আর্জেন্টিনার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইসাবেলা পেরনও বিশ্বের নারীনেত্রীদের মধ্যে একটি স্বকীয় অবস্থান তৈরি করেছেন। তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন পেরনের তৃতীয় স্ত্রী। তবে নিজস্ব মেধা আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে এই পরিচয়কেও ছাপিয়ে গিয়েছিলেন ইসাবেলা পেরন। তার স্বামী যখন তৃতীয় মেয়াদে [১৯৭৩ -১৯৭৪] রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন, তখন ইসাবেলা একাধারে ফার্স্ট লেডি এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৭৬ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনিই ছিলেন আধুনিক যুগের এমন কোনো নারী রাষ্ট্রপ্রধান যে কি-না কোনো রয়েল ফ্যামিলি বা রাজরক্তের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
২০০৭ সালে আর্জেন্টাইন সরকার ১৯৭৬ সালের একজন বিদ্রোহী নিখোঁজের অভিযোগ এনে ইসাবেলা পেরনকে আটকের নির্দেশ দেয়। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি স্পেনে আটক হন তিনি। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আর্জেন্টিনার বিদ্রোহ দমন ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে আগ্রাসী ভূমিকা রাখেন ইসাবেলা পেরন। আর তার এই আগ্রাহী ভূমিকার জন্যই তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।