কাজী রায়হান রাহী ও উল্লাস দাসের নিঃশর্ত মুক্তি, অনলাইন এক্টিভিস্টদের উপর হামলা/মামলা/হয়রানী বন্ধ ও আইসিটির ৫৭ ধারা বাতিলের দাবীতে আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম এই কর্মসুচির আয়োজন করছে। আপনাদের সবার অংশগ্রহন আমাদের কাম্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যাদেশ ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩-এর মত একটি কালা-কানুন ব্যবহার করে, প্রশাসনের ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার করে কাজী রায়হান রাহী, উল্লাস দাসকে গত ৩১ মার্চ গ্রেফতার করে জেলে পুরেছে প্রশাসন। তাদের অপরাধ কি? ফেসবুকে ব্যক্তিগত কথা-বার্তা, তর্ক বিতর্ক?
গ্রেফতারের পূর্বে তাদেরকে একদল চিন্হিত দুর্বৃত্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে এবং জনসমক্ষে হেয় করেছে।
এই সন্ত্রাসীদের কি কিছু হয়েছে? তাদেরকে জেলে ঢুকানো হয়েছে? সবগুলি প্রশ্নের উত্তর একটাই, না । তাহলে কি ধরে নিতে হবে আমাদর প্রশাসন অজ্ঞ, অক্ষম, অদক্ষ? এর সবগুলির উত্তর যদি হয় হ্যা, তাহলে অবস্থা আরো ভয়াবহ। প্রশাসন আইনের শাসন নয়, বরং কারো কারো স্বার্থ রক্ষা করছে আর পাশাপাশি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
সরকার গণবিরোধী ICT Act ব্যবহার করে, অন্য কথায় ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার করে যাকে খুশি তাকে জেলে পুরে ব্লগার বা রাজনৈতিক একটিভিস্টদের সাহস, মনোবল বা তৎপরতা ই দুর্বল করতে পারবে না। বরং এসব করে সরকার ৫৭ ধারা বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে তুলবে।
এযাবত কালের বাংলাদেশের কোনো সরকার এদেশের গণমানুষের মুক্তির সংগ্রাম ও সংগ্রামের ইতিহাস থেকে কিছু শেখেনি। যে জাতি বারে বারে
স্বৈরশাসনকে শুধু প্রত্যাখানই করেনি, বরং পরাস্ত করেই ছেড়েছে সে জাতি বর্তমানা শোষকের অন্যায় ও অত্যাচার সহ্য করবে তা মনে করা ভুল হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেন তাঁদের কাছে এ বিষয়টি অস্বচ্ছ থাকার কথা নয়।
গণবিরোধী ৫৭ ধারায় এর আগেও ৪ জন ব্লগার ও ২ জন ফেসবুকারকে জেলে পোরা থেকে শুরু করে নানা রকম হয়রানী ও অত্যাচার করেছে। এই কালো আইন বাতিল করতে সোচ্চার হন, দাবী তুলুন -
১. রাহী, উল্লাস সহ সকল ব্লগার, ফেসবুকারদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
২. মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে।
৩. কালা-কানুন বাতিল করতে হবে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যাদেশ ২০১৩ সংশোধন করতে হবে।
ফেসবুক ইভেন্টের লিঙ্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।