হার্ড ডিস্কে আরও বেশি ডেটা সংরক্ষণ প্রযুক্তির পথ সুগম করে দিয়েছিল পার্কিনের ওই আবিষ্কার।
বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি দুবছরে একবার মিলেনিয়াম টেকনোলহিজ প্রাইজ দিয়ে থাকে টেকনোলজি অ্যাকাডেমি ফিনল্যান্ড। প্রফেসর পার্কিন স্পিনট্রনিক্সের জগতে ‘শীর্ষ আবিষ্কার’ বলে আখ্যা দিয়েছে টেকনোলজি অ্যাকাডেমি ফিনল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। সহজভাবে বললে, ইলেকট্রনের চার্জের বদলে চৌম্বকীয় ঘুর্ণনের উপর ভিত্তি করে বিট স্টোর করা করার প্রযুক্তিই হল স্পিনট্রনিক্স।
“ব্যাপক পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষনের ক্ষমতা সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছে তার আবিষ্কার।
বড় বড় ডেটা সেন্টার, ক্লাউড স্টোরেজ, সোশাল মিডিয়া, মিউজিক এবং ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশানের মতো অনলাইন সেবাগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করে দিয়েছিল প্রফেসর পার্কিনের গবেষণা”- বলা হয়েছে টেকনোলজি অ্যাকাডেমি ফিনল্যান্ডের পক্ষ থেকে।
প্রফেসর পার্কিনের আগে মিলেনিয়োম টেকনোলজি পুরস্কার জিতেছেন ওয়েব আবিষ্কারক টিম বার্নার্স লি এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবক লিনাস টোরভাল্ড।
ওই আবিষ্কারের সময় আইবিএমের সঙ্গে কাজ করছিলেন প্রফেসর পার্কিন। ১৯৯৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ওই প্রযুক্তি বাজারজাত করা শুরু করে আইবিএম। খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রযুক্তি জগতে ‘ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড’ হয়ে দাঁড়ায় তা।
পার্কিনের ওই আবিষ্কারের বদৌলতে হার্ড ডিস্কের ধারণক্ষমতা প্রতিবছর ৪ গুণ করে বেড়েছে টানা কয়েকবছর।
এখনও আইবিএমের সঙ্গে কাজ করছেন প্রফেসর পার্কিন। এছাড়াও স্টোরেজ টেকলজির জগতে নতুন বিপ্লবের সূচনা করবেন বলে কাজ করছেন ‘রেসট্র্যাক মেমোরি’ নিয়ে। স্পিনট্রনিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস তৈরির লক্ষে গবেষণা করছেন পার্কিন, যা কিনা ম্যাগনেটিক ডিস্ক ড্রাইভের থেকে কম বিদ্যুতে চলবে আর পারফর্মেন্সের দিক থেকে হবে তার বর্তমান এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হল ব্যয়বহুল সলিড স্টেট ড্রাইভের সমতুল্য।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।