আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাওলাদারের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

বুধবার কমিশনের সভায় জাপা নেতার ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি আমলে নিয়ে হাওলাদারের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় হাওলাদার তার সম্পদের পরিমাণ ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালের হলফনামায় তিনি সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
এইচ এম এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির এই নেতা বরিশাল থেকে নবম সংসদের পর দশম সংসদেও প্রতিনিধিত্ব করছেন।


দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হলফনামা ছাড়াও হাওলাদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের বিষয়টিও আমলে নেয়া হয়েছে।

ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হাওলাদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কে আর ফ্যাশনসের নামে বেশ কয়েক একর জমি রয়েছে, যা তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি বলে দুদক জানতে পেরেছে।
ফাইল ছবি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “কে আর ফ্যাশনসের নামে দখল করা জমির মধ্যে কুয়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের জমিও রয়েছে। ”
এছাড়া কুয়াকাটা সৈকতের পাশেই একটি হোটেল তৈরি করছেন হাওলাদার, যার জমিও অবৈধভাবে দখল করা বলে দুদক তথ্য পেয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবই ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দেন।


এই সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কে আর ফ্যাশনস সম্পূর্ণ আইনানুগভাবেই ব্যবসা করে। কোনো জমিই অবৈধ ভাবে দখল করা হয়নি। তবে দুদক যদি চায়, তাহলে অনুসন্ধান করে দেখতে পারে। ”
দশম সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামার তথ্য ধরে দুদক ইতোমধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সংসদ সদস্য আসলামুল হক, আবদুর রহমান বদিসহ সাতজনের সম্পদের অনুসন্ধান করছে।  


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।