আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোলায় বিদ্যুতের অভাবে হুমকির মুখে বোরো চাষ

টানা প্রায় এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্পের উপর নির্ভরশীল শতাধিক কৃষকের বোড়ো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। সময় মতো সেচ দিতে না পারায় মাঠ শুকিয়ে চৌচির। অধিকাংশ ধান গাছ লাল হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সহায়তা না পেয়ে কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের উত্তর দিঘলদী ও চর কুমারী গ্রামে দেখা যায়, বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পের আওতায় শতাধিক কৃষকের ফসলের মাঠ শুকিয়ে ফেটে গেছে।

লাল হয়ে যাচ্ছে বেড়ে ওঠা ধান গাছগুলো। সিদার সেচ প্রকল্পের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ জানান, তাদের প্রকল্পের আওতায় অর্ধশত একর জমিতে ইরি চাষ করেছেন ৭৫ জন কৃষক। বিদ্যুৎ না থাকায় ধান ক্ষেতে পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এ সময় ক্ষেতে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পানি থাকা প্রয়োজন। তিনি জানান, গত ২৩ মার্চ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

একই কথা মধ্য চরকুমারীয়া ইরিগেশন প্রকল্পের জসিম উদ্দিন মেম্বার জানান, তাদের প্রকল্পের আওতায় ৪০ একর জমিতে ৩০ জন কৃষক ইরি চাষ করেছেন। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছ। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত একর প্রতি ২০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা কিন্তু ধান বের হওয়ার আগেই প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে এলাকার সব চাইতে বড় ইরিগেশন প্রকল্পর সোনালী কৃষি খামারের নজরুল ইসলাম ও মনোয়ার মেম্বার জানান, তাদের প্রকল্পে প্রায় আড়াই শত একর জমিতে সাড়ে ৭ শত কৃষক ইরি চাষ করতেন।

গত কয়েক বছর ধরে এ ধরনের নানান প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়। অথচ সরকারি ভাবে তেমন কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। এসব কারণে তারা এখন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ভোলা জেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মণ্ডল জানান, বিদ্যুতের সাময়িক যে সমস্যা তাতে কৃষকদের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তারপরও বিশেষ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে ডিজেল চালিত সেচ পাম্প দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানির ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভোলার রেন্টাল ৩৪ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টটি ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে জাতীয় ৩৩ কেভি গ্রিড লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে এখন সমস্যা অনেকটা কেটে গেছে। দৈনিক কয়েক ঘণ্টা করে সর্বত্রই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.