গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলোম্বোয় এই ভারতের বিপক্ষেই এক আফসোস-জাগানিয়া ম্যাচ হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ১ রানে পরাজয়ের আগে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ব্যাট থেকে এসেছিল সর্বোচ্চ ৬৫। দুই বছর পর আজ মিরপুরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে এবার গ্রুপ পর্বের ম্যাচ নয়, সেমিফাইনাল। প্রতিপক্ষ সেই ভারত।
আজও জ্বলে উঠলেন ডু প্লেসিস। প্রোটিয়া অধিনায়কের ৫৮ রানের দারুণ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা পেল চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ২০ ওভারে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭২। ‘বিশ্বকাপ’ এবং ‘সেমিফাইনাল’ শব্দ দুটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চির দুঃখের। সেই দুঃখ কি আজ ঘোচাতে পারবে ডু প্লেসিসের দল?
পরিসংখ্যান কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ১৭২ কিংবা তার বেশি রান করে ম্যাচ হারেনি কোনো দল। কিন্তু ওই যে, ঘর পুড়লে সিঁদুরে মেঘেও যে বড্ড ভয়। দেখা যাক ভাগ্য আজও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কোনো নাটক ফেঁদে বসে কিনা। অবশ্য ২০১০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ঠিক ১৭২ রান করেই ম্যাচ হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার অবশ্য তারা ব্যাট করেছিল পরে।
আবহাওয়ার কথা মাথা রেখেই কিনা টসে জিতে ব্যাট করতে নামল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ রানের মাথায় ফিরে গেলেন কুইন্টন ডি কক। এরপর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ‘মানিয়ে’ নেওয়া আমলা ও প্লেসিসের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এল ৩৫। তবে ভারতকে ভুগিয়েছে মূলত ডু প্লেসিস ও ডুমিনির তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলা ৫২ বলে ৭১ রান। অশ্বিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করলেন সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৫৮।
সামনে থেকেই পথ দেখালেন যেন। সঙ্গীকে হারিয়ে ফেললেও ডুমিনি শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ১টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ করে অপরাজিত থাকলেন। শেষ তিন ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৩৬ রান।
অশ্বিন প্রথম ৩ ওভারে ১২ দিলেও শেষ ওভারে দিয়েছেন ১০ রান। তবুও ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সফল।
চার উইকেটের তিনটাই তাঁর। ধোনি প্রায় বোলার নিয়ে ‘জুয়া’ খেলেন। আজও খেললেন। সুরেশ রায়নাকে দিয়ে ৪ ওভার বল করালেন। রায়না ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৫।
অথচ ২ ওভারে ৮ রান দেওয়া রবীন্দ্র জাদেজার দুটো ওভার অব্যহূত থাকল। ধোনির জুয়াটা আজ লাগেনি।
এমনিতে প্রতি টুর্নামেন্টে ধোনির একটা ফাঁড়ার ম্যাচ থাকে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। ভারতীয় সমর্থকেরা নিশ্চয়ই আশা করছেন, আজই সেই ফাঁড়ার দিনটা যেন না হয়!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।