রোববার ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ: নবম জাতীয় সংসদের অষ্টম-পঞ্চদশ অধিবেশন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ এসেছে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সংসদের কার্যকারিরতা বাড়াতে গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে ২২ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এতে বলা হয়, সংবিধানসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রয়োজনে গণভোটের প্রবর্তন করতে হবে।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন বিলের বিষয়ে ইফতেখারুজ্জামান জানান, সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি গঠনে প্রধান বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল না।
১১ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বক্তব্য নেয়ার দাবি করে বিশেষ কমিটি।
“এই বিশেষ কমিটির ৫১টি সুপারিশসহ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে, যার কোনটিই বিলের চূড়ান্ত খসড়ায় গৃহীত হয়নি। ”
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও নয়জন সরকার দলীয় সদস্য বিলের ৫১টি দফায় ৬৫টি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম উল্লেখ করা ও তত্ত্বাধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিপক্ষে এবং জাতীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় সংশোধনীর পক্ষে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু সব প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিভক্তি ভোটের (২৯১-১ ভোটে) মাধ্যমে সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) বিল পাস হয়।
এ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাধায়ক ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটে। সেই সঙ্গে দলীয় সরকারের নির্বাচনের বিধান হয়।
টিআইবি আইন করে দলীয় বা জোটগতভাবে সংসদ বর্জন নিষিদ্ধ, অনুপস্থিতির সময়সীমা ৯০ কার্যদিবেসের পরিবর্তে ৩০ কার্যদিবস এবং অনুমোদিত ছুটি ছাড়া একটানা সাত কার্যদিবসের বেশি অনুপস্থিত থাকা নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।
এছাড়া স্বাধীন ও আত্মসমালোচনামূলক মতামত প্রকাশ ও ভোটদানের স্বার্থে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন, বছরে ১৩০ দিন সংসদ কার্যদিবস এবং প্রতি কার্যদিবসের সময় ৬ ঘণ্টা, বিধি-প্রবিধান, নীতিমালার খসড়া সম্পর্কে জনমত গ্রহণে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে প্রকাশ, আর্ন্তজাতিক চুক্তি বিষয়ে সংসদে আলোচনার বিধান ফিরিয়ে আনা এবং সংসদীয় কমিটি স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগের সুব্যবস্থা করারও সুপারিশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।