আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু মুখোশধারী জ্ঞানপাপীর স্বরূপ উন্মোচন

মমমমমম আমাদের সমাজে কিছু জ্ঞানপাপী বিচরন করে বেড়াচ্ছে যারা সমাজ কে এক করার নামে সমাজে বিভক্তির দেওয়াল তুলে দিচ্ছে। যা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা কিছু মানুষকে দেবতা জ্ঞান করে তাদের কথা ও বানী গিলে চলেছি। কিন্তু কেউ একবার ভেবে দেখছিনা আমরা কাদের পিছনে ছুটে চলেছি। আমি আজ আপনাদের কাছে কিছু লোকের অতীত-বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

যারা তাদের অসাধারন মেধা দিয়ে যুগে যুগে সমাজকে বলে দিয়ে গেছেন তাদের আমরা এখন ও স্মরণ করে চলেছি। যদি সমাজকে বদলাতে হয় তাহলে আগে নিজেকে বদলাতে হবে। আমি মনের ভিতর শয়তানি পুষে রেখে সমাজে খুব বেশিদিন ভাল মানুষের অভিনয় চালিয়ে যেতে পারব না। কেউ কোনদিন পারেনি। প্রথমেই আসি শ্রদ্ধেয় স্যার জাফর ইকবালের কথায় তিনি আমাদের বাংলাদেশের পেক্ষাপটে একজন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী।

এর একজন বুদ্ধিজীবী কখন ও কোন দলের হতে পারেন না। তাকে সমগ্র সমাজকে নিয়ে ভাবতে হবে। কিন্তু তিনি বড়ই একপেশে ভদ্রলোক। তিনি তার কলমের জোরে সমাজকে বদলে দিতে চান, নিয়মিত লেখা চালিয়ে যাচ্ছেন সমাজকে বদলে দেবার জন্য। সমাজকে বদলাতে হলে যে নিজের ঘর থেকেই জেহাদ শুরু করতে হয় তা মনে হয় তিনি ভুলে গেছেন।

আমাদের প্রিয় রাসুল (সঃ) এর কাছে এক ব্যক্তি বলেছিলেন যে, আমার বাচ্চাকে একটু কম চিনি খেতে বলেন হযরত, মহানবী তাকে কিছুদিন পরে আসতে বলেন এবং শিশুটিকে কম চিনি খতে বলেন। শিশুটির পিতা বলেন হযরত আপনি কেন আগের দিন নিষেধ করলেন না, জবাবে রাসুল (সঃ) উত্তর দিয়েছিলেন যা আমি করি তা অন্যকে কিভাবে নিষেধ করি। আশা করি আপনারা আমার উদাহরণ বুঝতে পেরেছেন। যে ব্যক্তি নিজের ঘর ঠিক করতে পারে না সে কি করে সমাজ বদলাবে। জাফর ইকবাল অনেক প্রগতিশীল ব্যক্তি।

আর বর্তমান সময়ের প্রগতিশীল মানেই হল সকল মুল্যবোধ ফেলে দিয়ে ধর্মের নৈতিকতা কে দূরে সরিয়ে দিয়ে পাশ্চাত্য সমাজের বেহাল্লাপনাকে আকড়ে ধরা। পাঠকগন আপনারা যারা জাফর ইকবালের অন্ধভক্ত তাদের উচিত তার সব কিছু অনুসরণ করা। তিনি যেভাবে পরিবার চালান তা আদর্শ বলে মেনে নেওয়া। যদি মেনে নেন তাহলে আপনার মেয়ে বারে যেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে থাকলে তাকে সমর্থন করা। সে বয়ফ্রেন্ডের সাথে মদের বোতল নিয়ে বসে থাকলে বাহবা দেওয়া।

আমরা যদি এসব জ্ঞানপাপীকে অন্ধের মত অনুসরণ করে যায় তাহলে প্রগতিশীলতার নামে কেবল আমরা ভণ্ডামি শিখব। আমাদের সমাজে মাদকের ভয়াল ছোবল আজ দগদগে ক্ষতের মত। এখন এমন এক অবস্থা যে কোন এন্টিবায়োটিকে আর কাজ হচ্ছে না। আজকাল রাস্তার ধারে সীসা খাবার মেশিন বিক্রি হচ্ছে। ছবির হাটে এখন মাদকসেবীদের জ্বালায় হাটা পর্যন্ত যায় না।

কিন্তু এটা নিয়ে আমাদের স্যারের কোন মাথা ব্যাথা নাই। মাদক যে শিবির-ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের চেয়ে খারাপ তা আমরা সবাই বুঝি, কিন্তু জাফর স্যার বোঝেন না তিনি এমন কোন লেখা লেখেছেন কিনা আমার জানা নেই কোন লিংক থাকলে দিয়েন। তিনি একজন ভীতু কাপুরুষ টাইপের বুদ্ধিজীবী কারন তা না হলে তিনি সামনের কাতারে এসে সমাজ পরিবর্তনের জন্য ডাক দিতেন। তিনি একটা শ্রেণীর নেতা হতে পারবেন কিন্তু গনমানুষের কাতারে এসে দাড়াতে পারবেন না। আমি নিজে লিমনের জন্য রাস্তায় দাড়িয়েছি, তেল গ্যাসের আন্দোলনে গিয়েছি কিন্তু আমি এ বিষয়ে তার কোন ভুমিকা দেখিনি।

কেন তিনি এসব বিষয়ে নীরব একমাত্র তিনিই জানেন ও তার ভক্তকুল জানেন। শুধু গণিত দিয়ে আর যাই হোক সমাজকে বদলে দিয়া যায় না। সমাজকে বদলাতে হলে আমদের মূল্যবোধের ও নৈতিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আর তার জন্য দরকার যুগপোযগী শিক্ষা ব্যবস্থার। আর এর নামে যদি হয় ধর্ম শিক্ষাকে বাদ দেওয়া তাহলে কেমন হয়? আপনারা কি এটা সমর্থন করেন? কিন্তু এই জ্ঞানপাপীরা বলে ধর্ম শিক্ষার কোন দরকার নেই।

১-১০ ক্লাস পর্যন্ত সব ধর্মের বই ই পড়ানো হয়। আর এতে কিছু না হোক আমাদের মূল্যবোধের কিছুটা উন্নতি হয়। একবার ভেবে দেখুন আমরা কাদের অনুসরন করে চলেছি। আপনাদের জন্য আমি কিছু ছবির লিংক দিয়ে দিলাম। কবির চৌধুরী ১৯৬৯-৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় কবীর চৌধুরী পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিল।

পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার কথা বলে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় দালাল আখ্যায়িত করে ১৯৭১ সালের ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলো কবীর চৌধুরী। কবির চৌধুরীর বড় ভাই কাইয়ুম চৌধুরী- কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন কর্নেল হিসেবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এত বেশী ছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পাকিস্তানেই তিনি থেকে গেছেন। পরে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসর নিয়ে এখনও পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন। এখন এই কবীর চৌধুরীরা লীগের বড় বুদ্ধিজীবী।

ভাবতে অবাক লাগে কিভাবে এরা এখন ভোলপাল্টে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সৈনিক বলে প্রচার করে বেড়ান একবার ও কি বাধে না এদের? আর আপনারা যারা এদের সমর্থন করে চলেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন আমাকে আগে গালি দেবার আগে কিংবা ছাগু বলার আগে একবার এদের অতীত ইতিহাস দেখে নেবেন। অন্য কোন দেশ হলে এরা আজ কারাগারে থাকত। আর আমাদের দুর্ভাগ্য তাই আজো এদের কথা শুনতে হয়। আওয়ামী লীগ নেতা মালেক উকিল তো ১৫ আগস্টের পর লন্ডনে বলেছিলেন, বাংলার ফেরাউনের পতন হইয়াছে। " আওয়ামী শুধু মালেক উকিলই নন।

দুর্দান্ড প্রত্যাবশালী শেখ মুজিব বেঁচে থাকতেই তাকে বঙ্গশত্রু বা জনশত্রু উপাধি দেয়া হয়েছিল। আর এ উপাধিদাতারা এখন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম সংহতি মিছিলে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট চক্র গুলি চালালে সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। সে সময় আওয়ামী ক্যাডাররা প্রেসক্লাবের পেছনে ন্যাপের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি জ্বালিয়ে দেয়। ন্যাপের তৎকালীন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিবাদ সভায় শেখ মুজিবের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি আর বঙ্গবন্ধু নও।

আজ থেকে তুমি বঙ্গশত্রু। সেই সময় শাহরিয়ার কবির গলাবাড়িয়ে আরও একধাপ উচ্চস্বরে লিখে বসলো, “ মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু। ” সেই মতিয়া এখন আওয়ামী লীগ নেত্রী আর শাহরিয়ার কবির আওয়ামী কলমবাজ! যদি কিছু বলার থাকে তাহলে আপনারা বলেন আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমদের উচিত আগে আমাদের নিজেদের ইতিহাস জানা তারপর সঠিক পথে চলা। যারা একসময় মুজিব বিরোধী ছিল তারা আজ সময়ের ব্যবধানে হয়েছে মুজিব প্রেমী।

মুনীর চৌধুরী, সরদার ফজলুল করীম, আবুল কালাম শামসুদ্দিন, ফতেহ লোহানী, নাট্যকার নুরূল মোমেন, গায়ক খন্দকার ফারুক আহমেদ, শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খা, কবি আহসান হাবিব, নাট্যকার আশকার ইবনে শাইখ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, গায়িকা ফরিদা ইয়াসমিন, ড. আশরাফ সিদ্দিকী, কবি তালিম হোসেন, গল্পকার শাহেদ আলী, লেখক আকবর হোসেন, সাংবাদিক সানাউল্লাহ নূরী, গায়িকা নীনা হামিদ, গায়িকা ফেরদৌসী রহমান, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন, গল্পকার সরদার জয়েনউদ্দিন, লেখক সৈয়দ মুর্তজা আলীসহ আরো অনেকে অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাকে বলেছিলেন চরমপন্থা ও একতরফা ঘোষণা। জনগণ পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোর আওতায় পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বাধীনতার ঘোষণাকে জাতীয় দুর্যোগ বলে অভিহিত করেছিলেন তাঁরা। এদের কেউ কেউ মরে হল বুদ্ধিজীবি আর কেউ হয়ে গেল দালাল ? ১৭ মে ১৯৭১ তারিখে দৈনিক পাকিস্তানে প্রকাশিত আমাদের ইতিহাস আমাদের সত্যিই জানা উচিত ভালো করে। এদের মধ্যে যারা জীবিত আছে তাদের এখন জিজ্ঞাসা জরলে বলবেন যে প্রানের ভ্যে বলেছিল।

দারুন হাস্যকর যুক্তি? তাহলে কি বাংলার তরুণ দামাল ছেলেদের প্রানের ভয় ছিল না যারা মুক্তিযুদ্ধে আত্মদান করেছিল? এখন স্বাধীন দেশে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত কেন আপনারা ১৭ ই মে জাতির সাথে বেইমানী করেছিলেন? এদের মত বুদ্ধিজীবীরা যদি সেদিন বলীয়ান হয়ে গর্জে উঠত তাহলে আমাদের এতটা রক্ত দিতে হত না। এদের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার বাইরের বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে বাংলার জ্ঞানপাপীরা আমাদের সাথে আছে , এখানে কিছু হচ্ছে না। আপনারা এখন এই সব লোকদের বিচার করবেন আপনাদের অবস্থান হতে। আমি নিরপেক্ষভাবে কেবল তথ্য দিয়ে গেছি। আজ আর পারলাম না পরবর্তী লেখায় এখন ও আরও ভাল ভাবে তুলে ধরব।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.