন্ধ করেছে সরকার। বেশ মোটা অংকের টাকা নাকি দিয়েছে সরকারকে। শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য। '

'স্যার, মিলে কাজ করবার কালে নেতাগো মুখে শুনছি এইসব কথা। আমরা গণ্ড মুরুক্ক মানুষ অত বুঝি নাই।

সত্য মিথ্যাও জানিনা। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা বাদ দিলাম, নিজের নেজ্য পাওনা আমাগোরে দিব না? এইটা কেমন বিবেচনা? বিশ্বব্যাংক না কি কইলেন স্যার, হেরা শুনছি ইন্ডিয়ারে টাকা দিছে মিল করবার জন্য আর আমাগো দেশে দিছে বন্ধ করবার জন্য। নেতারা কইত, শুনতাম। মিছিল মিটিংও করছি। এহন নেতারা কই? আমাগো নেজ্য টাকাডাওতো পাইলাম না।

'

'ঠিকই শুনেছ। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যতো টাকা দিয়েছে তারচে’ অনেক বেশি ভারতকে দিয়েছে। আমাদের দিয়েছে মিল বন্ধ করতে আর ভারতকে দিয়েছে মিল আধুনিক করতে। তোমাদেরতো শুনেছি আদমজী ইপিজেড এ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি দেবার কথা, তোমাদের ছেলেমেয়েদেরও?'

'ঐ শুনা পর্যন্তই স্যার। কয়দিন একটা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করছিলাম দারোয়ান হিসাবে।

দুই কি তিন মাস পর ম্যানেজার ডাইকা কইল তুমিতো চোখে ভালো দেখোনা, এই চাকরি তোমারে দিয়ে হবেনা। কন স্যার, আমার চোখ, ম্যানেজার বিবেচনা দেয়। আমাগো লগে যারা চাকরি পাইছিল প্রায় হগলেরই এইটা না হয় ঐটা কইয়া চাকরি থেকে বাইর কইরা দিছে। পোলা মাইয়াগোরেও দেয় নাই। পোলামাইয়াগোর কালে কইছে অভিজ্ঞতা নাই, তাই চাকরি হইব না।

মিল বন্ধের কালে কি এইডা জানত না আমাগো পোলামাইয়ার অভিজ্ঞতা নাই? আসলে স্যার আমরা একলগে থাকি এইডা হেরা চায় নাই। একলগে থাকলে যদি পুরানা দেনা পাওনা নিয়া ক্যাচাল করি?' বাবুল বলে চলে- 'মাইয়াডা কেলাস এইটে পড়ত স্যার। ইশকুল বন্ধ হয়ে যাইবার পর আর কোন হানে ভকতি করাইবার পারিনাই। টেকাও আছিল না, অন্য ইশকুলেও নিল না। পোলাডা পড়ত তৃতীয় শ্রেণীতে।

হেরও আর হইল না। মূক্কের পোলা মুক্কঐ থাইকল স্যার। বস্তির পোলা পাইনের লগে গাঁজা খায়, মাঝে মইধ্যে লেবারি খাটে। মিল থাকলে পোলাডা মেট্টিক পাশতো দিবার পারতো। একটা পিওনের চাকরি করবার পড়াডাওতো করাইতে পারলামনা স্যার।

হেই কালে পাটের আঁশ লইয়া মিল থেইকা বাইরাইবার কালে নিজেরে মনে হইত জন্তু জানোয়ার, তাও একখান আশা আছিল পোলাডা কিছু করব। যেই মিলের লাইগা কুড়িডা বছর জন্তু জানোয়ারের লাহান জীবন চালাইছি, হেই মিল আমারে ঠগাইছে না স্যার?'

আমি থমকে যাই। এই বাবুলকে আমি চিনিনা। আমি চিনতাম মানুষের পাদুকাশ্রী বাড়াতে অবিরাম হাত চালিয়ে যাওয়া এক গোবেচারা বাবুলকে। আমার সবকিছু ওলট পালট হয়ে যায়।

আমি তার অতৃপ্তিটাও ঠিক ধরতে পারিনা। সে কি তার উত্তরপুরুষের অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে অতৃপ্তি ভাবছে, নাকি আদ্যপান্ত শোষিত জীবনটাকে? বাবুলের পঞ্চাশোর্ধ জীবনের পুঞ্জিভূত বঞ্চনা যেনো আমাকেই গ্রাস করে আচমকা! আমি সিগারেট ধরাতে গিয়েও প্যাকেট বন্ধ করে নিঃশব্দে হাঁটতে শুরু করি ডেস্কের দিকে।

------------------------------
দেব প্রসাদ দেবু
Facebook

সোর্স: http://www.sachalayatan.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।