ওবামার বহুল আলোচিত-সমালোচিত স্বাস্থ্য বিষয়ক আইনটির কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওবামার সমর্থক গোষ্ঠী এই আইনটিকে আভ্যন্তরীণভাবে অন্যতম প্রধান অর্জন বলে স্বাগত জানালেও এটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
২০০৯ সালে ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের সময় থেকেই সিবালিয়াস দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গণমাধ্যমের তথ্যে জানা গেছে, ওবামা সিলভিয়া বুরওয়েলকে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন। সিলভিয়া বর্তমানে বাজেট পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
পদত্যাগের ব্যাপারে সিবালিয়াস নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোয় যেখানে স্বাস্থ্যবীমার সম্পর্কিত তথ্য নথিভুক্ত করা হয় সেগুলোতে সমস্যা দেখা দেয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠলে ওবামা সেটি ঠেকিয়ে রাখেন।
ওবামার এই বিলে বিরোধিতা করেছিল রিপাবলিকানরা।
‘ওবামা কেয়ার’ বা অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট হল প্যাশেন্ট প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট এর আরেক নাম যা ২০১০ সালের ২৩ শে মার্চ প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে এটি ‘ওবামা কেয়ার’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
এই নতুন আইন আমেরিকানদের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে অনেক নতুন সুযোগ-সুবিধা, অধিকার, এবং নিরাপত্তা প্রদান করবে। ফেডারেল মার্কেট প্লেইস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেইট এর লোকজন যাতে হেল্থ ইনসিওরেন্স কিনতে পারে বা এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, প্রয়োজন অনুসারে প্রতিটা স্টেইট তার বাসিন্দাদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা রেখেছে। কম আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে বিলে সব আমেরিকানকে স্বাস্থ্যবীমা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এবং তা করতে ব্যর্থ হলে জরিমানা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ওবামার বহু বিতর্কিত স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার বিলকে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও সমর্থন জানায়।
২০১০ সালে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি অনুমোদিত হয়। তবে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা তখন এ বিলের বিরোধিতা করে বলে, বিলটিতে উল্লেখিত বাধ্যবাধকতা আরোপ মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি। অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বীমা করার বাধ্যবাধকতা এক ধরনের কর। সুতরাং এটা অসাংবিধানিক নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৫ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যবীমা নেই।
এদের মধ্যে হিস্প্যানিক রয়েছে ৩০ শতাংশের উপরে, এশীয়রা রয়েছে ১৮ দশমিক ১, কৃষ্ণাঙ্গ রয়েছে ২০ দশমিক এবং শ্বেতাঙ্গ রয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।