হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই নিজেকে কখনও copy book good boy দাবী করিনি। ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন জীবনের অন্ধকার দিকটা দেখার প্রতি আগ্রহ বেশি ছিল। ভাসি’টির সব থেকে অন্ধকার দিক হল মাদক গ্রহন।
এটা এক রকম ফ্যাশন ও বলতে পারেন। বন্দ্বুদের কাছে বাহাদুরির একটা উপায় ও বটে আপনার পরিচিত কেউ মাদকাসক্ত কিনা খালি চোখেই আপনি টের পেতে পারেন। পত্রিকা খুললেই দেখি সমাজের সব’স্তরে মাদকের ভয়াল থাবা গ্রাস করছে যা থেকে সশস্র বাহিনীর মেজর থেকে বিচার বিভাগের জজ ও মুক্ত না। আসুন খালি চোখে আপনার আশেপাশে মাদকাসক্তদের চিনহিত করার চেস্টা করি।
সমাজের বত’মান অবস্থায় আপনি নিজেও জানেন না আপনার স্বামী কি পুত্র মাদকাসক্ত নাকি? মনে রাখবেন মাদকাসক্ততা একটি রোগ।
যথাযথ চিকিৎসায় এর নিরাময় সম্ভব। খারাপ ব্যবহার মাদকাসক্ত রোগের চিকিৎসা নয়। চোখ বন্দ্ব করে বসে থাকুন না। দেখুন আপনার প্রিয় সন্তান প্রিয় স্বামী সুস্থ্য কিনা। মাদক কোন সমস্যার সমাধান নয়।
এটা আপানার জীবন কে আরও সমস্যা জজ’রিত করবে।
ফেন্সিডিল
1. দুধ চিনি বেশি দিয়ে চা পান করার প্রবনতা
2. মিস্টি জাতীয় খাবারেরে প্রতি দূব’লতা
3. রুমের দরজা আটকিয়ে অধিক সময় ব্যায় করা
4. রাত জেগে কাজ করা, দিনের বেলা ঘুমান
5. অতিরিক্ত সিগারেট পান করা
6. নিজেকে একটা নিদি’স্ট বন্ধু সাকে’লে আবদ্ব করা
7. ঘুমের প্রতি অতিরিক্ত দূব’লতা
8. মেজাজ খিটখিটে হওয়া
9. যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়া
10. হঠাৎ করে হাত খরচের চাহিদা বেরে যাওয়া।
11. পারিবারিক আলোচনায় আংশ নিতে অনীহা
ইয়াবা
1. একনাগারে আনেকক্ষন না ঘুমান (১৮-৩৬ ঘন্টা)
2. যখন ঘুমান অনেকক্ষন ঘুমান
3. নিজেকে একটা নিদি’স্ট বন্ধু সাকে’লে আবদ্ব করা
4. হঠাৎ করে হাত খরচের চাহিদা বেরে যাওয়া।
5. পারিবারিক আলোচনায় আংশ নিতে অনীহা
6. রুমের দরজা আটকিয়ে অধিক সময় ব্যায় করা
7. রুমের ভিতর বিস্কিট জাতীয় গন্ধ পাওয়া
8. যৌন আকাঙ্ক্ষা সাময়িক বৃদ্বি পাওয়া
9. চোখের নীচে কালি পড়ে যাওয়া
10. কম’কাংখা সাময়িক বৃদ্বি পাওয়া।
11. মেজাজ খিটখিটে হওয়া
12. নিজেকে আনেক বড় কিছু ভাবা
13. নতুন বন্দ্বু সাকে’ল তৈরী হওয়া
মাদক দ্রব্য কি ও ব্যাবহারের অপকারিতা
মাদক দ্রব্য হল এমন কোন দ্রব্য যেগুলো ব্যবহার করলে ব্যবহার কারির নেশা হয়ে যায়, তখন ঐ দ্রব্যগুলি না নিলে বা কম পরিমানে নিলে নানারকম মানসিক ও শারীরিক অসুবিধা হয়।
তখন যদি আবার পূর্বের মাত্রায় দ্রব্যটি নেওয়া হয় তখন সেই সব উপসর্গগুলি বা অসুবিধাগুলি ঠিক হয়ে যায়।
মাদক দ্রব্যের নেশা বা অ্যাডিকশানকে আজকাল আর তা বলা হয় না। এখন এর নাম পরিবর্তন করে হয়েছে “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার” বা “ড্রাগ অ্যাবিউস”(Drug abuse)। পরবর্তি লেখাতে “মাদক দ্রব্যের ব্যবহার বা নেশা” বলে আমরা উল্লেখ করব।
মাদকদ্রব্যের নেশা বা অপব্যবহার বলতে কি বোঝায়?
নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি থাকলে বলা হয় যে মাদকদ্রব্যের নেশা হয়েছেঃ
ক) মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ফলে এমন অবস্থা হয় যে,তার জন্য ব্যবহারকারি দৈনন্দিন কাজে ঠিক মত যায় না,কাজ ঠিকমত করতে পারে না, লেখাপড়া ঠিক মত করতে পারে না,পরিবারের লোকজনদের সাথে ঠিকমত ব্যবহার করে না, ইত্যাদি।
খ)দিনের অনেকটা সময় যায় মাদকদ্রব্যের জোগাড় করতে।
গ)এমনকি এরা বার বার মাদকদ্রব্য ব্যবহার করে গাড়ী চালায় বা মেশিনে কাজ করে, যদিও জানে এটা বিপদ জনক।
ঘ)মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ফলে বার বার আইনভঙ্গ করতে পারে বা পুলিশে গ্রেফতার হতে পারে।
ঙ)যদিও পরিবারে বা কাজের জায়গায় ইত্যাদিতে নানা অসুবিধা বা ঝামেলা হয় তা সত্তেও মাদকদ্রব্য ব্যবহার করতে থাকে। এই রকম অবস্থা হলে এদের ডাক্তার দেখানো বা চিকিৎসা করা দরকার ।
মাদকদ্রব্যের আসক্তির জন্য আর কি কি সমস্যা হতে পারে?
১) ক্রমাগত মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যবহারের নানা পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, অর্থাৎ এদেরকে তখন মনে হয় তারা অগের থেকে যেন পালটে গেছে। মাদকাসক্তি ব্যক্তির মধ্যে অনেক সময় “সমাজ বিরোধী মনোভাব”দেখা যায়। তারা সমাজে মেলা মেশা বন্ধ করে দেয়,একা একা থাকে,অনেকের রাগ বেড়ে যায়,কখনো কখনো উত্তেজনা বশে অন্যকে আঘাত করতে পারে,মিথ্যা কথা বলার প্রবনতা বাড়ে ইত্যাদি।
অনেকের এটা ছোট বয়স থেকে হতে পারে,পরে যখন বড় হয় তখন নানা সমাজবিরোধী কাজ করতে থাকে। যারা সমাজবিরোধী মনোভাবের হয় তারা বেআইনি মাদকদ্রব্য যেমন, হিরোইন,গাঁজা,বা কোকেন,ইত্যাদি বেশী ব্যবহার করে।
অবশ্য বেশীর ভাগ মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা ঐসব ড্রাগের সাথে অ্যালকোহল ব্যবহার করে।
পরিসংখ্যান নিয়ে দেখা গেছে এরা নিজেদের জীবনধারায় খুশী নয়, আর অনেকেই ডিপ্রাসন বা বিষন্নতায় ভোগে।
২) ডিপ্রেসন ও আত্মহত্যাঃ মাদকদ্রব্য ব্যাবহারকারিদের মধ্যে যারা হিরোইন, ইয়াবা, বা ঐ জাতিয় মাদকদ্রব্য, বা অ্যালকোহল এ আসক্ত তাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশের মধ্যে ডিপ্রেসন বা বিষন্নতা রোগের উপসর্গ দেখা যায়। মাদকাসক্তির জন্য এদের আত্মহত্যা করার প্রবনতা অনেক বাড়ে। পাশ্চাত্য ও উন্নত দেশ গুলিতে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা যেতে পারে।
মাদকাসক্তির জন্য কি কি শারীরিক ক্ষতি হতে পারে?
মাদকদ্রব্যের ব্যবহারের ফলে মানসিক ক্ষতি বা পরিবর্তনের সাথে শরীরেরও অনেক ক্ষতি হয়ঃ
দুর্ঘটনা জনিত ক্ষতিঃ এখন জানা গেছে যে মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহল ব্যবহার করে গাড়ী চালানোই রাস্তায় দূর্ঘটনার প্রধান কারন। মাদকদ্রব্য নেওয়ার ফলে মনযোগ বা একাগ্রতা,ভারসাম্য,স্মৃতিশক্তি কমে যায়, এমনকি সমস্যার সমধান করার ক্ষমতাও কমে যায় এবং সেই অবস্থায় গাড়ী চালালে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী হয়। মাদকদ্রব্য ব্যবহার করে অনেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে আহত বা অজ্ঞান এমনকি মারা যেতে পারে,বা হাত পা ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনাও খুব হয়।
ড্রাগ বা মাদকদ্রব্য অধিকমাত্রায় নিলে কি ক্ষতি হয়?
অনেকদিন ধরে বার বার মাদকদ্রব্য ব্যবহার করলে শরীরের সহ্য ক্ষমতা(Tolerance) বেড়ে যায়। তখন বেশী মাত্রায় মাদকদ্রব্য লাগে সেই আগের মত নেশার ভাব আনতে।
সেইজন্য পরিমান বাড়াতে বাড়াতে এমন পরিমানে নিয়ে ফেলে যে বিষক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এই বিষক্রিয়া হয় সাধারনতঃ অ্যালকোহল বা হিরোইন বেশী নিলে। অনেক ঘুমের ঔষধ বেশী মাত্রায় নিলেও এই বিষক্রিয়া হয়। বিষক্রিয়ার উপসর্গগুলি বিভিন্ন ড্রাগে বিভিন্ন হয়। রোগী অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে গিয়ে শ্বাস বন্ধ বা হার্ট বন্ধ বা ফিট হয়ে মারা যেতে পারে।
মাদকদ্রব্য ব্যবহারে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়?
অ্যালকোহল বা মদে নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি অনেকদিন ধরে বেশী পরিমানে প্রত্যেকদিন বা সপ্তাহের বেশীর ভাগদিন মদ খায় তাহলে নিম্নলিখিত শরীরের নানা ক্ষতি হয়—
পাকস্থলি বা অন্ত্রে আলসার বা ঘা হতে পারে।
লিভারের সিরোসিস হতে পারে। তারজন্য জনডিশ (Jaundice) বা সারাদেহ হলুদ হয়ে যায়,পেটে জল জমে,হজম ঠিকমত হয় না ইত্যাদি উপসর্গ হয়।
অ্যালকোহলে আসক্ত রোগীরা খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করে না বলে ভিটামিনের অভাব হয়। যেমন ভিটামিন বি১,বি১২,ও বি৬(Vitamin,B1,B12,B6),এর অল্পতার জন্য ব্রেন বা মস্তিষ্কের এবং নার্ভের ক্ষতি হয়।
ব্রেনের ক্ষতি হলে,স্মৃতি শক্তি লোপ পায়,সন্দেহ ভাব হয়,লোকজনকে চিনতে ভুল করে,এমনকি মৃগিরোগীর মত ফিট হতে পারে। নার্ভের ক্ষতির জন্য হাত পা ঝিন ঝিন করে, অসাড় হয়ে যায়(স্পর্শের অনুভূতি কমে যায়) বা একদম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারো কারো দেহের মাংস্পেশী শুকিয়ে যায়।
অ্যালকোহল অধিক পরিমানে নিলে, হার্টেরও মাংসপেশীকে দুর্বল করে দেয়।
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
মদ্যপায়ীদের মুখে, পাকস্থলিতে,লিভারে,প্যানক্রিয়াসে(Pancreas)ইত্যাদি জায়গায় ক্যান্সার হতে পারে।
নার্ভের ক্ষতি হওয়ার জন্য বিশেষ করে পুরুষদের যৌনক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, তার জন্য স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ ভাব বেড়ে যেতে পারে।
প্যানক্রিয়াসের রোগ(Pancreatitis) জন্য,হঠাৎ পেটে সাংঘাতিক ব্যথা,শক, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। বেশ কিছু সংখ্যক রোগী প্যানক্রিয়াসের রোগের জন্য মারা যায়।
ইনজেকসন দ্বারা মাদকদ্রব্য শরীরে নিলে নানারকম সংক্রামক ব্যধি হতে পারে।
যেমন—
ইনজেকসন সিরিঞ্জের মাধ্যমে রক্তে সরাসরি অনেক রকম ব্যাক্টিরিয়া দেহে প্রবেশ করে। সেজন্য হার্টে ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রামন হলে, হার্ট ফেল করতে পারে, তাছাড়া, সেই ব্যাক্টিরিয়া রক্তের মাধ্যমে ব্রেনেগিয়ে সেখানেও সংক্রামিত করতে পারে। ব্রেনের ও হার্টের ব্যক্টিরিয়ার সংক্রামনের চিকিৎসা বেশ কষ্টসাধ্য, এবং রোগী সেরে উঠলেও, পুরোপুরি কর্মক্ষম নাও হতে পারে।
লিভারে নানারকম ভাইরাসের সংক্রামন হতে পারে। যেমন হেপাটাইটিস বি,হেপাটাইটিস সি,ও হেপাটাইটিস ই,ইত্যাদি ভাইরাসের সংক্রমন।
এই ভাইরাসের সংক্রমন হলে, লিভারে সিরোসিস,লিভার ঠিকমত কাজ করে না,তাতে রক্তের গন্ডগোল,রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া,এমনকি পরর্বতি সময়ে অনেকের লিভারে ক্যান্সার রোগ হতে পারে।
এইডস রোগ হতে পারে, যদি একই সিরিঞ্জে অনেকে ড্রাগ নিতে থাকে আর তাদের মধ্যে যদি কারো এইডস রোগ থাকে। এছাড়া দেখা গেছে যে মাদকদ্রব্য কেনার জন্য অনেকে যৌনকর্মীর কাজ করে রোজকার করে। এতে যৌনকর্মীরও এইডস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ধূমপানের দ্বারা ড্রাগনিলে ফুসফুসের কি কি ক্ষতি হতে পারে?
ধূমপান করে যে ড্রাগগুলো নেওয়া হয় তারমধ্যে গাঁজা,কোকেন,হিরোইন ইত্যাদি প্রধান।
সিগারেট বা বিড়ি খাওয়াকেও এর মধ্যে আনা যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে বা দশ বছরের বেশী সময় ধরে ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্ষতি হয়। হাঁপানির টান,ব্রঙ্কাইটিস,এমফাইসেমা(Emphysema),এমনকি ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেড়ে যায়।
আরও নিম্নলিখিত অসুবিধা হয় মাদকদ্রব্য ব্যবহারে
১) কোনো নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি যদি শারীরিক কোনো অসুখের কারনে বা অন্য কোনো কারনে মাদকদ্রব্য নেওয়া বন্ধ করে বা হাস্পাতালে ভর্তি হয়,সেখানে মাদকদ্রব্যের সাপ্লাই না পাওয়ার জন্য,তাদের নানা উপসর্গ হয়,তাকে বলে উইথড্রয়াল সিনড্রোম(Withdrawal syndrome) বা মাদকদ্রব্য বন্ধজনিত অবস্থা।
এই উপসর্গগুলো বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকমের হয়।
যেমন যারা অ্যালকোহল বা ঘুমের ঔষধের নেশা করে, তাদের ঐগুলি বন্ধ বা কম করলে টেনশন, উদ্দিগ্নভাব,অস্থিরতা ভাব,ঘুম না হওয়া, এমনকি ফিটও হতে পারে।
যারা কোকেন,অ্যাম্ফিটামিন,গাঁজা ইত্যাদির নেশা করে, তারা যদি হঠাৎ বন্ধ করে বা খুব করে দেয় তাহলে মনে অবসন্নতা ভাব,শরীরে দূর্বলতা ভাব,মনযোগের অভাব,ঘুম বেশী হতে পারে বা মনে নিস্তেজ ভাব ইত্যাদি হয়।
বন্ধ করার পর নেশাগ্রস্থ ব্যক্তির মনে ঔ মাদকদ্রব্যের জন্য আকর্ষন বেশ কিছুদিন, মাস এমনকি বছরেরও বেশী সময় ধরে থাকে। ঐ ড্রাগের আকর্ষনের জন্য নেশাকারি ব্যক্তি আবার নেশা করতে আরম্ভ করে। সে জন্য মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসা করাতে গেলে তাদের চিকিৎসায় বার বার অসফল হয়।
২)মাদকাসক্ত রোগীর যদি কোন অপারেশন করতে হয়,তাদের অজ্ঞান করতে বা ঘুম পাড়াতে বেশী ডোজের ঔষধ লাগে, কারন ঐসব রোগীদের আগে থেকেই ঐসব ঔষধের সহ্য করার ক্ষমতা ড্রাগ নেওয়ার জন্য বেড়ে যায়।
দেখি মাদক নিয়ে ইসলাম কি বলে
পবিত্র কোরআন এর দলিলঃ
• হে বিশ্বাসীগণ ! দম, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য গণনা শয়তানের অপবিত্র কাজ, অতএব তোমরা এগুলো থেকে বেঁচে থাক, যাতে তোমরা সফলতা অর্জন করতে পার। শয়তান তো চায় মদ, জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে সংঘাত ও বিদ্বেষ ঘটাতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। তবুও কি তোমরা বিরত হবে না? (সুরা মায়েদা- ৯০, ৯১)
• যে লোক আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় এবং তাঁর (নির্ধারিত) সীমাতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে চিরস্হায়ী জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। তার জন্য রয়েছে অপমানকর শাস্তি।
(সুরা আন নিসা- ১৪)
পবিত্র হাদিস এর দলিলঃ
• তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক, কারণ এটা সকল অশ্লীলতার উৎস। (হাকেম)
• সকল মাদকদ্রব্য মদের পর্যায়ভুক্ত এবং সকল মদই হারাম। পার্থিব জীবনে যে মদপানে অভ্যস্ত ছিল এবং তওবা না করে মারা যায়, পরলোকে সে জান্নাতী পানীয় থেকে বঞ্চিত থাকবে। (বোখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসায়ী, আবু দাউদ, তাবারানী ও বায়হাকী)
• মাদকদ্রব্য সেবনকারীর জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হচ্ছেঃ আল্লাহ তাকে তীনাতুল খাবালের পানীয় পান করাবেন। আরজ করা হলোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ! তীনাতুল খাবাল কি? তিনি এরশাদ করেনঃ জাহান্নামীদের ঘাম ও মলমুত্র।
(মুসলিম ও নাসায়ী)
• তিন জনের নামাজ কবুল করা হয় না এবং তাদের অন্য কোন ভাল কাজও উর্ধ্বে আরোহণ করে নাঃ পলাতক দাস, যতক্ষন পর্যন্ত না সে তার মনিবের কাছে ফিরে যায়, যে স্ত্রীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার উপর খুশী হয়, মদপানে মাতাল ব্যক্তি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার হুশ ফিরে আসে। (ইবনে খুযায়মা ও হেব্বান, বায়হাকী, তাবারানী। )
• চোর চুরি করার সময় মুমিন থাকে না, ব্যভিচারী ব্যভিচারে রত অবস্হায় মুমিন থাকে না, মদ্যপায়ী মদপানরত অবস্হায় মুমিন থাকে না। অতঃপর তওবা করলে মুমিন অবস্হায় ফিরে আসে। (বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী)
• মদ্যাসক্ত ব্যক্তি, জাদুটোনায় বিশ্বাসী এবং রক্ত সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
যে লোক মদ পান করে মারা যায়, আল্লাহ তাকে গুতাত নহরের পানি পান করাবেন, যা ব্যভিচারিনী নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে নির্গত। তাদের যৌনাঙ্গের দূর্গন্ধ জাহান্নামীদের জন্য দুঃসহ কষ্টদায়ক হবে। (আহমদ, হাকেম)
• হযরত ইবনে ওমর রাঃ বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদপানকারী, যারা মদ পরিবেশন করে, মদ বিক্রেতা, মদ ক্রয়কারী, যার জন্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, মদ উৎপাদনকারী, সংগ্রহকারী, পরিবহনকারী, যার জন্য বহন করা হয়, মদ বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ ভোগকারী সবার উপরেই অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। (আবু দাউদ, ইবনে মাযা। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।