সত্য সব সময়ই সত্য, তবে আপেক্ষিকতার নিরিখে।
শিক্ষার নামে মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে প্রতারণা। এই প্রতারণার শিকার হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী।
দেশে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারে না, তারা অনেকেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি না হয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হন।
এমন একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম_মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়।
যে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার অদ্যবধি পর্যন্ত কোনো বিভাগের শিক্ষক নেই, ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্টার, ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নেই। অথচ কাগজে-কলমে সবই আছে।
এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক সম্মেলন করার ঘোষণা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট টাইম শিক্ষক ড. জাহিদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি আন্দোলনে জড়িত সকল শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুমকি দেয়।
দীর্ঘ সাত বছর হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসি’র কোনো নীতিমালা পূরণ করেনি।
বরঞ্চ কোমলমতি শিক্ষার্থীদেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করিয়ে তার কাছ থেকে শুধূ ব্যবসা করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এখন পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রভেশনাল সার্টিফিকেট দেয়। কিন্তু এ সার্টিফিকেটে ভিসির স্বাক্ষর না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।
গত ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রিরা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের এ ছয় দফা দাবি তুলে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে আমল না দেয়ায় আজ এ কর্মসূচি গ্রহণ করলো শিক্ষার্থীরা।
এসব দাবির মধ্যে ভিসি, প্রো ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, ডীন, রেজিস্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, পর্যাপ্ত শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগার তৈরি এসব অন্যতম। উল্লেখ্য, গত সাত বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে এইসব সাধারণ অবকাঠামো ছাড়াই।
মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতারণা বন্ধে রাষ্ট্রপতি ও ইউজিসি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার নামে বানিজ্য করছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সাংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত কোনো ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেয়নি। যদিও কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর একেএম সিদ্দিক। তবে তিনি কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি।
এছাড়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডীন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকার বাধ্যবাদকতা থাকলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কোনোটাই নেই। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রন করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলে পরিচয়দানকারী মাহমুদা খাতুন।
তবে বিভিন্ন সময় তিনি নিজেকে রেজিস্ট্রার পরিচয় দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে তার পদবি বিভিন্ন সময় প্রো-ভিসি লেখা হয়।
শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলার কোনো লোক এখানে নেই। ২০০৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। তখন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদান করে কোনো প্রকার আন্দোলন না করার জন্য।
এমনকি সমস্যা সমাধানের কোনো আশ্বাস পর্যন্ত তারা দেয়নি। নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানে কোনো নিয়মিত শিক্ষক নেই। তাই ক্লাশ, পরীক্ষা কোনো কিছুই নিয়মিত হয়না।
এ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।