আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারপতি'র স্কাইপি সংলাপের নিরপেক্ষ বিশ্লেষন!!!

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই "আমার দেশ" পত্রিকার অনলাইন থেকে তাদের ছাপানো মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) এর সাথে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এর দীর্ঘ কথকোপকথনের পুরোটা পড়লাম। সত্যি বলতে ট্রাইব্যুনালে'র রায়ে ইকোনমিস্টের উপর রুল জারি'র পর ভেবেছিলাম, কি না কি যেন বের হয়ে গেছে। কিন্তু তেমন কিছুই খুঁজে পেলাম না। এত বড় রিপোর্টটার কোথাও একটা বারের জন্যও দেখা যায় নাই, বিচারপতি নিজামুল হক ডঃ জিয়াউদ্দিনের কাছ থেকে বিচারের রায়ে'র ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করছেন, অথবা ডঃ জিয়াউদ্দিন কোনভাবে রাজাকারদের বিচারের রায়'কে প্রভাবিত বা অন্তত রায় নিয়ে কোন উপদেশ দিচ্ছেন! দীর্ঘ আলাপে বরং দেখলাম, কিভাবে এই বিচারগুলো'কে পার্ফেক্ট করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে। মামলা'র স্ট্র‌্যাকচারে সম্ভাব্য ফাঁকফোকর নিয়ে আলোচনা করেছেন দু'জন এবং সেগুলো কিভাবে ঠিক করা যায় সেটা নিয়ে কথা বলেছে।

কোন রায়টা আগে, কোনটা পরে দেয়া যায় বা দিলে ভালো, এবং কোন বিচারপতি বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য কেমন কার্যকরী এমন কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোচনা হলেও, যেহেতু আমাদের দেশে এধরনের ট্র্যাইবুন্যাল এই প্রথম, তাই এ নিয়ে বিচারপতি'রা যদি কোন বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে তা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। সবচেয়ে বেশি হৈ-চৈ হচ্ছে যেই লাইনটা নিয়ে, যে সরকার রায়ের জন্য তাগিদ দিচ্ছে, সেটা তো বরং আরো ভাল!!! আমরা তো চাই রায় যেন তাড়াতাড়ি হয়। ডিসেম্বরে যেন গোলাম আজম, সাকা আর সাইদী'র মামলার রায় হয়ে যায়। একজন ছাত্র হিসেবে, ডঃ জিয়াউদ্দিনের কমপ্রিহেনসিভ নলেজের প্রতি আমার শ্রদ্ধা চলে এসেছে, সরকারে'র কাছে অনুরোধ করবো, তারা যেন দেশের বাইরে অবস্থিত বিশেষজ্ঞদের মেধা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই ট্র‌্যাইবুন্যালকে সুষ্ঠ করা'র লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়। তাই, আমি নিজে আওয়ামী লীগের সমালোচক হওয়া স্বত্তেও বলেত চাই, উক্ত দুই জনের দীর্ঘ আলাপ পড়ে এটুকু বলতে চাই, তাদের আলাপের ভেতর বিচারের রায়'কে প্রভাবিত করার কোন চেষ্টাও দেখি নাই, এবং সরকারের দিক থেকে তাগাদা দেয়া হলেও রায়'কে প্রভাবিত করার কোন চেষ্টা চোখে পড়ে নাই।

সুতরাং, এই ঘটনাটা নিয়ে না জেনে, না পড়ে আহেতুক হৈ-চৈ কোনভাবেই কাম্য নয়। তারচেয়ে, আসুন সুষ্ঠ বিচার ও সঠিক রায়ের আশা ও প্রার্থনা করি। ----------------- রাজাকার বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুন্যালের বিচারপতি পদত্যাগ করায় তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি পোস্টে বলেছিলাম, নিরপেক্ষ পঠনের মাধ্যমে উনাদের আলাপে'র মাঝে সরকার বা তৃতীয় পক্ষ থেকে বিচারের চুড়ান্ত রায় প্রভাবিত করা'র কোন প্রচেষ্টা দেখা যায় নাই, তাই এ নিয়ে যেন আহেতুক মাতামাতি না করি। ৩২ নম্বর মন্তব্যের জবাবে এটাও বলছিলাম, তিনি যদি পদত্যাগ করে সেটা অবশ্যই ভাল হবে, কিন্তু না করলেও ট্রাইবুন্যাল'কে বিতর্কিত বলা যাবে না।

সেইসাথে আমি এখনো মনে করি না আমার বিশ্লেষনে পক্ষপাতিত্ব ছিল। এখন তিনি পদত্যাগ করছেন, এজন্য সাধুবাদ প্রাপ্য। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.