আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামীলীগ প্রথমআলো আতাত!!!!



সরকার আসলে কি চায় তা বুঝে উঠতে পারছি না। আওয়ামীলীগ কি মনে করছে যে তারা আজীবনের জন্য ক্ষমতায় এসছে! আল্লায় ভাল জানেন। তবে এটাই সত্য যে আল্লাহ নিশ্চয়ই জালিম শাসককে বেশি দিন ক্ষমতায় রাখেননা। আওয়ামীলীগ এক এক করে বিনা অজুহাতে গ্রেপ্তার করা শুরু করছে বিরোধী নেতা কর্মীকে এবং এর বেশিরভাগ মামলাই হাস্যকর। যেমন: ধরুন ১. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে তারা মানিব্যাগ চুরির মামলা করেছে।

২. আমার দেশের সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলে নেয়ার আগে এক অজুহাত দেখানো হয়েছে, আর জেলে নিয়ে মামলা করেছে - হাস্যকর দেশদ্রোহীর মামলা ৩. মির্জা আব্বাসকে জি জন্য গ্রেফতার করছে তা আমি জানি না। সর্বশেষ ৪. মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ৫. মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ৬. আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ কে যে হাস্যকর মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিচে বর্ননা করা হল। তবে জেলে নেয়ার পর আওয়ামীলীগ তাদের উত্তরাধীকার সুত্রে পাওয়া মঈন উদ্দিনের মত। অনেক মামলা ঠুকে দিবে সেইটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের জনপ্রিয়(তথাকথিত) বামপন্থি পত্রিকা (নিজেরা একবার মুহম্মদ (সা কে ব্যঙ্গ করে কার্টূন চাপিয়েছিল।

- নাউজুবিল্লাহ) গত ১৮.০৩.২০১০ তারিখে একটি খবর চাপে। যেটির হেডলাইনের সাথে বডির অর্থাৎ মুল অংশের মিল নেই। খবরটি হুবহু আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে নিচে দিলাম। আপনারা সত্যিকার মুসলমান হিসেবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে খবরটি পড়বেন, তার পর মন্তব্য করবেন। আমরা আসলে হুজুগে বাংগালি , যাকে দেখতে পারিনা তার সব কিছুই মন্দ।

আর মিডিয়া বা কেউ কিছু বলল সেটা নিয়েই লাফা লাফি করতে থাকি। নিজের বিবেককে একবার ও প্রশ্ন করি না। আসলে কিসের পিছনে ছুটছি আমরা। যা হোক খবরটা হুবহূ এই রকম... প্রথম আলো জামায়াত নেতা বললেন মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখন নিজামীর বিরুদ্ধেও হচ্ছে নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৮-০৩-২০১০ ‘ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার সময় মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র হয়েছে। তেমনি আজ বাংলাদেশে নিজামীর বিরুদ্ধেও মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

’ গতকাল বুধবার সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের আলোচনা সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর শাখার আমির রফিকুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। ঢাকার বড় মগবাজারের আল ফালাহ্ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও পল্টন থানা জামায়াতের আমির শফিকুল ইসলামও একই রকম কথা বলেন। তবে গত রাতে যোগাযোগ করা হলে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, তিনি মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে নিজামীর তুলনা করেননি। তিনি বলেন, ‘এই তুলনা করার তো প্রশ্নই ওঠে না। আল্লাহর রসুলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, আর ইসলামি আন্দোলনের নেতাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে—এটা কি তুলনা বোঝায়? বোঝায় না।

’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের আরেক সদস্য ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, আল্লাহর আইন চালু ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না। জামায়াত ও শিবির সেই আইন চালুর জন্য কাজ করছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘মহানবী যখন ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, তখন তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে, তাঁর ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, উটের পচা নাড়িভুঁড়ি মাথায় ঢেলে দেওয়া হয়েছে, মিথ্যাচার করা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তেমনি বাংলাদেশে নিজামী সাহেব জামায়াতে ইসলামীর আমির হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সাঁথিয়া (পাবনার উপজেলা) থেকে হাড়গোড় নিয়ে এসে তাঁকে খুনি বানানো হয়েছে।

’... তিনি বলেন, ‘ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার সময় মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র হয়েছে। তেমনি আজ বাংলাদেশে নিজামীর বিরুদ্ধেও মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ’ পল্টন থানা জামায়াতের আমির শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকল মানুষ শ্রদ্ধা করবে—এটা নবীর ক্ষেত্রেও হয়নি। নবীর পথে বাধা এসেছে, অপপ্রচার চালানো হয়েছে, কাঁটা বিছানো হয়েছে। তেমনি আজকেও আমরা যাঁরা একই কাজ করছি, তাঁদের পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে, অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, কাঁটা বিছানো হচ্ছে।

’ আল্লাহর আইনের দাবি: প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, ‘আজ দেশে সমস্যার অভাব নেই, সেই সময় সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা জামায়াত ও ছাত্রশিবির। অথচ সরকারের উচিত, শিবিরকে তার চরিত্রের জন্য স্যালুট করা। ...আল্লাহর হুকুম, তাঁর আইন দিয়ে সমাজ সাজানো যদি অপরাধ হয়, তাহলে সেই অপরাধ জামায়াত-শিবির করতেই থাকবে। ১৫ কোটি মানুষের দেশে রাসুলের বিধান কার্যকর হবে না, আল্লাহর বিধান কার্যকর হবে না—এটা হতে পারে না। ’ ইদানীং জামায়াতের নেতারা নানা সভা-সমাবেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন।

অথচ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার শর্ত হিসেবে দলের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ্র আইন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বাদ দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের খসড়া জমা দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। ২০০৯ সালের ১১ জুলাই দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা গঠনতন্ত্রের এই পরিবর্তন অনুমোদন করে। কমিশনে গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার দিন কামারুজ্জামান বলেছিলেন, আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা নিয়ে নানা কথা ওঠায় তাঁরা বিষয়টি গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিয়েছেন। ---------------------------------- ভাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এইটাকে কি তুলনা বুঝায়? তাহলে তো আমরা বলতে পারবনা, আমার নবী (সা টুপি মাথায় দিতেন তাই আমি টুপি মাথায় দেই।

এইটা কি তুলনা? আমরা তো বলতে পারবনা, নবী করিম (সা মেসওয়াক করতেন তাই আমরা মেসওয়াক করি। এটা কি তুলনা! প্রথম আলো - উনারা চায় যে দেশে যেন ইসলামী দল বা ইসলামী জীবন পরিচালনাকারী কোন ব্যক্তি না থাকে। তাতে তাদের সেকুলারিজম , বাম পন্থি মতবাদ বেশি করে প্রচার করা যাবে। আসলে অন্ধকারের ভয় আলোকেই। অন্ধকার জানে ... আলো আসলে অন্ধকার দুরিভুত হতে বাধ্য।

মানুষের মধ্যে ইসলামের জ্ঞান আসলে প্রথম আলোর মত এসব বামপন্থি, নাস্তিক, আওয়ামীলীগ ও ভারতের দালালদের পতন হবে। তাই তারা মাকাল ফলের মত তরুন সমাজে ঢুকে তথাকথিত আধুনিকতার নামে ছেলে মেয়েদের বেল্লোপনায় উৎসাহিত করে। আপনারা প্রথমআলোর খবরগুলো খুব সুক্ষদৃষ্টিতে পর্যবেক্ষন করলে বুঝতে পারবেন। এরা আসলে কি চায়। এরা চায় ইসলামের সর্বনাশ।

বিশ্বাস করেন আজ যদি জামাত এই পজিশনে না থেকে অন্য কোন ইসলামি দল এই পজিশনে থাকত তা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে ও এই রকম মিথ্যা অপবাদ চড়াতো। সুতরাং মুসলমান ভাইয়েরা সাবধান। আপনারা কি চান তুরুস্কের মত আপনার এই সোনার বাংলাদেশে সেকুলারিজমের কায়েম হোক- যেখানে আযান পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। আর যে তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারী, জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, উনাদের খবর নিয়ে দেখেন প্লিজ। উনারা সারা দিন মাজার নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

প্লিজ ভাই, একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামকে জানুন। আমাদের সঠিক ইসলামকে জানা উচিত। ইসলাম নিয়ে গবেষনা করা উচিত। সুধু তর্কের খাতিরে নয় জীবনে প্রয়োগের জন্যে ইসলাম জানা অপরিহার্য। আমরা সঠিক ইসলাম জানলে সত্য, মিথ্যা সব আমাদের সামনে স্বচ্চ হয়ে যেত।

আগে আমরা ইসলামকে ভাল ভাবে জানি, তার পর তরিকত ফেডারেশনকে ইসলামের সাথে কম্পেয়ার করি আসলে তারা ইসলামে আছে কিনা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.