আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামীলিগ কি হায়েনার দল ! তাহালে আমরা কি হায়েনার শাষনের প্রজা?

বাংলার মানুষ অবশ্যি ভুলে যায়নি ২০০৭ সালে আজকের প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লগি বইঠা দিয়ে পিটিয়ে ১১ জন তর্ তাজা তরুনকে হত্য করে সেই লাশের উপর আনন্দ মিছিল করেছিলো আজকের এই ছাত্রলীগ,যু্বলীগ । অতঃপর ক্ষমতার আদ্যৃস্টে এসে ফিল্মি স্টাইল অস্ত্র উপচিয়ে ছাত্রলীগের ,যুব্লীগের সন্ত্রাসের কারনে খুন,ধর্ষনসহ এমন কোন ঘটনা নেই যে তারা বাদ রেখেছে। তাদের সেই অপকর্মকে যখন দেশের মানুষ ছি ছি করছিলো তখন প্রধান্মন্ত্রী নিজেকে ছাত্রলীগের সংগঠন থেকে গুটিয়ে নিলেন। বহু ঘটনার একটি ঢাকার হিন্দু পরিবারের শিশু পরাগকে অপহরন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে শেষ পর্যন্ত পুলিশের মাধ্যমে মুক্তিপনের টাকা দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করতে হয়েছে যাতে কিনা আওয়ামীলিগের নেতাদের মদদ ও ছিলো যা কিনা পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। সবশেষে মধ্যযুগীয় সীমাহীন বর্বরতায় ফিল্মি স্টাইলে দিবালকে পুলিশের উপস্থিতিতে নিরহ পথচারী হিন্দু সঙ্খ্যালঘু ছেলেটিকে পশুর মত পিটিয়ে চাপাতি দিয়ে হত্য করলো অথচ এইদেশের সকল জনগন ও সারা দুনিয়ার লোক যখ্ন দেখতে পেল যে সেই হায়েনারুপী ছাত্রলীগের মিছিল থেকে আক্রমন করে ছেলেটিকে হত্য করলো ঠিক তখনই ক্যঙ্গারু সরাস্ট্রমন্ত্রী একবার বললেন যে তার ছাত্রলীগ হতে বহিস্কত আর তার প্রধান্মন্ত্রীর সঙ্গে পরক্ষনই বলে ফেললেন যে তারা নাকি ছাত্রলীগের সদস্য নয় তারা নাকি ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ।

নির্লজ্জ এত মিথ্যাবাদী এই যুগে আছে কিনা সন্দেহ অথচ আমরা তাদেরই দারা শাষিত হচ্ছি । অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে সেই কান্ডজ্ঞ্যানহীন্ দের কাছে ১টা প্রশ্ন ? ঠিকানাসহ বলে দিচ্ছি বগুড়ার সারিয়াকান্দী থানার বর্ত্ মান ছাত্রদলের সভাপতি যে ছেলেটা তার পুরো পরিবার আওয়ামিলীগের কড়া সক্রিয় সমর্থক ও কর্মীবাহিনী। তাহালে তাদের কাছে প্রশ্ন এই ছেলেটিকে কি আওয়ামীলিগ বি এন পিতে রপ্তানী করেছে বি এন পির ক্ষতি করার জন? এইরকম হাজারো কাহিনী আছে ছোট এই দেশে যে একই পরিবারের একজন সমর্থন করে আওয়ামীলিগ,অন্যজন বএন পি বা অন্য পা্টি । শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগে আমেরিকায় ঘটে যাওয়া এক সন্ত্রাসী হালায় মাত্র ২৬ জন মারা যাওয়ার কারনে সে দেশের প্রেসিডেন্ট চোখের পানি ফেললেন নির্বাকে । সে খোজার চেস্টা করেনি যে এটা তার বিরোধীরা করেছে।

সে ভেবেছে হত্যকান্ড ইজ হত্যকান্ড । আর এটা মর্মান্তিক বেদনাদাইয়ক ঘটনা । অতচ আমদের দেশে একসাথে শত শত লোক মারা গেলেও কারো চোখে এক ফোটা পানি থাক্ দুরের কথা সেই ঘটনা নিয়ে তারা আরো ফুর্তি করে আনন্দ ও রাজনীতি শুরু করে দেয় যে এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে । অন্যদিকে আমাদের দেশের গনমানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একদল চাকর আছেন যারা সরকারী অর্থাৎ জনগনের পয়সায় মাসিক মাইনা নিয়ে চাকুরী করে তাদের বউ সন্তানের রুটি রোজগারের সংস্থান করে অথচ তারা জনগনের নিরাপত্তার কথা ভুলে গিয়ে এক ব্যক্তি আর দলের পুজা করে । তাদের ও মনে রাখতে হবে যে তারা এই দেশেরই সন্তান ।

কেউ না কে তার পরিবারের সদস্য হতে পারে সেতো আমাদের বিঃজিত ও হতে পারে তাইনা? আমরা কতদিন আর এইসব হায়েনার শাষনে থাকবো?কতদিনে আমরা নিরপেক্ষ একটা জনপ্রশাসন পাবো যে তারা শুধু জনগনের নিরাপত্তার কথা ভাববে কোন দল ,ব্যক্তি বা গোস্টীর নয় । কোনো অন্য্ইয় নির্দেশের কাছে তারা মাথানত না করে তারা সাধারন মানুষের কথা ভাববে যে তাতে তাদের পরিবারের কোন না কোন এক ভাইকে বিঃজিতের মত করুন পরিনতি নিয়ে মরতে হবে না। আজকের এই পবিত্র মুক্তির দিনে হায়েনারুপী শাষন থেকে মুক্তি চাই সে যে দলই হোক ,। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.