সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না.... জুলিয়ান এসাঞ্জ বিশ্বের সাধারন মানুষের চোখে হিরো। দেশ কাল পাত্রের সীমানা পেরিয়ে সকলেই তাকে বাহবা দিয়েছে। দিচ্ছে। তার প্রতি যেন অন্যায় না করা হয় তার জন্য সকল পর্যায় থেকে আন্তরিক চেষ্টা হচ্ছে।
কেন?
হ্যাকিং করা অপরাধ।
এটা বিবৃতি। কিন্তু যখন অগোচরে কোন অণ্যায় হয়, এবং হ্যকার তা জনসন্মূখে নিয়ে আসে তখন অপরাধের চেয়ে সার্বজনীন ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় তার সক্ষমতা প্রশংসার্হ হয়।
[ডিসক্লেইমারঃ
অযথা ক্যচাল বা চেতনার ধান্ধাবাজদের অহেতুক ট্যাগিংয়ের চেষ্টা করার কোন কারণ নেই। ষ্পষ্ট করেই আগেও বলেছি আবারও বলছি- যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে কোন দ্বিমত নেই। সকল যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি চাই।
তা কালকোটের আড়ালে হোক, বা ধানের শীষের নীচে লুকানো হোক, বা স্বৈরাচারের পকেটে থাকুক।
কিন্তু চেতনাবাজ গং এই কথায় আবার উষ্মা প্রকাশ করে। বেয়াই নাম আসলেই তাদের গায়ে জ্বলন ধরে যায়। কিন্তু আমজনতার কথা ষ্পষ্ট- দর মত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। কিন্তু এটার আড়ালে বিরোধী দল দমন, ব্যক্তিগত প্রতিহংসা চরিতার্থ করণে যেন এই ইস্যু ব্যবহৃত হয়ে তার মৌলিকত্ব হারিয়ে না ফেলে।
]
জনৈক ব্লগার আহম্মদ এই ইস্যুতে একটা লেখা লিখলেন
আমার দেশ পত্রিকার হলুদ সাংবাদিকতা ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী
উনার ভাষ্যমত। উনি ইনিয়ে বিনিয়ে বিশাল লেখায় যা দাবী করলেন- হ্যাকাররাই মূল অপরাধী! মাহমুদুর রহমান তাদের সহযোগী! এবং শামসুদ্দিন জিয়াউদ্দিন গং একেবারেই ধোয়া তুলসি পাতা!
বাকী যারা আলোচনা করবে তারা ভিন্নমত, বা নিরপেক্ষ মত হলেই- সবাই তাদের বাচাতে চায়।
এইরকম এভারেজ রেটিং দিয়ে বাহবা পেলে বা সরকারী পারিতোষিক পেলে পাওয়া যেতেও পারে- কিন্তু তাই চূড়ান্ত সত্য নয়।
আমার মন্তব্য ছিল:
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি তথ্য অধিকার আইনের কথা জানেন?
আপনি কি তার ধারা গুলো পড়েছেন?
আপনি অন্যায় করবেন আর তার তথ্য ফাস হয়ে গেলে ফাসকারীর বিচার চাইবেন!! আপনি কি সুস্থ আছেন?
যুদ্ধাপরাধীর ফাসির রায় নিয়ে উনার ন্যাকামো সাজে না। ডায়ালগ বাই ডায়লগ যেখানে লেখা আছে- আপনি কি তা পড়েছেন???
আসলে অন্ধরে কেউ কখনো আরৌ দেখাইতে পারেনা।
আর
যে জেগে ঘুমায়- তারে জাগাইতে পারেনা!!!
আপনাদের সেই দশা!!!!!
উত্তরে তিনি লিখলেনঃ
লেখক বলেছেন: ভাই বুদ্ধিজীবি, আপনি দয়া করে আইনগুলো বলে দিন। আপনার বেডরুমে আপনি কি করেন তা প্রকাশ করা যদি তথ্য অধিকার আইনের মধ্যে পড়ে তাহলে কি বলার আছে ? আর একটা কথা জ্ঞান দেয়ার আগে সারা বিশ্বে কি ঘটছে একটু দেখুন।
তথ্য অধিকার আইন ও হ্যাকিং এ দুইয়ের পার্থক্য কি বুঝেন ?
জ্ঞানের পরিধি আরও একটু বাড়িয়ে তারপর অন্যকে জ্ঞান দিতে আইসেন।
গত দুইদিন আগে ইমেইল হ্যাকিং-এর জন্য ১৪ বছরের জেল হয়েছে যুক্ত রাষ্ট্রে। এর আগে ব্রিটেনে রানী পরিবারের কথা প্রকাশ করার জন্য একটি প্রভাবশালী পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল হয়।
আজও আলোর মুখ দেখেছি। ইকোনোমিষ্ট বলেছে বাঙলাদেশের সোর্স তাকে তত্য দিয়েছে, তার মানে ইকোনোমিষ্ট দায়ী পড়ে আগে এই হাদারাম মাহামুদুরর রহমান।
আপনার মত যারা এই হাদারামের অনুসারী তারা অন্ধ বৈ আর কি হতে পারে ? আর এ জাতীয় মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার প্রোগামের ষ্টাইলে। যা দেখানো তাই বাইরে যেতে পারেনা।
এবং অতঃপর ব্লক!!!!
দুঃখিত, আপনার এখানে মন্তব্য করার অনুমতি নেই ।
বাধ্য হয়ে উত্তরটা পোষ্টেই দেবার চেষ্টা করছি।
উনি বলছেন-
১। আপনার বেডরুমে আপনি কি করেন তা প্রকাশ করা যদি তথ্য অধিকার আইনের মধ্যে পড়ে তাহলে কি বলার আছে ?
> ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারপতির বিচার্য বিষয় নিয়ে আলোচনা আর বেডরুমের বিষয়ের পার্থক্য করার জ্ঞানটুকুও গুলীয়ে ফেলেছেন। দুটোকে এক করে দিলেন? কি আর বলার আছে!
২। তথ্য অধিকার আইন ও হ্যাকিং এ দুইয়ের পার্থক্য কি বুঝেন ?
> আপনার মতো বিশেষঅজ্ঞতায় বুঝিনা- সাদা চোখে যা বুঝি- নাগরিকের যে কোন তথ্য পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই সরকারই এই আইন বাস্তবায়নের চেস্টা করছে।
কম এসএমএসতো আর আসেনি- কিন্তু বাস্তবে যখন সেই তথ্য জনতার কাছে এল আপনারা কাছা মেরে লেগে গেলেন- তার বিরুদ্ধে!!
কারণ তাতে সরকার ন্যাংটো হয়ে গেছে। তাদের কার্যপদ্ধতি প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে। আপনার মতো আতেল না বুঝলেও যিনি অন্যায় করছেন তিনি বুঝেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
হ্যাকিং ভাই বড় জিনিষ। আমরা চূনোপুটিরা আর কি বুঝি!
আপনি চাইলে ব্লগে কেলাশ খুলতে পারেন।
ভর্তি হমুনে।
৩। গত দুইদিন আগে ইমেইল হ্যাকিং-এর জন্য ১৪ বছরের জেল হয়েছে যুক্ত রাষ্ট্রে। এর আগে ব্রিটেনে রানী পরিবারের কথা প্রকাশ করার জন্য একটি প্রভাবশালী পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল হয়। আজও আলোর মুখ দেখেছি।
ইকোনোমিষ্ট বলেছে বাঙলাদেশের সোর্স তাকে তত্য দিয়েছে, তার মানে ইকোনোমিষ্ট দায়ী পড়ে আগে এই হাদারাম মাহামুদুরর রহমান।
> হ্যা, ১৪ কেন আটাশ বছরও দিতে পারে।
আপনি হ্যাকিং করে একজনের একাউন্টের টাকা চুরি - আর এসাঞ্ঝের সিআইয়ের তথ্য হ্যাককে এক করে ফেললেতো গুবলেট হবেই।
ব্রিটেনের রাণীতো কোন আসমানের ফেরেশতা না। তাদের অত্যাচারে আমরাইতো ২০০ বছর কষ্ট করেছি, অত্যাচারিত হয়েছি- অত্যাচারীর, অন্যায়কারীর গোপন ফাস হলে আর তার ক্ষমতা থাকলে সে তো প্রহসনের বিচারের চেষ্টা করবেই।
আর ইকোনোমিষ্ট বলেছে- বাংলাদেশের সোর্স তাকে তথ্য দিয়েছে- আর আপনি উপসংহারে পৌছে গেলেন- হাদারম মাহমুদুর দায়ী?
আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছৈ?
না থাকলে এই মিথ্যা তথ্য উপস্থাপান করায় মানহানীর মামলা তো আপনার নামেও করা যায়।
আগে দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। আপনি কি সরকারে চোখে দেখছেন, না জনতার চোখে দেখছেন? নাকি আসামীর চোখে দেখছেন।
সকল কিছু নিরপেক্ষ করতেই বিচারের মূর্তির চোখে কিন্তু পট্রি বাধা। শুধু দেখায় বিভ্রাট থাকতে পারে।
তাই চাই প্রমাণ। আর সেই প্রমানে যে পাল্লা ভারী- রায় সে দিকেই যায়।
এখানে আবেগের কোন ঠাই নাই। বা আমি কি মনে করি তার কোন মূল্য নাই।
আর যে খোড়া যুক্তি বলা হচ্ছে- পরার্মশের জন্য আলাপ।
তা যে বাতুলতা তা লাইন টু লাইন আলাপ পড়লেই বোঝা যায়।
আপনি পড়েছেন কি? বা শুনেছৈন কি?
না পড়লে পড়েন। শোনেন। তারপর ভাবুন বিচারপতি কতটুকু বোকার মতো কাজ করেছেন। বিচার প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নের মূখে ফেলেছেন।
আর তা তিনি ভাল করে উপলদ্ধি করেছেন বলেই পদত্যাগ করেছেন।
আওয়ামীলিগ এই ইস্যুতে রাজনীতি করা বাদ দিয়ে সঠিক পথে এগিয়ে যাক- যথাযোগ্য শাস্তি দিক- কারো কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু এই ইস্যুর বড় স্বাক্ষী ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরকারী
ততকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল কেন অনুপস্থিত এই ইসূতে আমাকে বলতে পারেন?!!!
তাই ব্লক করে আর আবেগ দিয়ে যদি এই পথে এগিয়ে যান- নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তা শুধু নয়- পুরো প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে বরং অপরাধীদের সুবিধা করে দেবেন আপনারাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।