আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম-আলো ( টয়লেট টিস্যু ) !!! হে ভন্ড !! আমি ভবিষ্যৎ ধর্ষকদের একজন বলতেছি !!!

I don't know the actual meaning of maturity but for me maturity is when a person hurts you and you try to understand their situation rather than hurting them back...... :) বিতর্কিত দৈনিক প্রথম আলোর সাম্প্রতিক কালের ভন্ডামী অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে । কিছুদিন আগে নির্লজ্জ এই পত্রিকাটি ( পড়ুন টয়লেট টিস্যু ) ডাক্তারদের ধর্ষক বলেছে । এই ভন্ড পত্রিকা নিজেদের দেশের প্রথম সারির একটি চুসিল পত্রিকা দাবী করে । হে ভন্ড !! আমি ভবিষ্যৎ ধর্ষকদের একজন বলতেছি। আপনাদের তত্ত্ব অনুযায়ী এখনও পরিপূর্ণ ধর্ষক হতে পারি নাই তবে এই মহান ধর্ষণের উপরেই পড়াশুনা করতেছি।

ধর্ষন শব্দটা কি কেবলি নারী পুরুষের শাররীক গন্ডিতেই সীমা বদ্ধ? না, আমি সেটা মনে করিনা। যখন কোন হিংস্র মানুষরুপি জানোয়ার ধর্ষনে লিপ্ত হয় তখন সে তার উপর ক্ষোভ, হিংস্রতা প্রকাশের জন্যই তা করে, তাকে তীব্র অপমানের জন্যই তা করে। ঠিক একিই ভাবে প্রথম আলোর মতন একটা পত্রিকা, কথায়, বক্তৃতায়, লেখনির মাধ্যমে ডাক্তার সমাজের অপমানের ধর্ষনে লিপ্ত। তাদের হীন চিন্তা চেতনা দিয়ে, অরুচিকর বক্তব্য দিয়ে ডাক্তার সমাজের ধর্ষনে লিপ্ত। আচ্ছা দৈনিক প্রথম আলো ( টয়লেট টিস্যু ) কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্ট টু নো সাভারে যখন হাজার হাজার মানুষ ছুটে গেছে মানবতার টানে তখন কোথায় ছিল আপনার বন্ধুসভা !!! পুরা দেশের মানুষ যখন সাভার ট্রাজেডির সময় গভীর শোকে কাতর তখন এই টইলেট টিস্যু ভন্ডামী ও নোংরামীর সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থান করেছিল "মেরিল প্রথম আলো " নৃত্যানুষ্টানের আয়োজন করে ।

তথাকথিত চুষীল আনিসুল হক এই বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার নামকরন করলেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশ । কতটা বেহায়া হলে এই কাজটি করতে পারে ?? ভন্ড চুষিলের দল আপনারা সবই পারেন- ডাক্তারদেরকে তুলনা করেন ধর্ষকের সাথে আর এই ট্র্যাজেডিতে আপনাদের নৃত্যানুষ্ঠানকে তুলনা করেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর সাথে! আপনারা না জামত বিরুধী । ইসলামী ব্যাংক বর্জন করতে বলেছিলেন না ?? তো মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের ব্যাংকের বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছিলেন কেন ?? আপনারা ভন্ড হলুন প্রমানিত হতে আর কয়টা উদাহারন দিতে হবে । এরকম শত শত উদাহারন দেওয়া যাবে আপনাদের ভন্ডামীর । সাংবাদিকরা যখন ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা অসহায় মানুষদের জিজ্ঞেস করে "আপনার এখন অনুভুতি কি?!" তখন আশে-পাশের মেডিকেলে অধ্যয়নরত ইন্টার্ন ধর্ষকরা অরলস পরিশ্রম করে যায় সেই মানুষদের উদ্ধারের জন্য এবং তাদের সেবার জন্য।

এটাই আপনাদের সাথে ধর্ষকদের পার্থক্য । আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাদের সাংবাদিক দিয়ে একটু হিসাব রাখেন এই কসাইরা কতজনকে ধর্ষণ করলো! এখন সাভার ট্র্যাজেডি বিষয়টা গরম, তাই এরকম রিপোর্ট প্রকাশ করলে আপনাদের ঝিমিয়ে পড়া পত্রিকা ভাল চলবে। কারন মানুষও আপনাদের মত এই কথাটাই বিশ্বাস করে। আর হ্যাঁ আবুলের আরেকটি চটি গল্প প্রকাশের আবেদন জানাচ্ছি; গল্পের শিরোনাম হতে পারে "সাভার ট্র্যাজেডির সামনের সেই ধর্ষক! প্রথম-আলো ( টয়লেট টিস্যু ) আমি ধর্ষক সমাজের কথাই বলতেছি! এক ধর্ষককে আপনারা অবশ্যই চিনেন যার নাম রকিবুল মুরাদ। যিনি প্রথম থেকেই সাভারের উদ্ধারকাজে স্বনিয়োজিত।

তিনি ডাক্তার; তার কাজ সাভারের আহত মানুষদের চিকিৎসা দেওয়া। কিন্তু তার পাশাপাশি তিনি ঝাঁপিয়ে পরেছেন উদ্ধারকাজে। কারন তো আপনারা ভালোভাবেই জানেন, তিনি ধর্ষক এবং কসাই দলের একজন প্রতিনিধি, যাদের ভিতরে কোন মানবতা নেই। শাহীনা নামের সেই বোনটিকেও বাঁচানোর জন্য এই ধর্ষক ভাইটি অনেক চেষ্টা করেছিলেন। শাহিনা এবং আটকে থাকা আরও মানুষদের উদ্ধারের জন্য অষ্টম তলা থেকে ছাদ ফুটো করে তৃতীয় তলায় নামেন তিনি।

আপনাদের মত সাংবাধিক ভাইয়েরা হলে আটকে থাকা সেই বোনটিকে উদ্ধার নয় জিজ্ঞেস করতেন "আপনার এখন অনুভুতি কি?"! কিন্তু এই কসাইদের মানবতা কম বলে এদেরই এক কসাই রকিবুল মুরাদ শাহীনার লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সম্ববত তারই একটি ছোট বক্তব্য আপনাদের পত্রিকায় এসেছে। এরকমই অনেক কসাই বা ধর্ষক বা আরও কোন নিকৃষ্ট বিশেষণে বিশেষায়িত মানবতাহীন পেশার মানুষ সাভারে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পরেছিল কিন্তু তাদের ব্যর্থতা তারা আপনাদের মত "কনসার্ট ফর বাংলাদেশ" করতে পারে নাই। মুরাদ ভাই শুধু সেই বর্বর ডাক্তার সমাজের একজন প্রতিনিধি। শুধু সাভার ট্র্যাজেডি নয় বাংলাদেশের প্রতিটি দিনেই তাদের এই মহান বর্বরতার অনেক নিদর্শন আছে।

তাই আমি গর্বিত, আমরা গর্বিত-আমরা সেই ধর্ষণ শাস্ত্রে পড়াশুনা করছি। দোয়া করবেন আমরা যেন মুরাদ ভাইদের মত ধর্ষক হতে পারি । আপনারা শিল্পী- কলাকুশলী নিয়ে বার্ষিক বাইজির যাত্রা-পালা পরিবেশন করলেন। দুখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই মৃত্যু পুরীর অগ্নিগর্ভে নাচ- গান কতখানি অমানবিক আর অশালীন পরিবেশনা, তা এই বিবেক হীন পুজিবাদি অমানুষ দের মগজে ঢুকবেনা। পরিশেষে তাদের এই যাত্রা- পালা আইন সিদ্ধ করতে ৫২ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করল।

কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত রঙ্গ মঞ্চের অশালীন নায়ক নায়িকারা গায়ে পারফিউম মেরে, রং মেখে , সঙ্ সেজে আমাদের চোখ কে খুলে দিয়ে গেলো। আগামী কাল থেকে টয়লেট টিস্যু কেনার দরকার যার যার, তারা যেন প্রথম আলোর পাতা গুলো ব্যবহার করে। বাংলাদেশের মানুষেরা তোমাদের ৫২ লাখ টাকার অনুদানের জন্য বসে নাই। যে মেয়েটা এক বেলা না খেয়ে থেকে , পায়ে হেঁটে ভার্সিটি যায়, যে ছেলেটা রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে রিক্সা চালায়, সেও সাভারে টাকা দিয়ে এসেছে, যার সে টুকুও সামর্থ্য নাই, সে গেছে গায়ের রক্ত দিয়ে। দান করে গর্ব করে ঘোষণা করার মত ধৃষ্টতা বাংলাদেশ আগে কখনও দেখেনি।

পৃথিবীর কোন চিকিৎসক কখনও শোনেনি যে সে ধর্ষক, কোন বিপ্লবী নারী শোনেনি যে সে পতিতা। ধিক্কার তোমাদের, ছিঃ প্রথম আলো ছিঃ। ছিঃ আমাদের এই শিল্পী- কলাকুশলী দের, আজ থেকে তোমাদের ব্রাত্য ঘোষণা করলাম। পোস্ট কৃতজ্ঞতা সুবর্না আহসান এবং নিলয় শর্মা শুভ । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.