আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদক ছাড়তে ইচ্ছাশক্তিই যথেস্ট

প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৪৭-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদেরবিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, অনেকে মাদকাসক্ত হওয়াকে কঠিন সমস্যা মনে করেন।

তাঁরা ভাবেন, মাদকাসক্ত রোগী ভালো হয় না। এটা একটা কঠিন রোগ। তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু মাদকাসক্ত রোগ এখন আর জটিল কোনো রোগ নয়।

প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। মাদকাসক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মনীতির বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। সঠিক নিয়মে ওষুুধ খেলে, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে, নিয়মনীতি মেনে চললে অবশ্যই তিনি ভালো হবেন। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের জন্য এখন বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা রয়েছে। আমরা দেখেছি সঠিক পরিচর্যা করলে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

সবশেষে বলব, ধৈর্য ধরুন। আশাহত হবেন না। আপনাদের সন্তান, নিকটজন যে-ই হোন না কেন, তাঁকে সঠিক চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসুন। সে সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসতে পারবে।

প্রশ্ন: আমার স্বামী মাদকাসক্ত।

এখন ভালো থাকতে চায়। কীভাবে সম্ভব?
উত্তর: স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাদকাসক্ত হচ্ছে। একসময় এদের অধিকাংশ মাদক থেকে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় মাদক নেওয়ায় ফলে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তখন কেবল মাদকাসক্ত রোগীদের নিজের চেষ্টায় মাদক থেকে ফিরে আসা কঠিন হয়।

কারণ, মাদক ছেড়ে দিলে তার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। নিজের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এ জন্য পরিবার, চিকিৎসক সবার সহযোগিতা লাগে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যারা নিজে মাদক থেকে ফিরে আসতে চায়, তাদের জন্য মাদক ছাড়া খুব সহজ হয়। আপনার জন্য সুখবর হলো, আপনার স্বামী ভালো হতে চাচ্ছেন।

উনি দ্রুতই মাদকমুক্ত হতে পারবেন। সবাই মিলে সহাযোগিতা করুন। একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দেবেন। চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে আপনার স্বামী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন।


প্রশ্ন: আমার ছেলে মাদকাসক্ত। ভালো হচ্ছে না। সকালে বের হয়। সন্ধ্যায় ফেরে। তাকে কীভাবে ভালো রাখব?
উত্তর: ছেলেমেয়েদের ভালো রাখার ক্ষেত্রে পারিবারিক বন্ধনটা খুব জরুরি।

আপনার সন্তানকে ভালোবাসা, মায়া-মমতা দিয়ে কাছে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। সে কী চায়, কী বলে, সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সহানুভূতির সঙ্গে তার সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে। সে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কার সঙ্গে মিশছে—সবকিছু বের করতে হবে।

তার সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশা শুরু করলে একসময় সে তার মনের কথা খুলে বলবে। সে সহজ হবে। ভালো হতে চাইবে। তখন তাকে ভালো কোনো নিরাময়কেন্দ্রে আনতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

কোনোভাবেই যদি তাকে বোঝানো সম্ভব না হয় তাহলে জোর করে চিকিৎসাকেন্দ্রে আনতে হবে। আবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আনতে পারেন। এখানে বহির্বিভাগে মাত্র ১০ টাকায় টিকিট করে আপনার সন্তানকে দেখাতে পারবেন।
প্রশ্ন: হাত বাড়ালেই মাদক কেন? অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উত্তর: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

হাত বাড়ালে মাদক কেন আপনাদের মতো এটা আমাদেরও প্রশ্ন। আরও অনেকেই এ প্রশ্ন করে। কিন্তু কোনো উত্তর দিতে পারি না। এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু আমরা সংবাদপত্রের খবর দেখে বেদনাহত হই।

খবরের কাগজে যেসব মানুষের নাম দেখি, সেটা আমাদের রীতিমতো আতঙ্কিত করে। রক্ষকের মধ্যেই ভক্ষকের কথা মনে করিয়ে দেয়। সমাজে মাদক ও ভেজাল মহামারি আকার ধারণ করেছে। এখন আর বসে থাকার সময় নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আপনার-আমার সন্তান যেকোনো সময় মাদকসক্ত হতে পারে। শহর, গ্রাম, গঞ্জ এখন সবখানে অবাধে মাদক পাওয়া যায়। সরকার, প্রশাসন, সাধারণ মানুষ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এবং জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রশ্ন: মাদকাসক্ত পরিবারের পরামর্শ সহায়তার (কাউন্সেলিং) প্রয়োজন আছে কি না?
উত্তর: হ্যাঁ, ভালো প্রশ্ন করেছেন।

আমরা বলে থাকি মাদকাসক্ত রোগ কোনো জটিল রোগ না। কিন্তু এর চিকিৎসাপদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। মাদকাসক্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য পরিবারের অন্য সবার সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এদের পরিচর্যা, এদের সঙ্গে আচরণ, এদের বুঝতে পারা ইত্যাদি বিষয়ের বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। এ জন্য পরিবারের অভিভাবকদের অবশ্যই পরামর্শ সহায়তায় আসা উচিত।

অভিভাবকেরা অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছু বুঝতে পারেন না। ফলে তাঁরা দুশ্চিন্তা করতে করতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিজেকে সুস্থ রাখা প্রধান কাজ। নিজে সুস্থ না থাকলে রোগীর সেবাসহ কোনো কাজই করা সম্ভব হবে না।

তাই আমরা বলি, নিজের সুস্থতার জন্য এবং রোগীকে সঠিক নিয়মে পরিচর্যার জন্য অভিভাবকদের অবশ্যই কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন।
প্রশ্ন: পরিবার থেকে সন্তানদের প্রতি বেশি চাওয়া, বেশি চাপ প্রয়োগ কি তাদের ক্ষতি করে?
উত্তর: প্রতিটি মানুষই আলাদা। কোনো মানুষ অন্য একজন মানুষের মতো নয়। প্রত্যেকের মেধা, শক্তি, বুদ্ধি, বিবেচনাও তাদের নিজেদের মতো। অভিভাবকেরা অনেক সময় নিজেদের পূরণীয়-অপূরণী সব ভাবনা সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেন।

এতে সন্তানেরা একধরনের অস্বস্তিতে ভুগতে থাকে। নিজের অজান্তেই তাদের মধ্যে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়। আবার মা-বাবা অনেক সময় অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে। ও পেরেছে তুমি কেন পারবে না? অনেক ক্ষেত্রে সবার সমানে তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলে। এতে তারা অনেক আহত হয়।

নিজেকে ছোট ভাবতে থাকে। হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। এভাবে একসময় দীর্ঘমেয়াদি হতাশা তৈরি হয়। হতাশা থেকে মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে যায়। এ জন্য সন্তানদের বেশি চাওয়া বা বেশি চাপ প্রয়োগ ঠিক না।

এ বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা দরকার।
প্রশ্ন: আমার সন্তান সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করত। এখন তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ জন্য সে মাদক নিচ্ছে।

তার জন্য এখন কী করণীয়?
উত্তর: সময়ের সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু আপনার সন্তান মাদক গ্রহণ করছে। ওকে ভালোভাবে বোঝাতে হবে। ওকে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। যথেষ্ট সময় ওর সঙ্গে থাকতে হবে।

আপনার সন্তানকে বিনোদনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া উচিত। ও সম্ভবত মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছে। একজন মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিতে পারেন। শ্যামলীর মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনলে আমরা ওকে দেখব।

আপনার সন্তানকে এখনই মাদক ও মানসিক দুই ধরনের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। দেরি করা ঠিক হবে না। আপনি ওর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্র: আমার সন্তানের বয়স ৩৬ বছর। চাকরি করে আবার ছাড়ে।

কয়েকবার মাদকের চিকিৎসা করিয়েছে। কোনোভাবেই ঠিক হচ্ছে না। এখন কী করব?
উত্তর: এ রকম প্রশ্ন আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। বিচ্ছিন্নভাবে মাদকের চিকিৎসা করালে ভালো হবে না। মাদকের চিকিৎসার কতগুলো নিয়ম আছে।

ওনার হয়তো পরিপূর্ণ চিকিৎসা হয়নি। যত দিন নিরাময়কেন্দ্রে থাকার কথা ছিল তার আগেই বাসায় চলে এসেছেন। দীর্ঘদিন মাদক নিলে মাদকের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া নিরাময়কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর কমপক্ষে দুই বছর চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হয়।

আমরা সব সময় বলি, নিরাময়কেন্দ্র বা হাসপাতাল রোগীকে ভবিষ্যতে ভালো থাকার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। নিরাময়কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর কমপক্ষে দুই বছর নিয়মমতো ওষুধ খেতে হয়। এমন অনেকে আছে, যারা বারবার চিকিৎসা করে আবার মাদকাসক্ত হয়। কারণ, এরা চিকিৎসার কোনো নিয়মনীতি মেনে চলে না। নিয়মতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থাই মাদকাসক্ত রোগীর বড় চিকিৎসা।


প্রশ্ন: এখনকার পরিবারগুলো সন্তানদের সময় দেয় না। তাদের মাদকমুক্ত রাখার ব্যাপারে পরিবারের ভূমিকা কী?
পরামর্শ: ভালো প্রশ্ন। আমাদের পরিবেশকে, ঘরকে সুন্দর রাখতে হবে। মা-বাবা সব সময় ভালো আচরণ করবেন। তাঁদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকবে।

প্রত্যেক সন্তানের প্রথম শিক্ষক তার মা-বাবা। সন্তানেরা তাঁদের অনুসরণ করে। পিতামাতার উচিত সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা। সন্তানদের ভেতরে মূল্যবোধ তৈরি করা। তারা যেন যেকোনো অবস্থার মোকাবিলা করতে পারে সেভাবে গড়ে তোলা।

সন্তানদের পেছনে লেগে থাকার প্রয়োজন নেই। অহেতুক তাদের সন্দেহ করার দরকার নেই। সন্তানদের আদর-ভালোবাসা দিয়ে কাছে রাখতে হবে। তাকে মায়া-মমতার সঙ্গে কথা বলতে হবে। সন্তানদের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে তাকে সরাসরি কোনো প্রশ্ন করার দরকার নেই।

তার সঙ্গে আরও বন্ধুর মতো মিশতে হবে। সে অস্বীকার করবে। তাকে কোনো চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তার কাছে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি তার বিশ্বাসভাজন এবং আপন একজন মানুষ। একসময় সে খোলামেলা হবে।

তখন কৌশলে সবকিছু জানতে হবে। তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রশ্ন: সন্তানদের মাদক গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবারের কোনো উদাসীনতা, অবহেলা আছে কি না। নাকি সব ক্ষেত্রে সন্তানরা দায়ী?
পরামর্শ: মাদক গ্রহণের ক্ষেত্রে সব সময় সন্তানরা দায়ী নয়। পিতামাতার গাফিলতি, উদাসীনতা কাজ করে।

অনেক মা-বাবার কাছে সন্তানরা না চাইতেই অনেক কিছু পেয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারা যা চায়, সেটা পায় না। সন্তানরা স্কুল, কলেজ বা বাইরে থেকে ফিরে দেখে ফাঁকা বাসা। মা-বাবা কেউ নেই। দুজনই সকালে বেরিয়ে যান রাতে ফেরেন।

দিনের পর দিন সন্তানরা তাঁদের অপেক্ষায় থাকে। ভালো-মন্দ অনেক কিছু তাঁদের কাছে জানাতে পারে না। কিন্তু সময়মতো মা-বাবাকে পায় না। অর্থকড়ি, পোশাক-পরিচ্ছদ সবই দিয়েছেন। সন্তানদের যতটুকু আদরযত্ন, পরিচর্যা করা প্রয়োজন, সেটা ঠিকমতো হয়নি।

তখন তারা হতাশায় ভুগতে থাকে। একসময় মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যায়। এসব বিষয়ের প্রতি প্রত্যেক পিতামাতাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। মা-বাবাকে অবশ্যই সন্তানদের সময় দিতে হবে।
একজন মাদকমুক্ত তরুণের অভিজ্ঞতা: মাদক নিতে নিতে আমি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিলাম।

আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছিল। সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। বাসা থেকে টাকা পাওয়ার সব পথ বন্ধ হলো। সবাই দেখলে ঘৃণা করত। আপন বন্ধুরাও দূরে চলে গেল।

কোনো কারণ ছাড়াই যেকোনো সময় পুলিশ থানায় ধরে নিত। ভীষণ অত্যাচার করত। তখন ভাবতাম, যদি মাদকাসক্ত না থাকতাম তাহলে পুলিশ সন্দেহ করত না। বিনা অপরাধে থানায় থাকতে হতো না। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাত কাটাতে পারতাম।

একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতে পারতাম। এমন বিভিন্ন কারণে একসময় ভাবতে শুরু করলাম এ পথে আর থাকব না। এবং তখন থেকে ভালো হতে চেষ্টা করলাম। এখনো পর্যন্ত ভালো আছি। ওই পথে আর যেতে চাই না।

সারা জীবন ভালো থাকতে চাই। আমাদের জন্য মা-বাবার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের জন্য বাবা-মাকে সময় দিতে হবে। আমাদের ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। আমাদের সঙ্গে খোলামেলা মিশতে হবে।

আমারা যেটা চাই না সেটা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের জীবনের ভালোমন্দ নিয়ে বাবা-মাকে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমাদের ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন যাঁরা:
মোহিত কামাল, অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
মেখলা সরকার, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
ফারজানা রহমান, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক, ক্রিয়া
ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, নির্বাহী পরিচালক, আপন
সঞ্চালনায়: ফেরদৌস ফয়সাল
গ্রন্থণা: আশফাকুজ্জামান

 

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.