সাভারের আশুলিয়ার এক তৈরি পোশাক কারখানা মালিককে নিজ কারখানায় জবাই করে খুন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যের। হত্যা রহস্য দ্রুত উদঘাটনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় তৈরি পোশাক মালিকরা।
গত রাতে ডেন্ডাবর এলাকার জুবায়ের ক্যাপ নামের একটি টুপি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে খুন হন কারখানার মালিক গোলাম আজম।
এ সময় সেখানে থাকা নিহতের ব্যবসায়িক অংশীদার মোস্তফা কামালকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তবে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলছেন না তিনি। কেবল জানিয়েছেন,তার উপস্থিতিতেই মুখোশপড়া তিন দুর্বৃত্ত গোলাম আজমকে জবাই করে হত্যা করে। প্রানে বাচঁতে চারতলা কারখানার পেছনের পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
নিহত গোলাম আজম সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার চিনাধুকুরিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
পুলিশ বলেছে,হত্যাকান্ডের পর মোস্তফা কামাল চারতলার পাইপ বেয়ে নিচে নামেন। লোকজন তাঁকে নামতে দেখে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তার দেয়া তথ্য অনুসারে পুলিশ সেখানে গিয়ে কারখানার ফটক ভেঙ্গে নিহত পোশাক মালিকের লাশ উদ্ধার করে।
আশুলিয়া থানার ওসি শেখ বদরুল আলম বলেছেন, কারখানাটি ভেতর থেকে তালাবন্ধ পাওয়া যায়। তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেঝের ওপর গোলাম আজমের জবাই করা লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশের সন্দেহ ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে অংশীদারকে হত্যার পর পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন গোলাম মোস্তফা। এ সময়ে তার পরনের পোশাক ছিলো রক্তমাখা। যা দেখে জনতার সন্দেহ হলে তারা গোলাম মোস্তফাকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। আজ রোববার সকালে নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আটক গোলাম মোস্তফাকে ওই মামলার আসামী দেখিয়ে রিম্যান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।