মিসির আলি এমন একজন মানুষ, যিনি দেখার চেষ্টা করেন চোখ বন্ধ করে। যে পৃথিবীতে চোখ খুলেই কেউ দেখে না, সেখানে চোখ বন্ধ করে দেখার এক আশ্চর্য ফলবতী চেষ্টা।
একদা এক ছোট্ট বালিকা প্রশ্ন করিলো বালককে ,
"বড় হইয়া কি হইতে চাও নিষ্ঠুর এ ভূলোকে?"
বালক কহিল,
"বিবাহ করিবো আসমানের ঐ পরীকে , আমারে সে লইয়া যাইবে
রহস্যে ঢাকা দুল্যোকে.."
বালিকা কহিল,
"আকাশের পরী পাইবা তুমি কিসে ? সে তো আকাশেতে উড়িয়া বেড়ায়
বাতাসের সাথে মিশে "
"বড় হইয়া পাইলট হব, যাইবো বাতাসের সাথে ..
পরীকে তখন নিয়া আসিবো পৃথিবীর মেঠো পথে .."
বালক কহিল,
"তুমি বালিকা কি হইবার চাও ?
বালিকা তখন মুচকি হাসিয়া দোলাইয়া ঠোঁটের নাও ,
"বড় হইয়া হইতে চাই এমন এক পরী,
প্রতীক্ষায় থাকিবো কবে আসিবে আমার পাইলটের তরী .."
টুক করে স্কাইপির লাইনটা কেটে দিলাম। আমি চাই না আমার কারো উপরে 'বমি বমি' ভাবের উদয় হোক
যাই হউক, দিন কয়েক আগে খেয়াল করলাম বিটীভী এর সাথে ফেসবুকে একযোগে শিশু শিক্ষা কার্যক্রম চালু হইছে। মজার কাহিনি হইলো এই ভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক শিক্ষা কার্যক্রম সিসিম পুরের থিকেও পাব্লিক বেশি হুমড়ি খায়া দেখতেছে! বুঝলাম না কাহিনী।
বিজ্ঞাপন নাই, নাই কোন স্পনসার কেমনে কি? এত পাবলিকের হুমড়ি খায়া দেখতেছে ক্যরে ? যেই যামানা পরছে পোলাপাইন এত ভালা না যে, ভালা যিনিস হুমড়ি খায়া দেখবো! আমি আবার ভালা মানুষের দলে পরলাম কবে? পরিচিত কেও দেখেফেলার ভয়ে আমিও সেই প্রোগ্রামে মুখ লুকিয়ে প্রবেস করলাম। ও মরণ মনে করলাম এত মানুস হুমড়ি খায়া দেখতেছে সেটা নির্ঘাত কোন অ্যাডাল্ট এডুকেশন প্রোগ্রাম! ধুর ছাতা এইটা দেখি প্রাইমারি ইস্কুলের ২য় সাপ্তাহের ক্লাসের লিসন চলতেছে! হেইডাও বুঝলাম মাগার কাহিনী হইলো “ক, খ, গ, ঘ” দিয়া ক্লাস সুরু কইরা আদি অক্ষর “ভ” তে শেষ হইলো ক্য? মাস্টারের উপরে পুরাই ফেডাপ এইডা কিছু হইলো মাসটার? “হু”
লাস্টের লাইন পইরা তো পুরাই ইস্পিকার খায়া গেলাম! মাষ্টার তো সেই লেভেলের মাষ্টার বাংলা বর্ণমালা ক্লাস নিয়া সাইকোলজির কোর্সন পেপার দিতাছে এইডা কিছু হইলো “হূ” ?
মাস্টারের ছাত্র গুইলাও একেকটা ছাতুর দানা :/ নাহ, মাষ্টার সাহেবের ছাত্ররা ঠিক ঠাক মত লেখা পরা করে না! সিম্পল একটা কোর্সন করছে তাতেই ছাত্রের একজনের “মাথাই নস্ট” কমেট থুক্কু উত্তর। যদিও এই ক্লাসের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন তো দুরের কথা ফর্ম’ই কিনি নাই তাও এইহানে সেই কোর্সন এর সমান্তরাল নৈবেত্তিক উরর দিলাম -_- [আমি আগেই কইলাম ভালা ছাত্র না, “হু” ]
১ নাম্বার প্রস্নের [ক] উত্তর
অবহেলা কেউ সয্য করে না। প্রেমিকা হোক আর পেঁয়াজের ব্যাপারি হোক, সবাইকেই খাতির করতে হয়। অবহেলা করলে লাত্থি দিয়ে চলে যাবে।
১ নাম্বার প্রস্নের [খ] উত্তর
নিম্নে ঠিক মেয়েটির না মেয়েদের মানসিক দিক গুইলা বর্না করা হইলো
১মেয়েরা কোন ছেলেকে প্রোপোজ করে রিফিউজড হয় তাহলে না পাওয়ার কষ্টের চেয়ে তাদের আত্নসম্মানে ব্যাথা লাগে বেশী।
২.মেয়েরা প্রেমে পড়লেও সাধারণত জানাতে চায় না, তারা সবসময় চায় ছেলেটা তাকে আগে প্রোপোজ করুক।
৩.একটা ছেলে যখন কোন মেয়েকে প্রোপোজ করে তখন মেয়েটা ছেলেটার ইমোশন কিংবা ভালবাসা নিয়ে চিন্তা করে না। মেয়েটা ছেলেটার ভবিষ্যত ,স্মার্টনেস ও পারিপার্শ্বিকতাচিন্তা করে।
৪ .আপনি একটা মেয়েকে প্রোপোজ করলে সে যদি রিফিউজ ও করে তবুও সে কিন্তু চাইবে না আপনি তাকে ভালবাসা বন্ধ করে দেন।
সে চাইবে আপনি তাকে ভালবেসেই যান।
৫.অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরা একটা ছেলেকে পছন্দ করতে অনেক সময় নেয়। কিন্তু ছেলেরা চট করেই একটা মেয়েরে পছন্দ করে ফেলে।
৬.রিলেশনশীপের মধ্যে একটা মেয়ে যখন ছেলেটাকে খুব ভালবেসে ফেলে তখন সে ছেলেটার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত কেয়ারিং হয়ে ওঠে। আর প্রথম প্রথম ছেলেগুলা বেশ enjoy করে কিন্তু পরবর্তীতে সম্পর্ক দীঘদিন হয়ে গেলে এই অতিরিক্ত কেয়ারিং গুলাতে অসহ্য feel করে।
৭.রিলেশনের পর আপনার কোন ক্লোজ বান্ধবী থাকুক মেয়েটা কখনোই সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু তার ক্লোজ বন্ধু থাকলে আপনাকে সহ্য করতে হবে।
৮. মেয়েরা চায় তারা বলবে আর ছেলেরা শুনবে। আর তারা চায় আপনি তার সর্ম্পকে সবসময় কথা বলেন।
৯.রিলেশনের পর মেয়েরা ভবিষ্যত ভাবতে ভালবাসে।
আর ছেলেরা ভবিষ্যত ভাবতে ভয় পায়। তাদের বর্তমান নিয়েই অনেক চিন্তা করতে হয়।
10.রিলেশনের পর মেয়েদের পারসোনালিটি একটু হলেও কমে যায় । আর ছেলেদের বেড়ে যায়। কিন্তু অনেক ছেলেই পারসোনালিটিহীন হয়ে যায় তাদের রিলেশন অবশ্য টিকে না
১১.সব শেষ কথা ভদ্র ও ভদ্রতে প্রেম জমে,অভদ্র ও অভদ্রতে প্রেম টিকে না তবে জমে,সবচেয়ে ভাল প্রেম জমে ভদ্র ও অভদ্রতে।
[পয়েন্টে আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে কিন্তু কথাগুলো অনেকাংশেই সত্য]
১ নাম্বার প্রস্নের [গ] উত্তর
দূর্বল প্রজাতির ছেলে এবং মেয়েদেরকে সবল প্রজাতির মেয়ে এবং ছেলেরা নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায়। কারণ, দূর্বল প্রজাতি ছ্যাকার ভার বহন করিতে অক্ষম। ছ্যাকা দিলে তারা নাকের পানি চোখের পানি রাতের ঘুম হারাম করে কানতেই থাকে, কানতেই থাকে। যাকে বলে কেন্দে জারেজার হয়ে যায়। কেইস বেশি খারাপ হইলে, ঘুমের টেবলেট খায়।
বাজারে অতিমাত্রার ঘুমের টেবলেটে ভ্যাজাল জনিত কারণে, পরবর্তীতে ওয়াশ দিতে হয়। আজাইরা টেকা পয়সা খরচ হয়।
সবল প্রজাতি ছেলে এবং মেয়েরা যদি সবল প্রজাতির মেয়ে এবং ছেলেদের সাথে প্রেম করে, তবে ই শুধুমাত্র এবং কেমবলমাত্র একজন কর্তৃক অন্যজনের ছ্যাকা খাওয়ার পসিবলিটিজ প্রবল।
... প্রমাণিত হইলো, ছ্যাকা কঠিন হৃদয়ের ওপর বর্তায়, আর নরম হৃদয় হয়ে যায়, ছাগলের তিন নম্বর গাঁধা।
১ নাম্বার প্রস্নের [ঘ] উত্তর
একটি অর্ধেক পানি ভর্তি গ্লাস দেখে মানুষের প্রকাশভঙ্গি কেমন হতে পারে??..
.....
.....
নৈরাশ্যবাদী বলবেন – অর্ধেক খালি .
আশাবাদী বলবেন – অর্ধেক পূর্ণ .
একজন প্রকৌশলী বলবেন – পানির ঘনফলের তুলনায় গ্লাসটা বড়
মাস্টারের মর্জি হউক আমারে ফুল মার্ক না দিয়া পাস মার্ক দিক
পুচন;- কোর্সেন পেপারে প্রথম দিকে “থার্ড পার্সন ফাস্ট পার্সন” একটু গোলমেল দৃষ্টি কটু পাকায়ে ফেলছে! আশা করি পরবর্তী কোর্সনে এই ভুল থাকবে না, নেক্সট কোর্সেন এর অপেক্ষায় রইলাম
উত্তর পত্র লিখতে না লিখতেই মোবাইলে কল আইসা পরছে, কি বিপদ! লেখা কি রিভিশন দিতে দিবোনা নাকি? শুনছি মাষ্টারসাব নাকি খুব করা মানে ভালর ভালো মন্দের মন্দ! এম্মা রাত বাজে ৩টা, একি +১ দিয়া সুরু তার মানে আম্রিকান নাম্বার হাবার মত রিসিভ করলাম
---ঐ স্কাইপি কাটলি ক্যন?
হ্যলো কে?
---আমি! আমি এলিটা
তাইলে আমিও সাধক বন্য সঙ্কর নিমাই [গম্ভির গলায়]
---হায় হায় ! সইন্নাসি হইলা নাকি? রাম ছাগল
হ্য মা! [গম্ভির গলায়]
---ইয়াক ! মা বলতেছো কারে?
জগতের সমস্ত নারীরেই [গম্ভির]
----বেক্কল নাকি?
“নারী জন্ম অতি নিকৃষ্ট জন্ম” আমি আর পাইলটের লাইনে নাই
--- ওহ অসহ্য! টু...... টু...... টু......
/\.............................................................../\
===১ নাম্বার প্রশ্নের বৈদ্য অক্ষর "ঝ" এর উত্তর===
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।