রক্তের সম্পর্ক হলেও রাজনৈতিক সম্পর্কে দু'জন দুই মেরুর। তবু আমেঠী লোকসভা কেন্দ্রে দাদা রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করলেন সুলতানপুরের বিজেপি প্রার্থী বরুণ গান্ধী। সুলতানপুরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি বলেন, আমেঠীতে রাহুল যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তার প্রতিলিপি গড়ে তুলতে হবে সুলতানপুরে। ব্যাস, এতেই নিজ দলে তোপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপি নেতাকে।
বরুণ বলেন, আমাদের প্রয়োজন ক্ষুদ্রশিল্পের, আমেঠীতে ঠিক যেমনটা রাহুল গান্ধী গড়ে তুলেছেন।
তবে তিনি এও বলেন যে, যদিও আমি এই উদাহরণ দিতে পারি না, কারণ আমি ওদের তৃণমূল পর্যায়ের কাজ দেখিনি।
বরুণের এহেন মন্তব্যে খুশী কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমার এটা ভেবেই ভাল লাগছে আমরা যে কাজ আমেঠীতে করেছি সেই কাজের প্রশংসা করছেন অন্যরা। বরুণ ঠিক কথাই বলেছে। কিছু বিশেষ পরিকল্পনা মাথায় রেখেই এই কাজ শুরু করেছিলাম আমরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী এর পরেই দলের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বরুণ গান্ধীকে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যোগ্য যুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বরুণের উপর। এরপরেই নিজের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে এসে বরুণ বলেন, তিনি কোনওভাবেই কোনও রাজনৈতিক নেতা বা রাজনৈতিক দলের প্রশংসায় কোনও কথা বলেননি।
এর পরেই মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে নিজের বক্তব্যের সম্পর্কে যুক্তি দিয়ে বরুণ বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে আমার একটি সমাবেশ ছিল। সেখানে আমায় প্রশ্ন করা হয়েছিল আমেঠীতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল কি না।
যদিও আমি সচক্ষে আমেঠীর অবস্থা দেখিনি তবু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তরফে জানতে পেরেছি উন্নয়নের কাজ ভালই হয়েছে এলাকায়। আর সেই উদাহরণ এনে আমি মানুষের ক্ষমতায়ণের জন্য স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তায় জোর দিয়েছিলাম। এই মন্তব্য কখনওই কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতাকে তুলে ধরার জন্য নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।