পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত এমন কোনো খেলা আবিস্কার হয়নি যেখানে প্রতিপক্ষকে কামড়ে দেওয়া নিয়মসিদ্ধ। হলে নিশ্চয়ই ফুটবল বাদ দিয়ে সেটাই খেলতেন লুইস সুয়ারেজ। এসময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের খ্যাতি পেলেও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কামড়ে দেওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে পারলেন না উরুগুয়ের এই ফুটবলার। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনির ঘাড়ে কামড় বসিয়েছেন সুয়ারেজ। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এমন কাণ্ড ঘটালেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই জোড়া গোল করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সুয়ারেজ। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করেই দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা জিইয়ে রেখেছিল উরুগুয়ে। কিন্তু আজ ইতালির বিপক্ষে আবারও নতুন করে সেই পুরোনো বিতর্কেই জড়িয়ে পড়েছেন সুয়ারেজ।
ইতালির বিপক্ষে আজ খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুয়ারেজ। ৭৯ মিনিট পেরিয়ে গেলেও দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত গোল।
সেই হতাশা থেকেই যেন ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েলিনির ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। তবে তিনি খুবই ভাগ্যবান যে ঘটনাটি রেফারির চোখ এড়িয়ে গেছে। পরে কিয়েলিনি নিজের ঘাড়ে সুয়ারেজের কামড়ের দাগও দেখিয়েছিলেন রেফারিকে। কিন্তু পুরো ৯০ মিনিট খেলেই মাঠ ছেড়েছেন সুয়ারেজ। উরুগুয়েও দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়ে গেছে ১-০ গোলের জয় দিয়ে।
ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন কিয়েলিনি। বলেছেন, ‘সুয়ারেজকে লাল কার্ড না দেখানোটা খুবই জঘন্য ব্যাপার। এটা খুবই পরিস্কার দেখা গেছে। আর তারপর সে নিজেও ডাইভ দিয়েছে। কারণ সে খুব ভালোমতোই জানত যে, সে যেটা করেছে সেটা করা মোটেই উচিত্ হয়নি।
’
ম্যাচ চলার সময় বেঁচে গেলেও শাস্তির মুখোমুখি হয়তো হতেই হবে সুয়ারেজকে। মাঠে রেফারির চোখ এড়িয়ে গেছে, এমন ঘটনার জন্য পরে টিভি ফুটেজ দেখেও শাস্তি দিতে পারে ফিফা।
গত বছর চেলসির ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের হাত কামড়ে দিয়ে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সুয়ারেজ। ২০১০ সালেও অ্যায়াক্সের হয়ে খেলার সময় কামড় দিয়েছিলেন অটোমান বাক্কালকে। সেজন্যও সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
— রয়টার্স
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।