“চোরাবালি”
অভিনয়েঃ ইন্দ্রনীল (সুমন), জয়া(নবনি), শহিদুজ্জামান সেলিম(ওসমান), এটিএম শামসুজ্জামান, সোহেল রানা প্রমুখ
কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যঃ রেদওয়ান রনি
সিনেমাটোগ্রাফিঃ খায়ের খন্দকার
প্রডিউসারঃ সালেহিন স্বপন
সমালোচনাঃ
চোরাবালি ছবিটি নায়ক বা নায়িকা নির্ভর ছবি নয়। ছবির পোস্টারে যদিও আমরা ইন্দ্রনীল আর জয়ার ছবি দেখতে পাই তথাপিও এই ছবিতে নায়কের ভূমিকা খুবই সামান্য, নায়িকা জয়ার ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। যদি এই ছবির মূল চরিত্রের কথা বলা হয়, তবে সেটা হল শহিদুজ্জামান সেলিম। অসামান্য অভিনয় করেছেন ভিলেন হিসেবে। যদিও চোরাবালি নামকরন করা হয়েছে নায়ক সুমনের চোরাবালি থেকে উত্থানের অধ্যায় থেকে তথাপিও ওসমান চরিত্রের কারণে সুমন চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটে উঠতে পারেনি।
তার গাম্ভীর্য, চাটুকারিতা, চলাফেরা ও মুখভঙ্গী – এক বহুরূপী গডফাদার চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছে। ইন্দ্রনীল সেন তার চরিত্রে পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন, তার সুঠাম দেহ, আকর্ষনীয় চেহারা হৃদয়গ্রাহী। কিন্তু শহীদুজ্জামান সেলিমের এই অভিনয়ের কাছে ম্লান হয়ে যায় ইন্দ্রনীল সেনের অভিনয়। জয়া আহসান ভালো অভিনয় করেছেন।
বিশ বছরের আশ্রয়দাতা ওসমানের সাথে সুমনের বিরোধ যে ঘটনায় প্রেক্ষিতে হয় তা অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
প্রশ্ন করা যায় সাংবাদিক নবনীর সাথে সন্ত্রাসী কিলার সুমনের সম্পর্কের বাস্তবতা নিয়ে, সামঞ্জস্যহীনতা নিয়ে। নবনীকে অপহরনের পর গাড়িতে তার হাত সামনের দিকে বাঁধা ছিল, তথাপিও গাড়ি থেকে নামার পর দেখা যায় নবনীর হাত পেছন দিকে বাঁধা, এই ব্যাপারটিও দর্শকদের চোখ এরায়নি। তাছাড়া ছবির শেষে এটিএম শামসুজ্জামানের অনুপস্থিতি শেষাংশতে প্রশ্নবিদ্ধ করে, শেষে এই দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করি।
সিনেমার উল্লেখযোগ্য দিক এর সিনেমাটোগ্রাফি। অসাধারণ কাজ দেখিয়েছেন খায়ের খন্দকার।
বিভিন্ন আঙ্গেল থেকে তার ধারন করা দৃশ্যগুলো আলো আধারির মিশ্রণে অন্যরকম মাত্রা পেয়েছে। অ্যাকশন+থ্রিলারধর্মী এই ছবিতে অনেক হাস্যরসও বিদ্যমান।
আড়াই ঘন্টার সিনেমায় বর্তমান সময়ের প্রতি গুরুত্ব সর্বাধিক। ঘটনাপরম্পরা বজায় রেখে নিচ্ছিদ্র কাহিনী তৈরীর আন্তরিক প্রচেষ্টা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে সিনেমায়। নামকরন যদি আমরা ভিন্ন চোখে দেখি তাহলে একটা মেসেজ সবার জন্য, চোরাবালিতে আর নয়, দেশিও ছবির ভিন্নমাত্রায় চোরাবালি থেকে উঠে আসুন, অনেক পরিচালক ও কাহিনীকার আছেন আপনাদের এই চোরাবালি থেকে মুক্তিদানের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।